প্রতীকী কাহিনির মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসনকে চিত্রিত করা হয়েছে জহির রায়হানের কোন চলচ্চিত্রে?
A
লেট দেয়ার বি লাইট
B
বাহানা
C
স্টপ জেনোসাইড
D
জীবন থেকে নেয়া
উত্তরের বিবরণ
‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্র
-
এটি পরিচালনা করেছেন জহির রায়হান এবং মুক্তি পায় ১৯৭০ সালের ১০ এপ্রিল।
-
চলচ্চিত্রটি পারিবারিক আবহে নির্মিত হলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি অন্তর্নিহিত ছিল।
-
প্রতীকী কাহিনির মাধ্যমে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসনকে চিত্রিত করা হয় এবং জনগণকে প্রতিরোধ গড়তে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
অন্য উল্লেখযোগ্য জহির রায়হান চলচ্চিত্র
-
‘লেট দেয়ার বি লাইট’ – ইংরেজি ছবি, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় সম্পন্ন করতে পারেননি।
-
‘স্টপ জেনোসাইড’ – ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর কলকাতা থেকে নির্মিত, পাকিস্তানি সামরিক জান্তার গণহত্যার চিত্র প্রদর্শন করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
-
‘বাহানা’ – উর্দু ভাষার সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রথম সিনেমাস্কোপ; মুক্তি পায় ১৯৬৫ সালের ১৬ এপ্রিল।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি জহির রায়হান রচিত উপন্যাস?
Created: 1 week ago
A
সোনার কাজল
B
শেষ বিকেলের মেয়ে
C
জীবন থেকে নেয়া
D
সূর্যগ্রহণ
‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ (১৯৬০) জহির রায়হানের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস, যা ধারাবাহিকভাবে ‘সাপ্তাহিক বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
-
‘জীবন থেকে নেয়া’ (১৯৭০): ভাষা আন্দোলনভিত্তিক চলচ্চিত্র, যেখানে প্রথমবার জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
-
‘সোনার কাজল’ (১৯৬২): জহির রায়হানের চলচ্চিত্র।
-
‘সূর্যগ্রহণ’ (১৯৫৫): জহির রায়হানের গল্পগ্রন্থ।
জহির রায়হানের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
‘হাজার বছর ধরে’ (১৯৬৪): আবহমান বাংলার জীবন ও জনপদ প্রতিপাদ্য। ১৯৬৪ সালে ‘আদমজী সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। উপন্যাস অবলম্বনে স্ত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ জিতে। চরিত্র: টুনি, মন্তু, মকবুল।
-
‘আরেক ফাল্গুন’ (১৯৬৮): ১৯৪৮–৫২ সালের আন্দোলন, ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণ, জনতার সম্মিলন ও প্রেম-প্রণয় ভিত্তিক ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম উপন্যাস।
-
‘আর কত দিন’ (১৯৭০): মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধের সম্ভাবনা, লাঞ্ছিত মানবতার আর্তি, শান্তি ও ভালোবাসার জন্য মানুষের অন্বেষা। চরিত্র ইভা ও তপু শান্তি ও ভালোবাসার প্রতীক।
-
‘তৃষ্ণা’ (১৯৬২)
-
‘বরফ গলা নদী’ (১৯৬৯)
-
‘কয়েকটি মৃত্যু’ (১৯৬৫)

0
Updated: 1 week ago
'টুনি' চরিত্রটি কোন উপন্যাসের অন্তর্গত?
Created: 1 week ago
A
হাজার বছর ধরে
B
আরেক ফাল্গুন
C
লালসালু
D
পদ্মা নদীর মাঝি
‘হাজার বছর ধরে’ (১৯৬৪) উপন্যাসে আবহমান বাংলার জীবন ও জনপদকে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা হয়েছে। এই কাহিনীতে ‘টুনি’ চরিত্রটি মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র, যিনি একমাত্র জীবন্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থিত, বাকিরা মৃত ও বিবর্ণ।
জহির রায়হান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—
-
জন্ম ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম জহিরুল্লাহ, পরে তিনি জহির রায়হান নামে পরিচিত হন।
-
তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
'আরেক ফাল্গুন' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 3 months ago
A
জহির রায়হান
B
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
C
মানিক বন্দোপাধ্যায়
D
সৈয়দ শামসুল হক
'আরেক ফাল্গুন' উপন্যাস:
জহির রায়হান রচিত ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এবং ১৯৫৫ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালনের অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে লেখা।
এই উপন্যাসে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলন, জনতার সংগ্রাম, ছাত্র-ছাত্রীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং তাদের প্রেম-প্রণয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। এর বিখ্যাত সংলাপ: "আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো।"
জহির রায়হান:
- জন্ম: ১৯৩৫ সালে, ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে।
- মূল নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
- তিনি ছিলেন একজন নিপুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শক্তিশালী কথাসাহিত্যিক।
- তাঁর উপন্যাস ‘হাজার বছর ধরে’ এর জন্য তিনি আদমজী পুরস্কার লাভ করেন।
জহির রায়হানের উপন্যাসসমূহ:
- শেষ বিকেলের মেয়ে
- হাজার বছর ধরে
- আরেক ফাল্গুন
- বরফ গলা নদী
- আর কত দিন
- কয়েকটি মৃত্যু
তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্র:
- Stop Genocide (প্রামাণ্যচিত্র)
- Let There Be Light (ইংরেজি ভাষায়)
- কাঁচের দেয়াল
- বেহুলা
- সঙ্গম
- জীবন থেকে নেয়া
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago