পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ কত সালে জারি হয়?
A
১৯৮০ সালে
B
১৯৮১ সালে
C
১৯৮৫ সালে
D
১৯৯১ সালে
উত্তরের বিবরণ
পারিবারিক আদালত অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ হলো একটি আইনগত অধ্যাদেশ যা পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আইনগত সমস্যার বিচার নিষ্পত্তি নিশ্চিত করে। এটি ১৯৮৫ সালে জারি করা হয়েছিল।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে পারিবারিক আদালতের বিচার্য বিষয়গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনসমূহ সংকলিত হয়েছে।
-
পারিবারিক আদালতের আইনগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী আইন, হিন্দু আইন, দেওয়ানি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন এবং অন্যান্য পারিবারিক আইন সম্পর্কিত অধ্যাদেশ।
-
এটি রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং পার্বত্য জেলার বাইরে সারা দেশে প্রযোজ্য।
-
আইন অনুযায়ী, দেশের সকল মুন্সেফ আদালত পারিবারিক আদালত হিসেবে গণ্য হবে এবং মুন্সেফগণ এ আদালতের বিচারক হবেন।
-
পারিবারিক আদালত মূলত পাঁচটি বিষয়ে বিচারকার্য সম্পন্ন করে:
• বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce)
• দাম্পত্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধার (Restoration of marital relationship)
• মোহরানা (Dowry/Mahr)
• ভরণপোষণ (Maintenance)
• অভিভাবকত্ব (Custody)

0
Updated: 9 hours ago
বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য কয়টি?
Created: 9 hours ago
A
৯ (নয়) টি
B
১০ (দশ) টি
C
১১ (এগার) টি
D
১২ (বার) টি
জিআই (GI) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হলো এমন একটি স্বীকৃতি যা কোনো পণ্যকে তার উৎপাদনভূমি বা ভৌগোলিক এলাকার সাথে সংযুক্ত করে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে। এটি পণ্যের মান, স্বাতন্ত্র্য এবং উৎস নিশ্চিত করে।
WIPO (World Intellectual Property Organization) হলো সেই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
জিআই এর পূর্ণরূপ হলো Geographical Indication।
-
বাংলাদেশের একাদশ GI পণ্য হলো ফজলি আম, যা দেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত আমের মধ্যে অন্যতম।
-
ফজলি আমের বৈশিষ্ট্য: এটি বাংলাদেশের উৎপাদিত আমের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির। ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে এই আমটি জিআই নিবন্ধন পায়। একক ফজলি আম লম্বায় ১২ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থে ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয়।
-
এর আগে, বাগদা চিংড়ি ২০১৯ সালে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে অন্য কোনো দেশ বাগদা চিংড়িকে তাদের পণ্য হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর সম্প্রতি এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে। জিআই স্বীকৃতির জন্য মৎস্য অধিদফতর মে ২০১৯-এ আবেদন করেছিল।
-
বাংলাদেশের GI পণ্য সমূহ:
১. জামদানি
২. ইলিশ
৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম
৪. বিজয়পুরের সাদা মাটি
৫. দিনাজপুরের কাটারীভোগ
৬. কালিজিরা
৭. রংপুরের শতরঞ্জি
৮. রাজশাহী সিল্ক
৯. ঢাকাই মসলিন
১০. বাগদা চিংড়ি
১১. ফজলি আম

0
Updated: 9 hours ago
আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি?
Created: 9 hours ago
A
রাঙ্গামাটি
B
বরিশাল
C
চট্টগ্রাম
D
ময়মনসিংহ
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের একটি কেন্দ্রবিন্দু। এই জেলা পাহাড়, হ্রদ এবং বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মিলনস্থল হিসেবে পরিচিত, যা ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়।
-
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ২২°-২৭'' থেকে ২৩°-৪৪'' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°-৫৬'' থেকে ৯২°-৩৩'' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
-
উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণে বান্দরবান, পূর্বে মিজোরাম, এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলা দ্বারা পরিবেষ্টিত।
-
আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা।
-
রাঙ্গামাটি দেশের একমাত্র রিক্সা বিহীন শহর, যা একটি হ্রদ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত।
-
এই জেলায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীসমূহ: চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, মুরং, বোম, খুমি, খেয়াং, চাক্, পাংখোয়া, লুসাই, সুজেসাওতাল, রাখাইন এবং বাঙালি—মোট ১৪টি জনগোষ্ঠী।
-
ইতিহাস অনুযায়ী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন পার্বত্য জেলা মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়েছিল। এই এলাকার প্রাচীন নাম ছিল কার্পাস মহল।
-
১৯৮১ সালে বান্দরবান এবং ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি পৃথক জেলা হিসেবে গঠিত হওয়ার পর, পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল অংশ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
-
প্রথাগত রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থায় এখানে চাক্মা সার্কেল চীফ দায়িত্বে থাকেন।
-
চাক্মা রাজা হলেন নিয়মতান্ত্রিক চাক্মা সার্কেল চীফ।

0
Updated: 9 hours ago
দেশের কোন জেলায় সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত?
Created: 9 hours ago
A
চট্টগ্রাম
B
ফেনী
C
নরসিংদী
D
ময়মনসিংহ
দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ময়মনসিংহে অবস্থিত এবং এটি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎস হিসেবে কাজ করছে।
এই কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
-
দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সুতিয়াখালীতে অবস্থিত।
-
বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে এইচ ডি এফ সি সিন পাওয়ার লিমিটেড ১৭৪ একর জমির ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
-
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান Huawei Smart Photovoltaic (PV) Install এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র যুক্ত হয়েছে।
-
এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ৭৩ মেগাওয়াট, যা দেশের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 9 hours ago