● ‘অপ’ একটি সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ।
● উপসর্গ
যে শব্দাংশগুলো মূল ধাতুর আগে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে, সেগুলোকে উপসর্গ বলে।
● বাংলা ভাষার উপসর্গ তিন প্রকার
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
৩. বিদেশি উপসর্গ
● খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গগুলোকেই খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলে।
এই ধরনের উপসর্গ মোট ২১টি। যেমন:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা
🔹 এদের মধ্যে আ, সু, বি, নি উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়।
● সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত ভাষা থেকে নেওয়া যেসব উপসর্গ বাংলায় ব্যবহৃত হয়, তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলা হয়।
এই ধরনের উপসর্গ মোট ২০টি। যেমন:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ
● বিদেশি উপসর্গ
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি ইত্যাদি ভাষা থেকে কিছু উপসর্গ বাংলায় এসেছে।
এসব উপসর্গকে বিদেশি উপসর্গ বলে।
এই উপসর্গগুলোর নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই।
উদাহরণ
-
আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু উপসর্গ: হর
-
ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ড. হায়াৎ মামুদ