বাংলাদেশের মৎস্য প্রজাতি গবেষণাগার কোথায় অবস্থিত? ক) খ) গ) ঘ)
A
চাঁদপুর
B
ফরিদপুর
C
ময়মনসিংহ
D
ভোলা
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নের জন্য একমাত্র জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিচালিত হয়।
এই ইনস্টিটিউট ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। গবেষণা কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ৫টি কেন্দ্র এবং ৫টি উপকেন্দ্র থেকে পরিচালিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য: দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
-
আবস্থান: প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহ, সাথে ৫টি কেন্দ্র এবং ৫টি উপকেন্দ্র।
-
আধিপত্য: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
-
প্রতিষ্ঠার সাল: ১৯৮৪।

0
Updated: 9 hours ago
কৃষিক্ষেত্রে রবি মৌসুম কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
কার্তিক - ফাল্গুন
B
চৈত্র - বৈশাখ
C
ভাদ্র - অগ্রহায়ণ
D
শ্রাবণ - আশ্বিন
বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে শস্য উৎপাদনের সময়কে সাধারণভাবে দুইটি মৌসুমে ভাগ করা হয়। প্রতিটি মৌসুমের জন্য আলাদা সময়ে ভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়।
-
রবি মৌসুম
-
শীতকালীন শস্যকে রবি শস্য বলা হয়।
-
কার্তিক থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এই মৌসুম চলে।
-
-
খরিপ মৌসুম
-
গ্রীষ্মকালীন শস্যকে খরিপ শস্য বলা হয়।
-
চৈত্র থেকে আষাঢ় এবং শ্রাবণ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত এই মৌসুমের সময়কাল।
-

0
Updated: 3 weeks ago
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি কোন গ্রন্থে সর্বাধিক উল্লেখিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
আলমগীরনামা
B
আইন-ই-আকবরী
C
আকবরনামা
D
তুজুক-ই-আকবরী
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তি
আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে বাংলা নামের উৎপত্তি প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ পাওয়া যায়।
আইন-ই-আকবরী
-
মুঘল সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) রাজদরবারের ঐতিহাসিক আবুল ফজল এই গ্রন্থটি রচনা করেন।
-
এটি মূলত আকবরনামা নামের বৃহৎ ইতিহাসগ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড।
-
আকবর যে সব প্রশাসনিক আইন ও নীতি কার্যকর করেছিলেন, সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ এখানে পাওয়া যায়।
-
যদিও এটি আকবরনামার অংশ, তবুও আইন-ই-আকবরী নিজেই একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে এ গ্রন্থের তথ্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা নামের উৎপত্তি
গ্রন্থে উল্লেখ আছে—
-
বাংলার প্রাচীন নাম ছিল বঙ্গাল।
-
কারণ, এই দেশের রাজারা সারাদেশে চওড়া ‘আল’ (উঁচু বাঁধ/মাটি তোলা রাস্তা) নির্মাণ করতেন।
-
তাই ‘বঙ্গ’ + ‘আল’ = ‘বঙ্গাল’, যেখান থেকে বাংলা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
আর্যদের ধর্মগ্রন্থের নাম কী ছিল?
Created: 2 weeks ago
A
মহাভারত
B
রামায়ণ
C
গীতা
D
বেদ
ভারতে সিন্ধু সভ্যতার পতনের পর একটি নতুন জাতি প্রবেশ করে, যারা ইতিহাসে আর্য নামে পরিচিত। এরা বেদের ধর্ম অনুসরণ করতো এবং ধর্মের নিয়ম-কানুন নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতো।
বেদের অনুসারী এই আর্যরা ভারতে একটি নতুন সভ্যতা গড়ে তোলে, যা ইতিহাসে আর্য সভ্যতা বা বৈদিক সভ্যতা নামে পরিচিত। বেদ কেবল ধর্মগ্রন্থই নয়, এতে সাহিত্যিক গুণাবলীরও পরিচয় মেলে। আর্য সভ্যতা ভারতবর্ষে উন্নত সাহিত্য, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় জীবনের নতুন ধারণা ও প্রথার সূচনা করে।
এছাড়া, এই সভ্যতা ভারতকে ধাতু যুগের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। বেদের অপরনাম শ্রুতি, কারণ বেদ লিপিবদ্ধ হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের স্মৃতিতে সংরক্ষিত ছিল।
-
সিন্ধু সভ্যতার পতনের পর ভারতে প্রবেশ করে আর্য জাতি
-
ইতিহাসে এদের নাম আর্য
-
প্রধান ধর্মগ্রন্থ: বেদ
-
ধর্ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতো আর্যরা
-
বেদের অনুসারী হিসেবে গড়ে তোলে আর্য সভ্যতা / বৈদিক সভ্যতা
-
বেদ কেবল ধর্মগ্রন্থ নয়, এতে সাহিত্যিক মূল্যও ছিল
-
আর্য সভ্যতা বৈদিক সাহিত্য জন্ম দেয়
-
সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জীবনে নতুন ধারণা সৃষ্টি করে
-
ভারতকে ধাতু যুগের সঙ্গে পরিচয় করায়
-
বেদের অপরনাম শ্রুতি, দীর্ঘ সময় মানুষের স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকায়

0
Updated: 2 weeks ago