বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন কে?
A
রাষ্ট্রপতি
B
স্পীকার
C
চীফ হুইপ
D
প্রধানমন্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২(১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ভূমিকা জাতীয় সংসদের কার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত এবং ভঙ্গ করার ক্ষমতা রাখেন, তবে এসব দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুসরণ করতে হয়।
-
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও ভূমিকা
-
তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত ও ভঙ্গ করেন।
-
এসব কার্য সম্পাদনের সময় প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ মেনে চলতে হয়।
-
নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন ও নতুন বছরের শুরুতে রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ প্রদান করেন।
-
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
-
প্রয়োজনে তিনি সংসদে বার্তা বা বাণী পাঠাতে পারেন।
-
রাষ্ট্রপতি সংসদ মুলতবি রাখতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখেন।
-
-
অন্য পদাধিকারীদের দায়িত্ব
-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
মাননীয় স্পিকার সংসদের সভাপতি হিসেবে কার্য সম্পাদন করেন।
-
চিফ হুইপ সংসদ সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ সম্পাদন করেন।
-

0
Updated: 11 hours ago
বাংলাদেশের কোন জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু হয়?
Created: 1 month ago
A
প্রথম
B
দ্বিতীয়
C
সপ্তম
D
অষ্টম
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব – সপ্তম জাতীয় সংসদে সূচনা
১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এ সংসদে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করা হয়।
সংসদের অধিবেশন চলাকালে প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট এক দিনে সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন, এবং প্রধানমন্ত্রী সেগুলোর উত্তর দেন। শুরুতে এই পর্বের সময় ১৫ মিনিট নির্ধারিত ছিল। পরে এটি বৃদ্ধি করে ৩০ মিনিট করা হয়, যেখানে সরকারি দলের সদস্যদের জন্য ১৫ মিনিট এবং বিরোধী দলের সদস্যদের জন্য ১৫ মিনিট বরাদ্দ থাকে।
উৎসঃ জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কত জনে?
Created: 2 months ago
A
৯০ জন
B
৭৫ জন
C
৬০ জন
D
৫০ জন
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫ নং অনুচ্ছেদে কোরাম বিষয়ক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সর্বনিম্ন ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। অর্থাৎ, জাতীয় সংসদের বৈধ কার্যক্রম বা কোরাম বজায় থাকবে যখন কমপক্ষে ৬০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় সংসদের চলমান সভায় যদি কোন সময়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা ৬০ এর নিচে নেমে আসে এবং এ বিষয়ে সভাপতির কাছে কেউ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, তাহলে তিনি বৈঠক স্থগিত বা মুলতবি করার সিদ্ধান্ত নেবেন যতক্ষণ পর্যন্ত ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি পুনরায় নিশ্চিত না হয়।
উল্লেখযোগ্য:
কোরাম বলতে বোঝায়, কোনো বৈধ সভা বা সংস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যে ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা উপস্থিত থাকা আবশ্যক, যা সংস্থার নিয়মনীতি বা আইনে পূর্বনির্ধারিত থাকে।
তথ্যের উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
দশম
B
দ্বাদশ
C
পঞ্চদশ
D
সপ্তদশ
সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী
-
পাসের তারিখ: ৬ আগস্ট ১৯৯১
-
ভোটের ফলাফল: ৩০৭–০ ভোটে গৃহীত
-
মূল উদ্দেশ্য: রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত (সংসদীয়) সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।
দ্বাদশ সংশোধনীর বৈশিষ্ট্য
-
সংসদীয় সরকার:
-
বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত।
-
-
নামমাত্র রাষ্ট্রপতি:
-
রাষ্ট্রপতি আইনানুসারে সংসদ সদস্য দ্বারা নির্বাচিত হবেন।
-
যাবতীয় কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে পরিচালনা করবেন।
-
-
রাষ্ট্রপতির মেয়াদ:
-
রাষ্ট্রপতি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
-
একাধিক্রমে ১০ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকবেন না।
-
-
উপ-রাষ্ট্রপতির পদ বিলোপ:
-
দ্বাদশ সংশোধনী উপ-রাষ্ট্রপতির পদ বিলোপ করে।
-
রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে জাতীয় সংসদের স্পীকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
-
-
মন্ত্রিসভা গঠন:
-
মন্ত্রিসভা গঠন ও কার্যক্রম সংবিধানে নির্ধারিত।
-
রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের আস্থাভাজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করবেন।
-
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার নেতা হবেন।
-
-
গণভোট পদ্ধতি:
-
সংশোধনী বিল কেবল সংবিধানের প্রস্তাবনা বা নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ (৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২) সংক্রান্ত হলে গণভোট আকারে পেশ করা যাবে।
-
উৎস:
i) BBC
ii) বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago