কোন খনিজের অভাবে উদ্ভিদের পাতা বেগুনি রং ধারণ করে?
A
নাইট্রোজেন
B
ফসফরাস
C
পটাশিয়াম
D
ম্যাগনেসিয়াম
উত্তরের বিবরণ
উদ্ভিদের সুষ্ঠু বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন খনিজ উপাদান প্রয়োজন। এর মধ্যে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও নাইট্রোজেনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদের অভাবে উদ্ভিদে বিভিন্ন ধরনের শারীরবৃত্তীয় সমস্যা দেখা দেয়।
-
ফসফরাস (P): ফসফরাসের অভাবে পাতার রং বেগুনি হয়ে যায়। পাতায় মৃত অঞ্চল সৃষ্টি হয় এবং পাতা, ফুল ও ফল ঝরে যেতে পারে। উদ্ভিদের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় ও উদ্ভিদ খর্বাকার হয়ে পড়ে। সাধারণত খালি চোখে ফসফরাসের ঘাটতি শনাক্ত করা কঠিন, কারণ লক্ষণ দৃশ্যমান হতে অনেক সময় লাগে এবং তখন প্রতিকার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
-
ম্যাগনেসিয়াম (Mg): ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে ক্লোরোফিল সংশ্লেষণ ব্যাহত হয়, ফলে পাতার সবুজ রং হালকা হয়ে যায় এবং সালোকসংশ্লেষণের হার কমে যায়।
-
পটাশিয়াম (K): পটাশিয়ামের অভাবে পাতার শীর্ষ ও কিনারা হলুদ হয়ে যায় এবং মৃত অঞ্চল সৃষ্টি হয়।
-
নাইট্রোজেন (N): নাইট্রোজেনের অভাবে ক্লোরোফিল সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে পাতার সবুজ রং হালকা হতে হতে হলুদ হয়ে যায়। পাতার এই হলুদ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ‘ক্লোরোসিস’ (Chlorosis) বলে।

0
Updated: 8 hours ago
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি কোন ধরনের পরিবর্তনের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 week ago
A
জৈব পরিবর্তন
B
কেবল অবস্থার পরিবর্তন
C
ভৌত পরিবর্তন
D
রাসায়নিক পরিবর্তন
পরিবেশে সবসময় বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটে এবং এসব পরিবর্তন মূলত দুই প্রকারে বিভক্ত: রাসায়নিক পরিবর্তন এবং ভৌত পরিবর্তন। রাসায়নিক পরিবর্তনে নতুন পদার্থ সৃষ্টি হয়, আর ভৌত পরিবর্তনে পদার্থের গঠন অপরিবর্তিত থেকে কেবল তার অবস্থা পরিবর্তিত হয়।
-
পরিবেশে পদার্থের পরিবর্তন স্বাভাবিক এবং সবসময় ঘটে।
-
উদাহরণস্বরূপ, একটুকরা লোহা খোলা বাতাসে কিছুদিন রাখলে তার উপর একটি আবরণ তৈরি হয়, যা মরিচা নামে পরিচিত। তাপ প্রয়োগ করলে বরফ গলে পানি হয়, এবং পানি আরও তাপ প্রাপ্ত হলে বাষ্পে পরিণত হয়।
-
পরিবেশে দুই প্রকার পরিবর্তন ঘটে: রাসায়নিক পরিবর্তন ও ভৌত পরিবর্তন।
রাসায়নিক পরিবর্তন (Chemical Change):
-
এতে পদার্থের পরমাণু বা আণবিক গঠন পরিবর্তিত হয় এবং নতুন পদার্থ তৈরি হয়।
-
জ্বালানি পুড়ানো: কয়লা, কাঠ, প্রাকৃতিক গ্যাস, কেরোসিন ইত্যাদি পুড়িয়ে তাপ, আলো এবং CO2 উৎপন্ন হয়। এতে মূল পদার্থের কার্বন ও অক্সিজেন একত্রিত হয়ে নতুন পদার্থ CO2 তৈরি করে।
-
মিথেনের দহন: মিথেন (CH4) ও অক্সিজেন (O2) জ্বালালে CO2 ও পানি (H2O) তৈরি হয়, যা রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ।
-
পুষ্টি প্রক্রিয়া: দেহে খাবার হজমের সময় রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে শক্তি ও পুষ্টি উৎপন্ন হয়।
-
সালোকসংশ্লেষণ: উদ্ভিদ সূর্যালোক, CO2 এবং পানি ব্যবহার করে ক্লোরোফিলের মাধ্যমে স্টার্চ বা সেলুলোজ তৈরি করে, যা রাসায়নিক পরিবর্তন।

0
Updated: 1 week ago