মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা হচ্ছেন -
A
মনসা ও সরস্বতী
B
মনসা ও চণ্ডী
C
চণ্ডী ও দুর্গা
D
মনসা ও কালী
উত্তরের বিবরণ
মঙ্গলকাব্য হলো দেবমাহাত্ম্যমূলক এবং সমাজচিত্রভিত্তিক কাব্য, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য হিসেবে পরিচিত।
-
ধারণা করা হয়, পনের থেকে আঠারো শতকের শেষ অবধি এই ধারা বাংলায় রচিত হয়।
-
মঙ্গলকাব্য রচনার মূল কারণ: প্রায় সব কবিই স্বপ্নে দেবতাদের নির্দেশ পেয়ে রচনা করেছেন।
-
প্রধান শাখা তিনটি: মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল।
-
মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা: মনসা, চণ্ডী, ধর্মঠাকুর, যেখানে মনসা ও চণ্ডী এই দুই স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য বেশি।
-
একটি সার্থক মঙ্গলকাব্যে ৫টি অংশ থাকে: বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড, মর্ত্যখণ্ড, শ্রুতিফল।
-
মঙ্গলকাব্যে ৬২ জন কবির সন্ধান পাওয়া যায়।
-
উল্লেখযোগ্য কবি: কানাহারি দত্ত, মানিক দত্ত, ভারতচন্দ্র, দ্বিজমাধম, ঘনরাম চক্রবর্তী প্রমুখ।
-
মঙ্গলকাব্যের দেব-দেবীদের মধ্যে মনসা ও চণ্ডী দেবী সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
-
মঙ্গলকাব্যের দেব-দেবী মূলত অনার্য জনগোষ্ঠীর দেব-দেবী।

0
Updated: 22 hours ago
১) কোনটি পৌরাণিক শ্রেণিভুক্ত মঙ্গলকাব্য?
Created: 1 month ago
A
মনসামঙ্গল
B
কালিকামঙ্গল
C
গৌরীমঙ্গল
D
সারদামঙ্গল
গৌরীমঙ্গল
গৌরীমঙ্গল হলো পৌরাণিক শ্রেণিভুক্ত একটি মঙ্গলকাব্য।
মঙ্গলকাব্য সম্পর্কে
-
বাংলা সাহিত্যের নানা ধরনের কাব্যে মঙ্গল শব্দের ব্যবহার থাকলেও, কেবল বাংলা লৌকিক দেবতাদের নিয়ে রচিত কাব্যকেই প্রকৃত অর্থে মঙ্গলকাব্য বলা হয়।
-
শ্রেণিগতভাবে মঙ্গলকাব্যকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়:
-
পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য
-
লৌকিক মঙ্গলকাব্য
-
পৌরাণিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য
উল্লেখযোগ্য উদাহরণ:
-
গৌরীমঙ্গল
-
ভবানীমঙ্গল
-
দুর্গামঙ্গল
-
অন্নদামঙ্গল
-
কমলামঙ্গল
-
গঙ্গামঙ্গল
-
চণ্ডিকামঙ্গল ইত্যাদি
লৌকিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য
উল্লেখযোগ্য উদাহরণ:
-
শিবায়ন বা শিবমঙ্গল
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
কালিকামঙ্গল (বা বিদ্যাসুন্দর)
-
শীতলামঙ্গল
-
রায়মঙ্গল
-
ষষ্ঠীমঙ্গল
-
সারদামঙ্গল
-
সূর্যমঙ্গল প্রভৃতি
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
মঙ্গলকাব্যের কবি হচ্ছেন -
Created: 3 weeks ago
A
ঘনরাম চক্রবর্তী
B
দ্বিজমাধম
C
কানাহারি দত্ত
D
সবগুলোই
মঙ্গলকাব্য হলো দেবমাহাত্ম্যমূলক ও সমাজচিত্রভিত্তিক কাব্য, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিজস্ব কাহিনীকাব্য হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হয়, পনেরো থেকে আঠারো শতকের শেষ অবধি এই ধারার কাব্য বাংলায় রচিত হয়। এই কাব্য রচনার মূল কারণ, প্রায় সব কবিই স্বপ্নে দেবতাদের নির্দেশ পেয়ে রচনা করেছেন।
মঙ্গলকাব্যের প্রধান শাখা তিনটি: মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল। এর প্রধান দেবতারা হলেন মনসা, চণ্ডী ও ধর্মঠাকুর, যেখানে মনসা ও চণ্ডী দেবীর প্রাধান্য বেশি। একটি সার্থক মঙ্গলকাব্য সাধারণত পাঁচটি অংশে বিন্যস্ত থাকে: বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড, মর্ত্যখণ্ড ও শ্রুতিফল।
মঙ্গলকাব্যে ৬২ জন কবি পরিচিত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: কানাহারি দত্ত, মানিক দত্ত, ভারতচন্দ্র, দ্বিজমাধম ও ঘনরাম চক্রবর্তী। দেবী মনসা ও চণ্ডী সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এবং এঁরা মূলত অনার্যদের দেব-দেবী।

0
Updated: 3 weeks ago
’মনসামঙ্গল’ কাব্যের আদি কবি কে?
Created: 1 month ago
A
কানা হরিদত্ত
B
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
C
মানিক দত্ত
D
দ্বিজ রামদেব
মনসামঙ্গল কাব্য
-
বিষয়: সাপের দেবী মনসার স্তব, স্তুতি ও কাহিনি
-
ধরন: এক ধরনের পদ্মপুরাণ
-
উৎস: বাংলার প্রাকৃত জীবন ও লৌকিক জীবনাচার
-
আদি কবি: কানা হরিদত্ত
প্রধান চরিত্র:
-
সাপের দেবী মনসা
-
চাঁদ সওদাগর
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা
অন্য কাব্য ও কবি:
-
চণ্ডীমঙ্গল → আদি কবি: মানিক দত্ত, প্রধান বা শ্রেষ্ঠ কবি: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী

0
Updated: 1 month ago