'দেবনম পিয়' উপাধি গ্রহণ করেন কোন শাসক?
A
বিম্বিসার
B
অশোক
C
কনিষ্ক
D
বিক্রমাদিত্য
উত্তরের বিবরণ
অশোক চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পৌত্র এবং বিম্বিসারের পুত্র। তিনি ২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পাটলিপুত্রের সিংহাসনে আরোহণ করেন। পিতার রাজত্বকালে অশোক প্রথমে উজ্জয়িনীর শাসনকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। পরে তক্ষশীলায় বিদ্রোহ দেখা দিলে বিন্দুসার তাঁকে সেখানে পাঠান; বিদ্রোহ দমন শেষে তিনি তক্ষশীলার শাসনভার গ্রহণ করেন।
-
সিংহাসনে আরোহণ: ২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পাটলিপুত্রে সিংহাসনে আরোহণ
-
অভিষেক: সিংহাসনে আরোহণের চার বছর পর অনুষ্ঠিত
-
উপাধি: 'দেবনম পিয়', নিজেকে পরিচয় দিতেন 'দেবনম পিয় পিয় দসী' রূপে
-
রাজনৈতিক নীতি: পূর্বসুরীদের সাম্রাজ্য সম্প্রসারণনীতি অনুসরণ; ত্রয়োদশ বছরে কলিঙ্গ আক্রমণ করে জয় লাভ
-
কলিঙ্গ যুদ্ধ: প্রচুর মানুষ হতাহত; যুদ্ধের ভয়াবহতা অশোকের মন ও শাসননীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে
-
ধর্ম ও নীতি: যুদ্ধের পর বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ; সামরিক বিজয়ের পরিবর্তে ধর্ম বিজয় বা মানবতা, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে প্রীতি অর্জনকেই প্রকৃত বিজয় হিসেবে গ্রহণ
-
সকলের জন্য কল্যাণ: ঘোষণা, “সব মানুষই আমার সন্তান”; জাগতিক ও পারলৌকিক সুখ নিশ্চিত করাই তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য
-
মৃত্যু: প্রায় ৪০ বছর রাজত্বের পর ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মহামতি অশোক মৃত্যুবরণ করেন

0
Updated: 21 hours ago
মীর শওকত আলী মুক্তিযুদ্ধের কত নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন?
Created: 3 weeks ago
A
২ নং
B
৪ নং
C
৫ নং
D
৯ নং
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরসমূহ
১. ৫ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) ও জেলার পূর্বসীমা পর্যন্ত
-
সদরদপ্তর: বাঁশতলা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী
২. ১ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা, নোয়াখালী জেলার পূর্বাঞ্চল (বেলোনিয়া বুলগের মুহুরী নদীর তীরে)
-
সদরদপ্তর: হরিণা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মুন্সী আব্দুর রব
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর জিয়াউর রহমান (পরবর্তীতে মেজর রফিকুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত)
৩. ২ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: ঢাকা, কুমিল্লা ও ফরিদপুর জেলা, নোয়াখালী জেলার অংশ
-
সদরদপ্তর: মেলাঘর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর খালেদ মোশাররফ (পরবর্তীতে মেজর এটিএম হায়দার)
৪. ৩ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: উত্তরে চূড়ামনকাঠি (শ্রীমঙ্গল) থেকে সিলেট এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল
-
সদরদপ্তর: হেজামারা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে এম শফিউল্লাহ (পরবর্তীতে মেজর এএনএম নুরুজ্জামান)
৫. ৪ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: উত্তরে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট থানা (১০০ মাইল সীমান্ত এলাকা)
-
সদরদপ্তর: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে আসামের মাসিমপুর
-
বীরশ্রেষ্ঠ: হামিদুর রহমান
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরাজন দত্ত (পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন এ রব)
৬. ৬ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সমগ্র রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা
-
সদরদপ্তর: বুড়ি মাড়ি (বাংলাদেশের একমাত্র অভ্যন্তরীণ সদরদপ্তর)
-
সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খেদেমুল বাশার
৭. ৭ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর
-
সদরদপ্তর: তরঙ্গপুর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর নজরুল হক (পরবর্তীতে সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান)
৮. ৮ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: কুষ্টিয়া, যশোর থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মোস্তফা কামাল, নূর মোহাম্মদ শেখ
-
সদরদপ্তর: কল্যাণী
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী (পরবর্তীতে মেজর এম এ মঞ্জুর)
৯. ৯ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা, খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ
-
সদরদপ্তর: বশিরহাট
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম জলিল (পরবর্তীতে মেজর এম এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন)
১০. ১০ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সকল নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: রুহুল আমিন
১১. ১১ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: টাঙ্গাইল জেলা ও কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা
-
সদরদপ্তর: মহেন্দ্রগঞ্জ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম আবু তাহের
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
Created: 3 weeks ago
A
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
B
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
C
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
D
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
সাংবিধানিক পদ ও সংজ্ঞা
-
সংজ্ঞা:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
সাংবিধানিক উপায়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, পদ, মেয়াদ, পদমর্যাদা, পদত্যাগ, অপসারণ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সাংবিধানিক পদের তালিকা প্রকাশ করে।
-
সাংবিধানিক পদসমূহ
-
রাষ্ট্রপতি
-
প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
-
স্পীকার
-
ডেপুটি স্পীকার
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান বিচারপতি
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
-
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
উল্লেখ্য:
-
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন সাংবিধানিক পদ নয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 3 weeks ago
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কোন দুই অপারেশনে অংশগ্রহণ করে?
Created: 2 weeks ago
A
UNTAG ও UNAMIR
B
UNIIMOG ও UNTAG
C
UNOSOM ও UNMISS
D
UNPROFOR ও UNMIK
বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশন:
-
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন:
-
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠন করা হয়।
-
এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখার জন্য নিয়োজিত।
-
-
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ:
-
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ১৩৬তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘে যোগ দেয়।
-
১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা পাঠাচ্ছে।
-
প্রথমবার অংশগ্রহণ: ১৯৮৮ সালে দুটি অপারেশন—
-
ইরাক-ইরান যুদ্ধের শান্তি রক্ষার জন্য UNIIMOG
-
নামিবিয়ার জন্য UNTAG
-
-
UNIIMOG মিশনে প্রেরিত সদস্য সংখ্যা: ১৫ জন
-
-
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
বাংলাদেশী সৈন্যরা শান্তি প্রতিষ্ঠা, ত্রাণ কার্যক্রম ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
-

0
Updated: 2 weeks ago