মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর কোন্ সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
A
২ (দুই) নম্বর
B
৩ (তিন) নম্বর
C
৪ (চার) নম্বর
D
৫ (পাঁচ) নম্বর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সামরিক কৌশলকে কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পুরো ভূখণ্ডকে ১১টি সেক্টর বা রণাঙ্গনে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন এবং সুবিধাজনক যুদ্ধ পরিকল্পনার জন্য প্রতিটি সেক্টরকে আবার কয়েকটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল। সাব-সেক্টরের দায়িত্বে থাকতেন একজন করে কমান্ডার। নিচে সেক্টরভিত্তিক তথ্য তুলে ধরা হলো।
-
২ নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও নোয়াখালি জেলার অংশ নিয়ে গঠিত। বাহিনী গঠিত হয় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল, কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর সদস্যদের দ্বারা। সদরদপ্তর ছিল আগরতলার মেলাঘরে। এখানে ৬টি সাব-সেক্টর ছিল। কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ এবং পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
১ নং সেক্টর: ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও ফেনী পর্যন্ত বিস্তৃত। এপ্রিল–জুন পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং জুন–ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর রফিকুল ইসলাম। এই সেক্টর ৫টি সাব-সেক্টরে বিভক্ত ছিল।
-
৩ নং সেক্টর: হবিগঞ্জ, আখাউড়া–ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্বদিকে কুমিল্লার কিছু অংশ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকার কিছু এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এপ্রিল–সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর কেএম শফিউল্লাহ এবং সেপ্টেম্বর–ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এএনএম নুরুজ্জামান। এখানে ৭টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৪ নং সেক্টর: সিলেট জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত, যেখানে ৬টি সাব-সেক্টর ছিল। মে–ডিসেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর সিআর দত্ত এবং পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫ নং সেক্টর: বৃহত্তর ময়মনসিংহ সীমান্ত ও সিলেটের কিছু অঞ্চল নিয়ে গঠিত। কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী। এখানে ৬টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৬ নং সেক্টর: দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অঞ্চল বাদে সমগ্র রংপুর অন্তর্ভুক্ত ছিল। কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার এমকে বাশার। এখানে ৫টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৭ নং সেক্টর: রাজশাহী, পাবনা, সমগ্র বগুড়া, দিনাজপুরের দক্ষিণাংশ এবং রংপুরের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন মেজর নাজমুল হক, সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান (পরে লে. কর্নেল)। এখানে ৯টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৮ নং সেক্টর: কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা ও ফরিদপুরের কিছু অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এপ্রিল–আগস্ট পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং আগস্ট–ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এখানে ৭টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৯ নং সেক্টর: পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনার কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত। ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল, তারপর মেজর জয়নাল আবেদীন। অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন মেজর এম এ মঞ্জুর। এখানে ৩টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
১০ নং সেক্টর: সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল ও নৌ কমান্ডো অপারেশনের দায়িত্বে ছিল। এখানে কোনো নিয়মিত সাব-সেক্টর বা সেক্টর কমান্ডার ছিল না। এটি সরাসরি প্রধান সেনাপতির নিয়ন্ত্রণাধীন বিশেষ বাহিনী হিসেবে কাজ করত।
-
১১ নং সেক্টর: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা (কিশোরগঞ্জ ছাড়া) অন্তর্ভুক্ত ছিল। এপ্রিল–জুন পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর আবু তাহের, এবং এরপর ফ্লাইট লেফট্যান্যান্ট এম হামিদুল্লাহ খান। এখানে ৭টি সাব-সেক্টর ছিল।

0
Updated: 10 hours ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
Created: 2 weeks ago
A
৭ নং
B
১০ নং
C
৬ নং
D
৪ নং
বীরশ্রেষ্ঠ হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক, যা যুদ্ধক্ষেত্রে অতুলনীয় সাহস, ত্যাগ ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদত্ত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
-
সেক্টর: ৭ নং
-
মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ (বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে শেষ শহীদ)
-
সমাধিস্থল: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণ
-
-
সিপাহী হামিদুর রহমান
-
সেক্টর: ৪ নং
-
মৃত্যু: ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১
-
সমাধিস্থল: মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান
-
-
মোহাম্মদ রুহুল আমিন
-
সেক্টর: ১০ নং
-
মৃত্যু: ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১
-
সমাধিস্থল: রূপসা ফেরিঘাটের লুকপুর
-
-
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ
-
সেক্টর: ১ নং
-
মৃত্যু: ৮ এপ্রিল, ১৯৭১ (বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে প্রথম শহীদ)
-
সমাধিস্থল: রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে, কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের পাশে
-

0
Updated: 2 weeks ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কোন বিভাগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে কম?
Created: 2 weeks ago
A
রংপুর
B
সিলেট
C
খুলনা
D
রাজশাহী
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২: ইন্টারনেট ব্যবহার
-
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী (৫ বছর ও তদূর্ধ্ব):
-
মোট ব্যবহারকারী: ৩০.৬৯%
-
পুরুষ ব্যবহারকারী: ৩৮.০৪%
-
নারী ব্যবহারকারী: ২৩.৫২%
-
-
বিভাগভিত্তিক ব্যবহার:
-
ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক: ৪০.৪২%
-
রংপুর বিভাগে সর্বনিম্ন: ২৩.৫২%
-
-
শহর ও গ্রাম:
-
শহরে: ৪১.৩০%
-
গ্রামে: ২৫.৭৩%
-
তথ্যসূত্র: পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২নং সেক্টরের সদরদপ্তর ছিল -
Created: 5 days ago
A
হরিনাতে
B
মেলাঘরে
C
মাসিমপুরে
D
বশিরহাটে
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে কার্যকরভাবে পরিচালনা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার সুবিধার্থে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে এবং ৬৪টি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের জন্য নির্দিষ্ট অঞ্চল, সদরদপ্তর ও কমান্ডার নিযুক্ত ছিলেন।
-
১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালির পূর্বাঞ্চল নিয়ে গঠিত। সদরদপ্তর ছিল হরিনাতে। কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান এবং পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও নোয়াখালির অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত। সদরদপ্তর ছিল আগরতলার মেলাঘরে। কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ এবং পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
৩নং সেক্টর: উত্তরে শ্রীমঙ্গলের চূড়ামনকাঠি থেকে সিলেট এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল পর্যন্ত বিস্তৃত। কমান্ডার ছিলেন মেজর কে.এম. শফিউল্লাহ এবং পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
-
৪নং সেক্টর: হবিগঞ্জ থেকে কানাইঘাট পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা নিয়ে গঠিত। সদরদপ্তর ছিল প্রথমে করিমগঞ্জ এবং পরে আসামের মাসিমপুরে। কমান্ডার ছিলেন মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত এবং পরে ক্যাপ্টেন এ. রব।
-
৫নং সেক্টর: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি ও পূর্ব সীমান্ত অঞ্চল। সদরদপ্তর ছিল বাঁশতলাতে। কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬নং সেক্টর: রংপুর জেলা ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা নিয়ে গঠিত। প্রধানত ইপিআর বাহিনী দ্বারা পরিচালিত। কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার।
-
৭নং সেক্টর: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও দক্ষিণ দিনাজপুর অঞ্চল নিয়ে গঠিত। প্রাথমিকভাবে ক্যাপ্টেন গিয়াস ও ক্যাপ্টেন রশিদ অভিযান পরিচালনা করেন। কমান্ডার ছিলেন মেজর নাজমুল হক এবং পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮নং সেক্টর: প্রাথমিকভাবে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং ফরিদপুরের উত্তরাংশ নিয়ে পুনর্গঠিত হয়। কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং পরে মেজর এম.এ. মঞ্জুর।
-
৯নং সেক্টর: বরিশাল, পটুয়াখালী এবং খুলনা ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত। সদরদপ্তর ছিল টাকি, বশিরহাটের নিকটে। কমান্ডার ছিলেন মেজর এম.এ. জলিল এবং পরে মেজর এম.এ. মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০নং সেক্টর: এটি ছিল বিশেষ নৌ-কমান্ডো বাহিনী, যা ফ্রান্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি কর্মকর্তা উদ্যোগে গঠিত হয়।
-
১১নং সেক্টর: সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা (টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ ব্যতীত) নিয়ে গঠিত। সদরদপ্তর ছিল মহেন্দ্রগঞ্জে। কমান্ডার ছিলেন মেজর এম. আবু তাহের। তিনি আহত হলে স্কোয়াড্রন লিডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

0
Updated: 5 days ago