সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি-
A
আইনের শাসন
B
নৈতিকতা
C
ন্যায়বিচার
D
বর্ণিত সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজে মানুষে মানুষে সম্পর্ক, আচরণ ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা ও আচরণবিধি। সমাজে ন্যায়, সমতা, মানবিকতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে সামাজিক মূল্যবোধের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদান:
আইনের শাসন, নৈতিকতা, সাম্য, ন্যায়বিচার, ঔচিত্যবোধ, শৃঙ্খলাবোধ, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, নাগরিক চেতনা ও কর্তব্যবোধ ইত্যাদি। -
মূল্যবোধের শ্রেণিবিভাগ:
সামাজিক মূল্যবোধ, রাজনৈতিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, নৈতিক মূল্যবোধ, অর্থনৈতিক মূল্যবোধ এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ।

0
Updated: 21 hours ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
Created: 1 month ago
A
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
B
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন
C
সামাজিক উন্নয়ন
D
সবগুলোই
সুশাসনের ধারণা ও এর পূর্বশর্ত
সুশাসনের মূল পূর্বশর্ত হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। সহজভাবে বলতে গেলে, সুশাসন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শাসন ও সুশাসন:
-
শাসন বলতে বোঝায় ক্ষমতার প্রয়োগ, জনগণের চাহিদা-দাবির প্রতি সাড়া দেওয়া এবং একটি জনসমষ্টি পরিচালনার প্রক্রিয়া।
-
এটি কোনো নতুন বিষয় নয়; শাসন ধারণা মানব সভ্যতার শুরু থেকেই বিদ্যমান।
-
বিশ্বজুড়ে শাসনের অর্থ ও সীমা নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্ক রয়েছে।
সুশাসন কীভাবে বোঝা যায়
-
এটি শুধুমাত্র সরকারের কার্যক্রম নয়, বরং জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া।
-
সুশাসনের মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ রক্ষা পায়।
-
সুশাসন বহুমাত্রিক ধারণা; সাধারণত এটি চারটি অংশে বিভক্ত হয়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন
-
সামাজিক সুশাসন
-
অর্থনৈতিক সুশাসন
-
সাংস্কৃতিক সুশাসন
-
ব্যবহারের ক্ষেত্র
সুশাসন শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা যায়, যেমন: আন্তর্জাতিক শাসন, জাতীয় শাসন, স্থানীয় শাসন এবং যৌথ শাসন। আজকের দিনে সুশাসনকে দেশের উন্নয়নের দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখা হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে 'নব-নৈতিকতা'র প্রবর্তক হলেন -
Created: 3 weeks ago
A
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
B
জি. সি. দেব
C
আরজ আলী মাতুব্বর
D
আবদুল মতীন
আরজ আলী মাতুব্বর
-
আরজ আলী মাতুব্বরকে বাংলাদেশের ‘নব-নৈতিকতা’ বা নতুন নৈতিকতার প্রবর্তক বলা হয়।
-
তিনি ছিলেন একজন স্বশিক্ষিত চিন্তাবিদ ও যুক্তিবাদী দার্শনিক, যিনি আনুষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা না থাকলেও গভীর দার্শনিক চিন্তাভাবনা করতেন।
-
মাতুব্বর বস্তুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী, এবং মানবজীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও জড় জগত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজস্ব দার্শনিক মতবাদ গড়ে তোলেন।
-
তিনি সবরকম অন্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কার এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে দৃঢ় মনোবল ও যুক্তি নিয়ে অবস্থান নেন।
-
তার চিন্তাভাবনা ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, বরং ধর্মের নামে প্রচলিত অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল।
-
মাতুব্বর সত্য, ন্যায় এবং বিজ্ঞানের ভিত্তিতে নতুন নৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন।
-
তিনি দার্শনিক ধারার মধ্যে আত্মপ্রতিষ্ঠার গুরুত্বের কথাও বলেছেন।
-
বাংলাদেশের আরেকজন দার্শনিক জি.সি. দেব বস্তুবাদ ও অধ্যাত্মবাদের মিশ্রণে সমন্বয়ী দর্শনের প্রচার করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সত্যের সন্ধান (১৯৭৩)
-
সৃষ্টির রহস্য (১৯৭৭)
-
অনুমান (১৯৮৩)
-
মুক্তমন (১৯৮৮)
-
এছাড়াও কিছু অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি সম্প্রতি আরজ আলী মাতুববর রচনাবলি নামে প্রকাশিত হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago
৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা-
Created: 1 week ago
A
১৯২টি
B
১০৯টি
C
১৯০টি
D
১৯১টি
United Nations Convention Against Corruption (UNCAC), popularly known as Merida Convention, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী চুক্তি। এটি বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত UNCAC-এর স্বাক্ষরকারী দেশ সংখ্যা ১৯১টি।
• জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র সংখ্যা ১৯৩, যার মধ্যে প্রায় সব দেশ UNCAC-এ অংশ নিয়েছে, মাত্র ২টি দেশ যুক্ত হয়নি।
• ১৯২টি: এটি জাতিসংঘের মোট সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা, কিন্তু UNCAC-এর স্বাক্ষরকারী দেশ নয়।
• ১০৯টি: কোনো প্রাসঙ্গিক UNCAC পরিসংখ্যান নয়, সম্ভবত অন্য কোনো কনভেনশনের সঙ্গে মিশ্রণ।
• ১৯০টি: ২০২৪-এর পূর্বের আনুমানিক সংখ্যা; ৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা ১৯১।
মেরিডা কনভেনশন সম্পর্কিত তথ্য:
• আনুষ্ঠানিক নাম: United Nations Convention Against Corruption (UNCAC)
• জাতিসংঘের একমাত্র binding আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী চুক্তি
• UNCAC-এর মূল লক্ষ্য: দুর্নীতি প্রতিরোধ (prevention), অপরাধীকরণ (criminalization), আন্তর্জাতিক সহযোগিতা (international cooperation), সম্পদ পুনরুদ্ধার (asset recovery) এবং কারিগরি সহায়তা (technical assistance) প্রদান
• জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদন: ৩১ অক্টোবর, ২০০৩
• স্বাক্ষরকাল: ৯-১১ ডিসেম্বর, ২০০৩
• স্বাক্ষর স্থান: মেরিডা, ইউকাতান, মেক্সিকো
• কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৫
• বর্তমান স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯১টি
• বাংলাদেশের স্বাক্ষর: ২০০৭, পরবর্তীতে অনুমোদনও প্রদান করেছে

0
Updated: 1 week ago