বাংলা ভাষার আঞ্চলিক কথ্য রীতিতে অঞ্চলভেদে ভিন্নতা দেখা যায়, আর এই ভিন্নতাকেই উপভাষা বলা হয়। প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের উচ্চারণ ও ব্যবহারে পার্থক্য থাকলেও তা সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব।

তথ্যগুলো হলোঃ

• বাঙ্গালি উপভাষা: বাংলাদেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।

• পূর্বি উপভাষা: বাংলাদেশের পূর্ব অঞ্চল, ত্রিপুরা ও আসামের বরাক উপত্যকায় প্রচলিত।

• বরেন্দ্রি উপভাষা: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।

• কামরূপি উপভাষা: বিহারের পূর্বাংশ, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ এবং বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলে প্রচলিত।

• রাঢ়ি উপভাষা: পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।

• ঝাড়খণ্ডি উপভাষা: পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল ও ঝাড়খণ্ডের পূর্বাঞ্চলে প্রচলিত।

উপরের তথ্যের আলোচনায় দেখা যায়, প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে বরিশাল সবচেয়ে যথার্থ উত্তর।

উচ্চ ফলনশীল ফসল ও তাদের জাত

কৃষি খাতে বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত নির্বাচনের মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা যায়। নিচে কয়েকটি প্রধান ফসল ও তাদের উচ্চ ফলনশীল জাতের তালিকা দেওয়া হলো:

১. আলু:
উচ্চ ফলনশীল আলুর জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

• হীরা

• আইলসা

• ডায়মন্ড

• কার্ডিনাল

• চমক

• সুন্দরী

• কুফরী

২. তুলা:
উন্নত জাতের তুলা শস্যের একটি জনপ্রিয় জাত হলো:

• রূপালী

৩. বাঁধাকপি:
উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে:

• গ্রীন এক্সপ্রেস

• ড্রামহেড

• গোল্ডেন ক্রস

• প্রভাতী

• অগ্রদূত

৪. ধান:
উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতের মধ্যে রয়েছে:

• বিপ্লব

• ইরাটম

• ব্রিশাইল

• ময়না

• চান্দিনা

• হরিধান

• নারিফা

• প্রগতি

৫. অন্যান্য:

• সরিষা: সফল

• ভুট্টা: উত্তরণ

• বেগুন: শুকতারা

সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস (Agricultural Information Service) ও কৃষি শিক্ষা বোর্ডবই।

সাধারণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাতাসে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে নাইট্রোজেন (৭৮.০২%)। এরপর রয়েছে অক্সিজেন (২০.৭১%)।

সামান্য পরিমাণে আর্গন (০.৮০%), জলীয়বাষ্প (০.৪১%), কার্বন-ডাই-অক্সাইড (০.০৩%) এবং অন্যান্য গ্যাস মিলে প্রায় ০.০২% পাওয়া যায়।

তাই বলা যায়, সমুদ্রতীরের বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয়বাষ্পের কিছুটা তারতম্য থাকলেও, বাতাসের মূল অংশজুড়ে থাকে নাইট্রোজেন গ্যাস।

তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম–দশম শ্রেণি।