বাংলাদেশে বসবাসরত মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী-
A
গারো
B
খাসিয়া
C
সাঁওতাল
D
ক + খ
উত্তরের বিবরণ
গারো ও খাসিয়া হলো বাংলাদেশে বসবাসরত মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। এরা পৃথক বংশোদ্ভূত হলেও উভয়ই নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রথা অনুসরণ করে।
খাসিয়া:
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
আদি নিবাস: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ জিলা।
-
বর্তমানে সিলেট, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও সদর থানা-তে ছড়িয়ে আছে।
-
অধিকাংশই সীমান্ত অঞ্চলে বসবাস করে।
-
গায়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর এবং জৈন্তাপুর ও জোয়াই এলাকার মাঝখানে অনেক খাসিয়া বসতি রয়েছে।
-
গ্রামকে পুঞ্জি বলা হয়।
-
পুঞ্জি প্রধানকে সিয়েম বলা হয়।
গারো:
-
মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জিলা-তে বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়।
-
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা ও গাজীপুর জিলা-তেও গারোরা বাস করে।
-
ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠী-এর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ে অনেক গারো নিজেকে মান্দি বলে পরিচয় দেন।
-
গারোদের ভাষায় 'মান্দি' অর্থ মানুষ।
-
সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব: ওয়ানগালা।

0
Updated: 8 hours ago
’মারমা’ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসস্থান কোথায়?
Created: 1 week ago
A
সিলেট
B
খাগড়াছড়ি
C
রাজশাহী
D
বগুড়া
মারমা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী; মূলত তিনটি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে বসবাস করে।
প্রায়শই তাদের আল জনগোষ্ঠী হিসেবে দেখা হয়।
1991 সালের আদশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের মারমা জনসংখ্যা 1,57,301; 2022 সালের আদমশুমারিতে সংখ্যা 2,24,299 জন।
মারমারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত; তাদের নিজস্ব ভাষা আছে।
ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে, মারমাদের ভাষা ভোট বর্মী শাখার বর্মী দলভুক্ত একটি ভাষা।
বর্ণমালার নাম ম্রাইমাজা; বাম থেকে ডান দিকে লেখার রীতি অনুসারী বর্ণমালা।
ব্রাহ্মী লিপি মত পুরোনো ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত উপমহাদেশীয় প্রাচীন লিপি।

0
Updated: 1 week ago