পৃথিবীর গভীরতম স্থান :
A
ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চ
B
ডেড সী
C
বৈকাল হ্রদ
D
লোহিত সাগর
উত্তরের বিবরণ
গভীর সমুদ্রখাদ সমূহ হলো মহাসাগরের তলদেশে উপস্থিত অত্যন্ত গভীর খাদ, যেগুলো প্রধানত আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে forming হয়। এই খাদগুলো সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে সাধারণত ৫,৪০০ মিটার বা তার বেশি গভীর।
সমুদ্রতলে মোট সাতান্নটি গভীর সমুদ্রখাদ রয়েছে, এবং গভীরতার দিক থেকে শীর্ষ ৭টি খাদই প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থান করে।
• গভীর সমুদ্রখাদ (Oceanic Trench)
-
মহাসাগরের তলদেশে বিভিন্ন স্থানে গভীর খাদ থাকে, যেগুলোকে Oceanic Trench বলা হয়।
-
এগুলো প্রধানত আগ্নেয়গিরি (volcanic) ও ভূমিকম্পপ্রবণ (seismically active) অঞ্চলে বেশি দেখা যায়।
-
গভীর সমুদ্রখাদের গড় গভীরতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৫,৪০০ মিটারের বেশি।
-
সমুদ্রতলে মোট ৫৭টি গভীর সমুদ্রখাদ রয়েছে, যার মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে শীর্ষ ৭টি খাদ গভীরতার দিক থেকে প্রথম।
• মারিয়ানা ট্রেঞ্জ (Mariana Trench)
-
মারিয়ানা ট্রেঞ্জ হলো বিশ্বের গভীরতম স্থান।
-
অবস্থান: হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ ও ফিলিপাইনের মধ্যবর্তী প্রশান্ত মহাসাগর।
-
নামকরণ: নিকটবর্তী মারিয়ানা দ্বীপ এবং তৎকালীন অস্ট্রিয়ার রানী মারিয়ানা।
-
প্রথম গভীরতা মাপা হয় ১৮৭৫ সালে, ব্রিটিশ জরিপকারী জাহাজ HMS Challenger দ্বারা; তখন গভীরতা ছিল ২৬,৮৫০ ফুট।
-
পরবর্তীতে বিভিন্ন মাপের পর ২০১০ সালে সর্বোচ্চ গভীরতা নির্ধারণ করা হয় ৩৬,০৭০ ফুট, যা বর্তমানে গ্রহণযোগ্য।
-
এর সবচেয়ে গভীর অংশকে Challenger Deep বলা হয়।
• মারিয়ানা ট্রেঞ্জ বাদে উল্লেখযোগ্য সমুদ্রখাদ
-
Tonga Trench:
অবস্থান: প্রশান্ত মহাসাগর
গভীরতা: ৩৫,৭০২ ফুট -
Puerto Rico Trench:
অবস্থান: আটলান্টিক মহাসাগর
গভীরতা: ২৮,২৩২ ফুট
গুরুত্ব: গভীরতার দিক থেকে অষ্টম গভীরতম খাদ।

0
Updated: 22 hours ago
'The One Big Beautifull Bill Act' এ USA হতে remittance প্রেরণ করতে কী পরিমাণ কর ধার্য করা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
৫%
B
৩%
C
১%
D
২%
'The One Big Beautiful Bill Act' যুক্তরাষ্ট্রে পাসকৃত একটি বিতর্কিত আইন, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবনায় সামনে আসে এবং এতে remittance বা বিদেশে অর্থ পাঠানোর ওপর কর আরোপ করা হয়।
এই বিলটি ২০২৫ সালের জুলাই মাসে কংগ্রেসে পাস হয় এবং ৪ জুলাই স্বাক্ষরিত হয়।
মূলত কর নীতি, ব্যয় সংকোচন এবং সামরিক ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য। নিচে মূল তথ্যগুলো দেওয়া হলো:
-
নতুন কর ব্যবস্থা: শুরুতে প্রস্তাব করা হয়েছিল বিদেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৫% কর। পরবর্তীতে তা কমিয়ে ৩.৫% করা হয় এবং সর্বশেষ ১% কর ধার্য করা হয়।
-
কংগ্রেসে পাস: ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে সিনেটে এটি পাস হয় এবং প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮–২১৪ ভোটে অনুমোদিত হয়।
-
ব্যয় সংকোচন: স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা খাতে ব্যয় কমানো হয়।
-
অভিবাসন নীতি: অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ন্ত্রণে বিপুল অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ ও সীমান্তে পুলিশ সংখ্যা বাড়াতে ব্যবহৃত হবে।
-
সামরিক খাতে বিনিয়োগ: সামরিক খাতে বরাদ্দ ধরা হয় ১৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বিশেষ করে মিসাইল, যুদ্ধজাহাজ ও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য।
-
জ্বালানি খাতে নীতি পরিবর্তন: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে বাজেট বরাদ্দ করা হয়। ট্রাম্পের প্রচারে দেওয়া স্লোগান “Drill Baby Drill” বাস্তবায়নের জন্য খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে নতুন বিনিয়োগ নির্ধারণ করা হয়।
-
বিকল্প শক্তি ও পরিবেশনীতি: পূর্বে বিকল্প শক্তি ও ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল, তা বিলুপ্ত করা হয়। পরিবেশবিদেরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের এই পরিকল্পনা নিয়ে।

0
Updated: 1 week ago
বর্তমান বিশ্বে 'নিউ সিল্ক রোড' এর প্রবক্তা-
Created: 1 month ago
A
জাপান
B
ভারত
C
আফগানিস্তান
D
চীন
নিউ সিল্ক রোড এবং এর প্রবর্তক
-
প্রবর্তক দেশ: চীন
-
নিউ সিল্ক রোড কি?
চীন মূলত বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য 'নিউ সিল্ক রোড' বা 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' শুরু করেছে। এটি একটি আধুনিক বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত পথ, যা প্রাচীন সিল্ক রোডের ধারাবাহিকতা বহন করে। -
প্রাচীন সিল্ক রোড:
প্রাচীনকালে চীনের রেশম ও রেশমী কাপড় মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকায় পৌঁছাত। এই বাণিজ্য পথকে 'সিল্ক রোড' বলা হতো।-
খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে চীনের হান রাজবংশ সময়ে এটি গড়ে উঠেছিল।
-
দশম শতাব্দীতে সং রাজবংশ সময়ে এই বাণিজ্য পথের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
-
-
আধুনিক উদ্যোগ:
১৯৩০ সালে যুক্তরাজ্য প্রাচীন সিল্ক রোড চালুর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। এরপর ২০১৪ সালে চীন আধুনিক নিউ সিল্ক রোড চালুর উদ্যোগ নেয়।
তথ্যসূত্র: Britannica.com

0
Updated: 1 month ago
হারারে'র পূর্ব নাম কি?
Created: 1 month ago
A
সলসবেরি
B
রোডেসিয়া
C
জিবুতি
D
জায়ারে
হারারে
-
জিম্বাবুয়ের রাজধানী শহর হারারে।
-
এটি দেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত।
-
আগে এর নাম ছিল সলসবেরি।
জিম্বাবুয়ে
-
জিম্বাবুয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্থলবেষ্টিত দেশ।
-
রাজধানী: হারারে
-
সরকারি ভাষা: ইংরেজি
-
মুদ্রা: জিম্বাবুয়ান ডলার
-
এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম প্লাটিনাম উৎপাদনকারী দেশ।
অতিরিক্ত তথ্য
-
জিম্বাবুয়ের পুরনো নাম ছিল দক্ষিণ রোডেশিয়া।
-
ফরমোজার বর্তমান নাম হলো তাইওয়ান।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 month ago