ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নেতা ছিলেন -
A
মাদার বক্স
B
চেরাগ আলী শাহ
C
মুসা শাহ
D
বর্ণিত সবাই
উত্তরের বিবরণ
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ প্রায় ৪০ বছর (১৭৬০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) ধরে চলেছে এবং এটি ইংরেজদের বিরুদ্ধে বাংলায় প্রথম উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ আন্দোলন।
-
আদ্যাবস্থা:
-
১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় সন্ন্যাসীরা প্রথম বিদ্রোহ শুরু করেন
-
১৭৭১ খ্রিস্টাব্দে মজনু শাহ উত্তর বাংলায় ইংরেজ বিরোধী তৎপরতা শুরু করেন
-
-
প্রসার ও তীব্রতা:
-
১৭৭৭ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, ঢাকা, ময়মনসিংহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহসহ বিভিন্ন অঞ্চলে
-
সবচেয়ে তীব্র বিদ্রোহ উত্তর বঙ্গে দেখা যায়
-
-
অন্তর্ভুক্ত সংঘর্ষ ও কৌশল:
-
বিদ্রোহীরা বহু ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা হত্যা ও কোম্পানির কুঠি লুট করে
-
মজনু শাহের যুদ্ধ কৌশল ছিল গেরিলা পদ্ধতি
-
-
নেতৃত্বের পরিবর্তন:
-
১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে মজনু শাহ মৃত্যুবরণ করলে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন মুসা শাহ, সোবান শাহ, চেরাগ আলী শাহ, করিম শাহ, মাদার বক্স প্রমুখ ফকির
-
-
পরাজয়: ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে বিদ্রোহীরা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়

0
Updated: 21 hours ago
নিচের কোনটি কর বহির্ভূত রাজস্ব?
Created: 5 days ago
A
রেলওয়ের আয়
B
ভূমি রাজস্ব
C
আয়কর
D
আমদানি শুল্ক
বাংলাদেশ সরকারের আয় প্রধানত দুটি প্রধান উৎস থেকে সংগৃহীত হয়: কর রাজস্ব ও কর-বহির্ভূত রাজস্ব, যা সরকারের কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়।
-
কর-বহির্ভূত রাজস্বের উৎস:
-
লভ্যাংশ ও মুনাফা
-
রেলওয়ে আয়, ডাক আয় ইত্যাদি
-
সরকারের অআর্থিক সম্পদ বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত আয়
-
সুদ ও ভাড়া
-
বিপননযোগ্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত আয়
-
প্রশাসনিক ফি
-
জরিমানা
-
দণ্ড ও বাজেয়াপ্ত অর্থ
-
কুয়াসি-কর্পোরেশনের উদ্বৃত্ত আয়
-
-
কর রাজস্বের প্রধান উৎস:
-
ভূমি রাজস্ব
-
আয়কর
-
আমদানি শুল্ক
-

0
Updated: 5 days ago
বাংলাদেশে বসবাসকারী ত্রিপুরাদের সমাজব্যবস্থা কেমন?
Created: 2 weeks ago
A
মাতৃতান্ত্রিক
B
পিতৃতান্ত্রিক
C
সামন্ততান্ত্রিক
D
কোনটি নয়
ত্রিপুরা বা ত্রিপুরী (তিপ্রা) একটি নৃগোষ্ঠী, যাদের প্রধান আবাস ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য হলেও বাংলাদেশেও তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বসবাস করে। এরা ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতিতে স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বহন করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
ত্রিপুরারা মূলত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অধিবাসী একটি নৃগোষ্ঠী।
-
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বসবাস করে।
-
এ ছাড়া কুমিল্লা, সিলেট, বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা, রাজবাড়ী, চাঁদপুর ও ফরিদপুরসহ সমতল অঞ্চলেও তাদের বসবাস রয়েছে।
-
ইতিহাস অনুসারে, তারা ভারতের আসাম হয়ে ধীরে ধীরে বর্তমান অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে।
-
ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠীর ভাষার নাম ককবরক।
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী ত্রিপুরাদের সমাজব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক।
-
ধর্মীয় দিক থেকে ত্রিপুরারা মূলত সনাতন ধর্মের অনুসারী।

0
Updated: 2 weeks ago
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
Created: 2 weeks ago
A
রাজনৈতিক দল গঠন
B
সরাসরি ক্ষমতা দখল
C
জনমত গঠন
D
সরকারি নীতি প্রভাবিত করা
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি সংগঠিত গোষ্ঠী, যা সরাসরি সরকারি ক্ষমতা দখল না করেও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে কাজ করে। এরা সাধারণত বিশেষ স্বার্থ রক্ষা ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংঘবদ্ধভাবে কার্যকর হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করা।
-
তারা সরকারি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে না, বরং নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় চাপ সৃষ্টি করে।
-
সাধারণত এই গোষ্ঠীগুলো নির্দিষ্ট সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা পেশাগত স্বার্থকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়।
-
তারা সংঘবদ্ধভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে।
-
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যালান বল, এইচ জিগলার ও অ্যালমন্ড-পাওয়েল এই গোষ্ঠীর সংজ্ঞায় একমত; এরা সংগঠিত এবং লক্ষ্য-সচেতন।
-
তাই বলা যায়, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য হলো নীতিনির্ধারক মহলে চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করা।

0
Updated: 2 weeks ago