অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়?
A
ডেটা সংরক্ষণের জন্য
B
হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য
C
ব্যবহারিক কাজ সম্পাদনের জন্য
D
হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করে
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো গ) ব্যবহারিক কাজ সম্পাদনের জন্য।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software) হলো এমন সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট কাজ বা ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি করা হয়। এটি ব্যবহারকারীকে টেক্সট, সংখ্যা, ছবি বা অন্যান্য তথ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে সহায়তা করে।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য
-
ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য তৈরি করা হয়।
-
ব্যবহারকারী যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে, সেগুলোকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়।
-
এটি কম্পিউটারের ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস দিয়ে ব্যবহারকারীকে কার্যকর সমাধান দিতে সাহায্য করে।
-
সাধারণত ব্যবহারকারীকে টেক্সট, সংখ্যা, ছবি বা মিডিয়া নিয়ে কাজ করার সুযোগ প্রদান করে।
উদাহরণস্বরূপ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
-
একাউন্টিং সফটওয়্যার
-
অফিস সফটওয়্যার (যেমন MS Word, MS Excel)
-
গ্রাফিক্স সফটওয়্যার
-
মিডিয়া প্লেয়ার (ভিডিও ও অডিও)
-
ডাটাবেস সফটওয়্যার যেমন Oracle, FoxPro ইত্যাদি

0
Updated: 22 hours ago
স্মার্টফোনে ডেটা রূপান্তরের জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
Created: 22 hours ago
A
সার্কিট সুইচিং
B
প্যাকেট সুইচিং
C
ফ্রিকোয়েন্সি হপিং
D
সিগন্যাল মড্যুলেশন
স্মার্টফোন (Smartphone) হলো একটি বিশেষ ধরনের মোবাইল ফোন, যা মোবাইল কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি কেবল কল করার জন্য নয়, বরং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানোর ক্ষমতাসম্পন্ন।
স্মার্টফোন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
সর্বপ্রথম IBM প্রতিষ্ঠান ১৯৯৩ সালে "Simon" নামে স্মার্টফোন ডিজাইন করে।
-
বেলসাউথ প্রতিষ্ঠান ১৯৯৩ সালে স্মার্টফোন বাজারে প্রবর্তন করে।
-
প্রথম স্মার্টফোনে টাচস্ক্রিন ইন্টারফেস এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ছিল, যেমন ক্যালেন্ডার, ঠিকানা বই, ক্যালকুলেটর এবং অন্যান্য ইউটিলিটি।
-
স্মার্টফোনে ডেটা রূপান্তর ও স্থানান্তরের জন্য প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
-
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তর উচ্চ গতিসম্পন্ন ও কার্যকরী হয়।

0
Updated: 22 hours ago
গুগলের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নাম কী?
Created: 4 weeks ago
A
অ্যালেক্সা
B
সিরি
C
জেমিনি
D
কোরটানা
তথ্য প্রযুক্তি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence - AI )
ডিজিটাল কম্পিউটার
তথ্য প্রযুক্তি
তথ্য প্রযুক্তির ধারণা (Information Technology - IT)
গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা – জেমিনি (Gemini)
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
জেমিনি (Gemini) হলো গুগলের সর্বশেষ ও উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
-
এটি ব্যবহারকারীদের জটিল তথ্য বিশ্লেষণ, প্রশ্নোত্তর, লেখালিখি এবং বিভিন্ন কার্য সম্পাদনে সহায়তা করে।
-
জেমিনি সাধারণ ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো নয়; এটি আরও উন্নত, শিক্ষণীয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেখার ক্ষমতা সম্পন্ন মডেল।
-
ব্যবহারকারীরা জেমিনির মাধ্যমে সহজে তথ্য সংগ্রহ, সমস্যা সমাধান এবং দৈনন্দিন কাজ আরও দক্ষভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
-
ক) অ্যালেক্সা: অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট।
-
খ) সিরি: অ্যাপলের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট।
-
গ) জেমিনি: গুগলের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ✅
-
ঘ) কোরটানা: মাইক্রোসফটের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য:
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) হলো এমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যা কম্পিউটারে মানবসদৃশ চিন্তা, সমস্যা সমাধান, শেখার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে।
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. বিষয় সংক্রান্ত ধারণা গ্রহণ।
২. সমস্যা বিশ্লেষণ ও সমাধানের পথ নির্দেশ।
৩. সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা।
৪. নতুন জ্ঞান অর্জন এবং ব্যবহার।
৫. ভাষা বোঝার ক্ষমতা।
৬. মানুষের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর ক্ষমতা।
৭. জটিল অবস্থা অনুধাবন ও পরিচালনা।
৮. নতুন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।
৯. ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য পরিচালনা।
১০. সম্পর্কিত বিষয়গুলো অনুধাবন এবং সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 weeks ago
আধুনিক ইন্টারনেটের প্রাথমিক সংস্করণ ARPANET কত সালে যাত্রা শুরু করে?
Created: 2 weeks ago
A
১৯৯৫
B
১৯৮৩
C
১৯৭২
D
১৯৬৯
তথ্য প্রযুক্তি
ইন্টারনেটের সংযোগ পদ্ধতি (Internet Connectivity Methods)
তথ্য (Information)
তথ্য প্রযুক্তি
ইন্টারনেটের সূচনা এবং এর প্রাথমিক ইতিহাসের মাধ্যমে আধুনিক নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির ভিত্তি তৈরি হয়। ARPANET-এর মাধ্যমে এটি শুরু হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট সর্বসাধারণের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠে। বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
-
ইন্টারনেটের প্রাথমিক সংস্করণ:
-
ইন্টারনেটের প্রাথমিক সংস্করণ ARPANET (Advanced Research Projects Agency Network) নামে পরিচিত, যা ১৯৬৯ সালে প্রথম চালু হয়।
-
এটি চারটি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে প্রথম সফলভাবে ডেটা আদান-প্রদান করেছিল।
-
-
ইন্টারনেটের উদ্ভব ও প্রাথমিক সংযোগ:
-
ইন্টারনেট মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি প্রোগ্রাম, যা ARPANET-এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।
-
১৯৬৯ সালের ২৯শে অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (UCLA) এবং স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SRI)-এর মধ্যে প্রথম হোস্ট-টু-হোস্ট সংযোগ স্থাপন করা হয়।
-
এই সংযোগের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা প্যাকেট পাঠানো সম্ভব হয়।
-
-
ARPANET-এর উদ্দেশ্য ও সীমাবদ্ধতা:
-
নেটওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করা এবং তথ্য আদান-প্রদান সহজ করা।
-
যদিও ARPANET ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, এটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল না।
-
-
প্রধান উন্নয়ন ও ঘটনা:
-
১৯৭১ সালে প্রথম ই-মেইল প্রোগ্রাম তৈরি হয়, যা ARPANET-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়।
-
১৯৮৩ সালে ARPANET-এ TCP/IP প্রটোকলকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্রহণ করা হয়, যা আধুনিক ইন্টারনেটের 'অফিসিয়াল জন্মদিন' হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
১৯৯০ সালে ARPANET বন্ধ হয়ে যায় এবং ইন্টারনেট বাণিজ্যিকভাবে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হতে শুরু করে।
-
বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় ১৯৯৬ সালে।
-
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago