'খেয়াপারের তরণী' - কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
A
অগ্নিবীণা
B
ভাঙ্গার গান
C
প্রলয় শিখা
D
বিষের বাঁশী
উত্তরের বিবরণ
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ হলো ১৯২২ সালে নজরুলের প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে একটি। এই বছরে নজরুলের অন্যান্য প্রকাশনা ছিল: গল্প-সংকলন ব্যথার দান এবং প্রবন্ধ-সংকলন যুগবাণী। অগ্নিবীণা কাব্য বাংলা কবিতার একটি পালাবদলকারী কাব্য, যা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে যায়।
-
কাব্যে মোট কবিতা: ১২টি।
-
বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে কবিতাগুলোকে চার ভাগে বিভক্ত করা যায়:
১. দ্রোহ, বিপ্লব ও আমিত্ব: প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, ধূমকেতু।
২. সময় ও যুদ্ধ: কামাল পাশা, আনোয়ার, রণভেরী, শাত-ইল-আরব।
৩. মুসলিম ঐতিহ্য: মোহররম, কোরবানী, খেয়াপারের তরণী।
৪. হিন্দু ঐতিহ্য: রক্তাম্বরধারিণী মা, আগমনী। -
বিদ্রোহী কবিতা ১৯২১ সালের ২২ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক বিজলী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যের প্রথম কবিতা: প্রলয়োল্লাস।
-
দ্বিতীয় কবিতা: বিদ্রোহী।
-
শেষ কবিতা: মোহররম।
-
রক্তাম্বরধারিণী মা কবিতাটি নিষিদ্ধ হয়েছিল, তবে অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি নিষিদ্ধ হয়নি।

0
Updated: 22 hours ago
জসীম উদ্দীনের 'কবর' কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
Created: 2 weeks ago
A
বালুচর
B
রাখালী
C
ধানক্ষেত
D
মা যে জননী কান্দে
কবি জসীম উদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা, ‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থ এবং তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে নিচে সংক্ষেপে রিরাইট করা হলো। সব তথ্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বোল্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
‘কবর’ কবিতা জসীম উদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭)-এর অন্তর্গত। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কল্লোল’ পত্রিকায়। এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত এবং এতে মোট ১১৮টি পঙ্ক্তি রয়েছে।
সহজ ও সরল ভাষায় রচিত এই কাহিনীধর্মী কবিতায় এক গ্রামীণ বৃদ্ধ তার জীবনের প্রিয়জন হারানোর বেদনার স্মৃতি ব্যক্ত করেছেন।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি আপনজনদের হারিয়ে ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে মৃত্যুর জন্য যে অপেক্ষা করছেন, কবি তা গভীর সহানুভূতি দিয়ে প্রকাশ করেছেন।
-
কবর কবিতার সংক্ষিপ্তাংশ
এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া খেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থ
-
জসীম উদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
-
বইটিতে মোট ১৯টি কবিতা রয়েছে।
-
প্রথম কবিতা হলো ‘রাখালী’।
-
তাঁর বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতাও এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
জসীম উদ্দীন
-
তিনি ছিলেন কবি, কাব্যোপন্যাসিক, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, ভ্রমণকাহিনীকার, নাট্যকার, স্মৃতিকথক, প্রাবন্ধিক ও শিশুসাহিত্যিক।
-
জন্ম ১৯০০ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস ছিল একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।
-
তাঁর ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ এবং ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ বাংলা ভাষার গীতি-কবিতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
-
‘বোবা কাহিনী’ তাঁর একমাত্র উপন্যাস।
রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
রাখালী
-
নকশী কাঁথার মাঠ
-
বালুচর
-
ধানক্ষেত
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
হাসু
-
মাটির কান্না
-
এক পয়সার বাঁশী
-
সবিনা
-
মা যে জননী কান্দে
-
পদ্মা নদীর দেশে ইত্যাদি
রচিত নাটক
-
পদ্মাপার
-
বেদের মেয়ে
-
পাল্লীবধূ ইত্যাদি
রচিত আত্মকথা
-
যাদের দেখেছি
-
ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়
-
জীবনকথা ইত্যাদি
রচিত ভ্রমণকাহিনি
-
চাল মুসাফির
-
হলদে পরির দেশে
-
যে দেশে মানুষ বড় ইত্যাদি

0
Updated: 2 weeks ago
কত সালে 'মেঘনাদবধ কাব্য' প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৮৬০
B
১৮৬৫
C
১৮৫৯
D
১৮৬১
মেঘনাদবধ কাব্য
-
লেখক: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
প্রকাশ: ১৮৬১ সালে
-
উৎস: সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণ থেকে কাহিনি নেওয়া হয়েছে।
-
গঠন: কাব্যটি নয়টি সর্গে বিভক্ত।
-
ঘটনাবলি: কাব্যে তিনদিন ও দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত।
-
মূল বিষয়বস্তু: বীরত্ব, অভিমান, আক্ষেপ, ট্রাজেডি ইত্যাদি।
-
নায়ক ও চরিত্র: রাবণকে কেন্দ্র করে ট্রাজেডি সৃষ্টি হয়েছে। কাব্যের প্রধান চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
‘ইউসুফ জোলেখা’ কী জাতীয় রচনা?
Created: 2 months ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
রোমান্টিক প্রণয় কাব্য
D
রম্যরচনা
ইউসুফ - জোলেখা মধ্যযুগের পুঁথি লেখকদের রচিত বাংলা সাহিত্যের একটি প্রণয় - কাব্য। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান কবি শাহ মুহম্মদ সগীর, গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে (১৩৯৩ - ১৪০৯ খ্রিষ্টাব্দ) ইউসুফ - জোলেখা কাব্য রচনা করেন। শাহ মুহম্মদ সগীর ছাড়াও মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ - জোলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেন। তার মধ্যে আবদুল হাকিম, শাহ গরিবুল্লাহ, গোলাম সফাতুল্লাহ, সাদেক আলী এবং ফকির মোহাম্মদ উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 2 months ago