নিচের কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
A
বুকের ভেতর আগুন
B
গজকচ্ছপ
C
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে
D
ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস
উত্তরের বিবরণ
‘বুকের ভেতর আগুন’
-
এটি জাহানারা ইমাম রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস।
-
প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯০ সালে।
-
কাহিনীতে উল্লেখ আছে রংপুরের পীরগঞ্জ।
-
প্রধান চরিত্র: নান্টু, শান্টু, মোহন।
জাহানারা ইমামের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
-
গজকচ্ছপ
-
সাতটি তারার ঝিকিমিকি
-
অন্য জীবন
-
বুকের ভিতর আগুন
-
শেক্সপিয়রের ট্রাজেডি
-
নাটকের অবসান
-
নিঃসঙ্গ পাইন
-
ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস
-
প্রবাসের দিনগুলি
অন্যদিকে
-
‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’ – হুমায়ুন আজাদ রচিত কাব্যগ্রন্থ।

0
Updated: 1 day ago
’বৈকুণ্ঠের উইল’ কী ধরনের রচনা?
Created: 1 week ago
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
গল্প
D
নাটক
‘বৈকুণ্ঠের উইল’ উপন্যাসের রচয়িতা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এটি তাঁর একটি চিরায়ত উপন্যাস, যা পরিবার, সম্পদ ও মানুষের মনস্তত্ত্বের জটিলতা তুলে ধরে।
-
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বৈকুন্ঠ মজুমদার, একজন ব্যবসায়ী ব্যক্তি। তিনি সৎ পরিশ্রমের মাধ্যমে ধ্বংসপ্রায় মুদি দোকানকে বড় আড়তে পরিণত করেন।
-
বৈকুন্ঠের দুই ছেলে: গোকুল (প্রথম স্ত্রীর সন্তান) এবং বিনোদ (দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান)।
-
গোকুল বোকা স্বভাবের হলেও বাবা, মা ও ভাইয়ের প্রতি তার ভালোবাসা গভীর। পড়াশোনায় মনোযোগ না থাকায় ছোটবেলাতেই বাবার আড়তের কাজে লেগে যায়।
-
বিনোদ পড়াশোনায় ভালো হলেও তার স্বভাব ও চালচলন পিতাকে সন্তুষ্ট করে না। বৈকুণ্ঠ মনে করেন, এত কষ্ট করে গড়ে তোলা তাঁর সম্পদ বিনোদ শুধুমাত্র আরাম-আয়েসের জন্য নষ্ট করবে।
-
এই আশঙ্কার কারণে, বৈকুণ্ঠ মৃত্যুর আগে স্ত্রীর সম্মতি নিয়ে সকল সম্পত্তি গোকুলের নামে উইল করেন।
-
উপন্যাসের মূল কাহিনী ঘুরে থাকে উইল সংক্রান্ত দুই ভাইয়ের মনোভাব, সম্পর্ক ও মানসিক দ্বন্দ্বের উপর।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
-
চরিত্রহীন
-
পণ্ডিতমশাই
-
পল্লীসমাজ
-
দেবদাস
-
শ্রীকান্ত
-
পরিণীতা
-
বিরাজবৌ
-
দত্তা
-
বামুনের মেয়ে
-
শেষ প্রশ্ন
-
দেনাপাওনা
-
পথের দাবী
-
বিপ্রদাস
-
উপন্যাসগুলিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রায়ই সমাজ, পরিবার ও নৈতিকতা নিয়ে গভীরভাবে আলোকপাত করেছেন।
-
‘বৈকুণ্ঠের উইল’-এ সম্পত্তি ও পরিবারের দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ও নৈতিক দিক ফুটে ওঠে।

0
Updated: 1 week ago
কোনটি উপন্যাস নয়?
Created: 1 month ago
A
দিবারাত্রির কাব্য
B
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
C
কবিতার কথা
D
পথের পাঁচালী
মুনীর চৌধুরীর নাটক ও অনুবাদ
১. মুখরা রমণী বশীকরণ:
-
মুনীর চৌধুরী উইলিয়াম শেক্সপিয়রের The Taming of The Shrew নাটকটি অনুবাদ করে বাংলা ভাষায় উপস্থাপন করেছেন মুখরা রমণী বশীকরণ (১৯৭০)।
-
এটি পাঁচ অঙ্ক বিশিষ্ট একটি কমেডি নাটক।
-
গল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: পদুয়া শহরের ধনী দুই কন্যা, ক্যাথেরিনা এবং বিয়াঙ্কা। ক্যাথেরিনা তীক্ষ্ণ ও মুখর, আর বিয়াঙ্কা খুব সুন্দরী। ভেরোনা শহরের যুবক পেট্রুশিও ক্যাথেরিনার অহংকার ভেঙে তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
-
মুনীর চৌধুরীর নিজের মন্তব্য অনুযায়ী, নাটকের কাহিনী স্থুল হলেও হাস্যরসটি সতেজ, সরস ও আনন্দদায়ক।
২. কবর নাটক:
-
মার্কিন নাট্যকার ইরভিন শ’র Bury The Dead নাটক থেকে প্রেরণা নিয়ে, বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ‘কবর’ নাটক রচিত হয়েছে।
-
মূল থিমটি অনুকরণ হলেও, ‘কবর’ একটি অনুবাদ নাটক নয়।
-
নাটকে সমাধি থেকে মানুষের আত্মার পুনরুত্থান ঘটার ঘটনার অনুকরণ আছে, যা মূল Bury The Dead নাটকে দেখা যায়।
৩. মুনীর চৌধুরীর জীবন ও সৃজন:
-
মুনীর চৌধুরী (জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
শিক্ষা ও কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
৪. মুনীর চৌধুরীর নাটকসমূহ:
-
মৌলিক নাটক: রক্তাক্ত প্রান্তর, চিঠি, কবর, দণ্ডকারণ্য
-
অনুবাদ নাটক: কেউ কিছু বলতে পারে না, রূপার কৌটা, মুখরা রমণী বশীকরণ
উৎস: ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'কাশবনের কন্যা' কোন জাতীয় রচনা?
Created: 2 months ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
কাব্য
D
ছোটগল্প
কাশবনের কন্যা
‘কাশবনের কন্যা’ উপন্যাসটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম। গ্রামীণ সমাজ ও জীবনের আবহকে ঘিরে লেখা এই উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালে। এতে লেখক বরিশালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গ্রামবাংলার সহজ-সরল মানুষদের জীবন ও সংস্কৃতিকে গভীর দরদের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন। দারিদ্র্য এবং কষ্টের বাস্তবতা থাকা সত্ত্বেও উপন্যাসে গ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে এক বিশ্বাসভিত্তিক শান্তির আশ্রয়স্থল হিসেবে—যেখানে রয়েছে মানবিক সম্পর্কের গভীরতা এবং আত্মিক সুখের অন্বেষণ।
উপন্যাসটিতে বিশেষভাবে চিত্রায়িত হয়েছে বরিশাল অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, লোকজ সংস্কৃতি এবং গ্রামীণ দিগন্ত। এতে মুখ্য চরিত্র হিসেবে উঠে এসেছে: সিকদার, হোসেন, জোবেদা ও মেহেরজান প্রমুখ।
• শামসুদ্দীন আবুল কালাম
বাংলা কথাসাহিত্যের এক উজ্জ্বল নাম শামসুদ্দীন আবুল কালাম। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালের আগস্ট মাসে, বরিশালের নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে। শিক্ষা জীবন শুরু করেন বরিশাল জেলা স্কুলে, যেখানে থেকে তিনি ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
এরপর ১৯৪৩ সালে ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মগুলো হলো:
গল্পগ্রন্থ
-
অনেক দিনের আশা
-
ঢেউ
-
পথ জানা নাই
-
দুই হৃদয়ের তীর
-
শাহের বানু
উপন্যাস
-
আলমনগরের উপকথা
-
কাশবনের কন্যা
-
কাঞ্চনমালা
-
জায়মঙ্গল
-
কাঞ্চনগ্রাম
-
পুঁই ডালিমের কাব্য
তথ্যসূত্র: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞেসা’ — ড. সৌমিত্র শেখর, ‘বাংলাপিডিয়া’।

0
Updated: 2 months ago