২০২৫ সালে কতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে একুশে পদক প্রদান করা হয়?
A
১৫ জন
B
১৬ জন
C
১৭ জন
D
১৮ জন
উত্তরের বিবরণ
একুশে পদক ২০২৫
২০২৫ সালে একুশে পদক পেয়েছেন দেশের ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ১ প্রতিষ্ঠান। এই পদক দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়। এ বছর ক্রীড়া ক্ষেত্রে একুশে পদক পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
-
গবেষণা: মঈদুল হাসান (মূলধারা ৭১-এর রচয়িতা)
-
ভাষা ও সাহিত্য: শহীদুল জহির (মরণোত্তর), হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর)
-
সংস্কৃতি ও শিক্ষা: ড. শহীদুল আলম (ফটোগ্রাফার, মানবাধিকার কর্মী ও দৃকের প্রতিষ্ঠাতা)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: মেহেদী হাসান খান (অভ্র-এর জনক), রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম, শাবাব মুস্তাফা
-
সাংবাদিকতা: মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর)
-
সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার: মাহমুদুর রহমান
-
শিল্পকলা (চলচ্চিত্র): আজিজুর রহমান (মরণোত্তর) (ছুটির ঘণ্টা এবং অন্যান্য চলচ্চিত্রের পরিচালক)
-
সংগীত: উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর), ফেরদৌস আরা
-
আলোকচিত্র: নাসির আলী মামুন
-
চিত্রকলা: রোকেয়া সুলতানা
-
শিক্ষা: ড. নিয়াজ জামান
-
সমাজসেবা: মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)

0
Updated: 21 hours ago
‘ষাটগম্বুজ মসজিদ’-এর নির্মাতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহ
B
খান আল-আজম উলুগ খান জাহান
C
মির্জা আবু তালিব
D
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব
ষাটগম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি এবং সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম চিত্তাকর্ষক নিদর্শন।
-
মসজিদের নির্মাতা ছিলেন খান আল-আজম উলুগ খান জাহান, যিনি তৎকালীন সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহ (১৪৩৫-৫৯)-এর সম্মানে বিজিত অঞ্চলকে খলিফাতাবাদ নামে নামকরণ করেন।
-
খান জাহান ১৪৫৯ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত হাভেলি-খলিফাতাবাদ থেকে উক্ত অঞ্চল শাসন করেন। তাঁর শাসিত অঞ্চল বর্তমান বাগেরহাটের সাথে অভিন্ন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
-
সময়ের ব্যবধানে মসজিদটি ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়।
-
ব্রিটিশ সরকার এর সংস্কার ও মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করে, পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ধারাবাহিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ চালিয়ে যায়।
-
বিশ শতকের আশির দশকের শুরুতে ইউনেসকো (UNESCO) এই ঐতিহাসিক স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকরী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যা বর্তমানে শেষের পর্যায়ে রয়েছে।
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
সংবিধান রচনার জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করা হয় -
Created: 1 week ago
A
২৩ মার্চ, ১৯৭২
B
১০ এপ্রিল, ১৯৭২
C
১১ এপ্রিল, ১৯৭২
D
১৭ এপ্রিল, ১৯৭২
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৯৭২ সালে, যা স্বাধীন রাষ্ট্রের আইনগত ও সাংবিধানিক কাঠামো স্থাপনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
-
প্রথম পদক্ষেপ: তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাইদ চৌধুরী ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করেন।
-
প্রথম অধিবেশন: ১০ এপ্রিল ১৯৭২, যেখানে গণপরিষদে ৪০৩ জন সদস্য ছিলেন।
-
নির্বাচিত পদাধিকারী:
-
সভাপতিত্ব করেন মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ
-
স্পিকার: শাহ আবদুল হামিদ
-
ডেপুটি স্পিকার: মোহাম্মদ উল্লাহ
-
২ মে ১৯৭২ শাহ আবদুল হামিদের মৃত্যুর পর মোহাম্মদ উল্লাহ স্পিকার নির্বাচিত হন।
-
-
সংবিধান-প্রণয়ন কমিটি: ১১ এপ্রিল গঠিত, ড. কামাল হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৩৪ সদস্যের কমিটি।
-
জনমত সংগ্রহ: সংবিধান প্রণয়ের সময় জনগণের মতামত আহ্বান করা হয় এবং ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
-
সাহায্য: গণপরিষদ ভবনে ব্রিটিশ আইনসভার খসড়া আইন-প্রণেতা আই গাথরি সহযোগিতা করেন।
-
ভাষা পর্যালোচনা: সংবিধানের বাংলা রূপ পর্যালোচনার জন্য আহ্বায়ক ড. আনিসুজ্জামান, ভাষা বিশেষজ্ঞ সৈয়দ আলী আহসান ও মযহারুল ইসলাম।
-
উত্থাপন: ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান বিল আকারে উপস্থাপন করা হয়।
-
পাস ও সই: ১৪-১৫ ডিসেম্বর সংসদে পাস হওয়া সংবিধানের হাতের লেখা কপিতে ৩৯৯ জন সদস্য সই করেন, ৪ জন সদস্য বিরত থাকেন।
-
কার্যকর হওয়া: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২, বিজয় দিবসে সংবিধান কার্যকর হয়।

0
Updated: 1 week ago
'দানসাগর' ও 'অদ্ভুতসাগর' গ্রন্থ দুটি কে রচনা করেন?
Created: 2 weeks ago
A
বিজয়সেন
B
বল্লালসেন
C
লক্ষ্মণসেন
D
জয়দেব সেন
সেন রাজা বল্লালসেন একজন সুপণ্ডিত রাজা ছিলেন এবং তিনি ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর’ নামক দুটি বিখ্যাত স্মৃতিশাস্ত্র গ্রন্থ রচনা করেন।
বল্লাল সেন:
-
বিজয় সেনের মৃত্যুর পর আনুমানিক ১১৬০ সালে তার পুত্র বল্লাল সেন সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
তিনি রাজ্য জয়ের চেয়ে দেশের ভেতরে উন্নয়ন, নতুন প্রথা চালু এবং সংস্কারের কাজে বেশি মনোযোগী ছিলেন।
-
গোবিন্দপালকে পরাজিত করে মগধের পূর্বাঞ্চল অধিকার করেন।
-
কথিত আছে যে, তিনি তাঁর পিতার রাজত্বকালে মিথিলা জয় করেন।
-
বল্লাল সেন ছিলেন বিদ্যান ও বিদ্যোৎসাহী রাজা।
-
তিনি ব্রতসাগর, আচারসাগর, প্রতিষ্ঠাসাগর, দানসাগর, অদ্ভুতসাগর নামে পাঁচটি গ্রন্থ রচনা করেন।
-
কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক হিসেবে ইতিহাসে বিশেষভাবে পরিচিত।
-
পিতার ন্যায় তিনি শৈব ধর্মের অনুগামী ছিলেন।
-
ধর্মপ্রচারে তার বিশেষ আগ্রহ ছিল।
-
তিনি তার পিতার অন্যান্য উপাধির সঙ্গে ‘অরিরাজ নিঃশঙ্কর’ উপাধি গ্রহণ করেন।
-
আনুমানিক ১৮ বছর রাজত্ব করার পর বৃদ্ধ বয়সে পুত্র লক্ষণ সেনের হাতে রাজ্যভার হস্তান্তর করেন এবং সস্ত্রীক ত্রিবেণীর কাছে গঙ্গাতীরে বাণপ্রস্থ অবলম্বন করে শেষ জীবন অতিবাহিত করেন।
সূত্র:

0
Updated: 2 weeks ago