বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ
১। নাম-বিশেষ্য:
ব্যক্তি, স্থান, দেশ, কাল, সৃষ্টি ইত্যাদির সুনির্দিষ্ট নামকে নাম-বিশেষ্য বলে।
যেমন—
-
ব্যক্তিনাম: হাবিব, সজল, লতা, শম্পা
-
স্থাননাম: ঢাকা, বাংলাদেশ, হিমালয়, পদ্মা
-
কালনাম: সোমবার, বৈশাখ, জানুয়ারি, রমজান
-
সৃষ্টিনাম: গীতাঞ্জলি, সঞ্চিতা, ইত্তেফাক, অপরাজেয় বাংলা
২। জাতি-বিশেষ্য:
জাতি-বিশেষ্যকে সাধারণ-বিশেষ্যও বলা হয়। এ ধরনের বিশেষ্য কোনো নির্দিষ্ট নাম বোঝায় না; বরং প্রাণী ও অপ্রাণীর সাধারণ নাম বোঝায়।
যেমন— মানুষ, গরু, ছাগল, ফুল, ফল, নদী, সাগর, পর্বত
৩। বস্তু-বিশেষ্য:
কোনো দ্রব্য বা বস্তুর নামকে বস্তু-বিশেষ্য বলে।
যেমন— ইট, লবণ, আকাশ, টেবিল, বই
৪। সমষ্টি-বিশেষ্য:
ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টিকে বোঝাতে সমষ্টি-বিশেষ্য ব্যবহৃত হয়।
যেমন— জনতা, পরিবার, ঝাঁক, বাহিনী, মিছিল
৫। গুণ-বিশেষ্য:
গুণগত অবস্থা বা ধারণার নামকে গুণ-বিশেষ্য বলে।
যেমন— সরলতা, দয়া, আনন্দ, গুরুত্ব, দীনতা, ধৈর্য
৬। ক্রিয়া-বিশেষ্য:
যে বিশেষ্য দিয়ে কোনো ক্রিয়া বা কাজের নাম বোঝায় তাকে ক্রিয়া-বিশেষ্য বলে।
যেমন— পঠন, ভোজন, শয়ন, করা, করানো, পাঠানো, নেওয়া