নভেরা আহমেদের পরিচয় কী হিসাবে?
A
কবি
B
নাট্যকার
C
কণ্ঠশিল্পী
D
ভাস্কর
উত্তরের বিবরণ
নভেরা আহমেদ (মার্চ ২৯, ১৯৩৯ – মে ৬, ২০১৫) ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী ভাস্কর, যিনি আধুনিক ভাস্কর্যশিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্যশিল্পের একজন অগ্রদূত এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম বাংলাদেশী আধুনিক ভাস্কর হিসেবে স্বীকৃত।
-
তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্যশিল্পের অগ্রদূত ছিলেন।
-
১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে তার অবদানের স্বীকৃতি দেয়।
-
মৃত্যুর প্রায় ৪৫ বছর পূর্ব পর্যন্ত তিনি প্যারিসে বসবাস করেন, যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক শিল্পমঞ্চে নিজের স্থান তৈরি করেন।

0
Updated: 9 hours ago
বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য কয়টি?
Created: 9 hours ago
A
৯ (নয়) টি
B
১০ (দশ) টি
C
১১ (এগার) টি
D
১২ (বার) টি
জিআই (GI) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হলো এমন একটি স্বীকৃতি যা কোনো পণ্যকে তার উৎপাদনভূমি বা ভৌগোলিক এলাকার সাথে সংযুক্ত করে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে। এটি পণ্যের মান, স্বাতন্ত্র্য এবং উৎস নিশ্চিত করে।
WIPO (World Intellectual Property Organization) হলো সেই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
জিআই এর পূর্ণরূপ হলো Geographical Indication।
-
বাংলাদেশের একাদশ GI পণ্য হলো ফজলি আম, যা দেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত আমের মধ্যে অন্যতম।
-
ফজলি আমের বৈশিষ্ট্য: এটি বাংলাদেশের উৎপাদিত আমের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির। ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে এই আমটি জিআই নিবন্ধন পায়। একক ফজলি আম লম্বায় ১২ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থে ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয়।
-
এর আগে, বাগদা চিংড়ি ২০১৯ সালে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে অন্য কোনো দেশ বাগদা চিংড়িকে তাদের পণ্য হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর সম্প্রতি এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে। জিআই স্বীকৃতির জন্য মৎস্য অধিদফতর মে ২০১৯-এ আবেদন করেছিল।
-
বাংলাদেশের GI পণ্য সমূহ:
১. জামদানি
২. ইলিশ
৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম
৪. বিজয়পুরের সাদা মাটি
৫. দিনাজপুরের কাটারীভোগ
৬. কালিজিরা
৭. রংপুরের শতরঞ্জি
৮. রাজশাহী সিল্ক
৯. ঢাকাই মসলিন
১০. বাগদা চিংড়ি
১১. ফজলি আম

0
Updated: 9 hours ago
কোন এলাকাকে 'Marine Protected Area (MPA)' ঘোষণা করা হয়েছে?
Created: 9 hours ago
A
সেন্টমার্টিন
B
সেন্টমার্টিন এবং এর আশেপাশের এলাকা
C
পটুয়াখালী ও বরগুনা
D
হিরন পয়েন্ট
Marine Protected Area (MPA) সংক্রান্ত বিষয়টি হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও এর আশেপাশের সমুদ্রসীমাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ। এই পদক্ষেপ মূলত পরিবেশ রক্ষা ও সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
-
সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং এর আশেপাশের ১,৭৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া (MPA) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
-
এর আগে, ১৯৯৯ সালে ৫৯০ হেক্টর এলাকা সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, যেটি তখন ‘সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ নামে পরিচিত ছিল।
-
নতুন ঘোষণার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের ৭০ মিটার গভীর সমুদ্রও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-
এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো অনিয়ন্ত্রিত জাহাজ ও ইঞ্জিনচালিত নৌকার চলাচল নিয়ন্ত্রণ, মাছ আহরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সমুদ্রে বর্জ্য ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ নিক্ষেপ রোধ, প্রবাল উপনিবেশের সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা।

0
Updated: 9 hours ago
আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি?
Created: 9 hours ago
A
রাঙ্গামাটি
B
বরিশাল
C
চট্টগ্রাম
D
ময়মনসিংহ
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের একটি কেন্দ্রবিন্দু। এই জেলা পাহাড়, হ্রদ এবং বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মিলনস্থল হিসেবে পরিচিত, যা ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়।
-
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ২২°-২৭'' থেকে ২৩°-৪৪'' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°-৫৬'' থেকে ৯২°-৩৩'' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
-
উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণে বান্দরবান, পূর্বে মিজোরাম, এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলা দ্বারা পরিবেষ্টিত।
-
আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা।
-
রাঙ্গামাটি দেশের একমাত্র রিক্সা বিহীন শহর, যা একটি হ্রদ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত।
-
এই জেলায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীসমূহ: চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, মুরং, বোম, খুমি, খেয়াং, চাক্, পাংখোয়া, লুসাই, সুজেসাওতাল, রাখাইন এবং বাঙালি—মোট ১৪টি জনগোষ্ঠী।
-
ইতিহাস অনুযায়ী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন পার্বত্য জেলা মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়েছিল। এই এলাকার প্রাচীন নাম ছিল কার্পাস মহল।
-
১৯৮১ সালে বান্দরবান এবং ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি পৃথক জেলা হিসেবে গঠিত হওয়ার পর, পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল অংশ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
-
প্রথাগত রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থায় এখানে চাক্মা সার্কেল চীফ দায়িত্বে থাকেন।
-
চাক্মা রাজা হলেন নিয়মতান্ত্রিক চাক্মা সার্কেল চীফ।

0
Updated: 9 hours ago