'সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি' গঠিত হয়—
A
১৯৪৮ সালে
B
১৯৫০ সালে
C
১৯৫২ সালে
D
১৯৫৪ সালে
উত্তরের বিবরণ
ভাষা আন্দোলন বাঙালির জাতীয় চেতনায় এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সালের মধ্যে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন সংগঠন ও পরিষদ গঠিত হয়। এ সময়কালের ঘটনাগুলো ইতিহাসে বিশেষভাবে লিপিবদ্ধ আছে।
-
১৯৪৭ সালের ১ অক্টোবর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এর আহ্বায়ক ছিলেন নুরুল হক ভূঁইয়া।
-
১৯৪৮ সালের ২ মার্চ দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় এবং আহ্বায়ক ছিলেন শামছুল আলম।
-
১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারি ভাষা আন্দোলনকে আরো সংগঠিত করার জন্য "সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি" গঠিত হয়, যার আহ্বায়ক ছিলেন কাজী গোলাম মাহবুব। (উৎস: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব by ড. মযহারুল ইসলাম, প্রকাশকাল: ১৯৭৪; পৃষ্ঠা: ১২৮)
-
তবে অনেক ঐতিহাসিক দলিলে এই সংগঠনকে “সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ” নামে উল্লেখ করা হয়েছে।
-
ঐ দিন আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী-এর সভাপতিত্বে সর্বদলীয় সভায় এই পরিষদ গঠিত হয়।
-
কাজী গোলাম মাহবুবকে আহ্বায়ক করে মোট ২৮ সদস্য বিশিষ্ট সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
-
২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সন্ধ্যায় আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
-
এই বৈঠকে আবদুল মতিন, অলি আহাদ, গোলাম মাহবুব প্রমুখ নেতা ১৪৪ ধারা অমান্য করার সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দেন।
-
শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় যে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় (বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চত্বর) ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হবে।
-
এই সভা ক্রমে জনসমুদ্রে পরিণত হয় এবং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে।

0
Updated: 10 hours ago
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদে নতুন কমিটির আহবানে কত তারিখ ধর্মঘট পালিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১১ই মার্চ
B
১২ মার্চ
C
২৩ ফেব্রুয়ারি
D
৩ মার্চ
বাংলা ভাষা আন্দোলনের সূচনা ১৯৪৮ সালের শুরু থেকেই শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মধ্যে অনুভূত হয়, যখন তারা বাংলাকে শিক্ষা ও সরকারি কার্যক্রমের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উত্থাপন করে। ভাষা আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ নিম্নরূপ:
-
১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের একটি সভায় প্রস্তাব দেওয়া হয়, যাতে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়।
-
পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে ইংরেজি ও উর্দুতে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর, পূর্ব বাংলা কংগ্রেস পার্টির সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকেও অধিবেশনের ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
-
মুসলিম লীগের সকল সদস্য এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে।
-
প্রতিবাদে পূর্ব বাংলার শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে আন্দোলনে অংশ নেয়।
-
২৬ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে ঢাকার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।
-
২ মার্চ ১৯৪৮ সালে শিক্ষার্থী ও বুদ্ধিজীবীদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
-
নতুন কমিটির আহ্বানে ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে আবারও ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম’ পরিষদের আহ্বায়ক কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
আবুল বরকত
B
আবদুল মতিন
C
গোলাম আযম
D
রফিকুল ইসলাম
সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলন কর্মসূচি
-
১৯৪৯ সালের মার্চ মাসে আকরাম খানকে সভাপতি করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ‘পূর্ববাংলা ভাষা কমিটি’ গঠন করে।
-
এই কমিটি গঠনের প্রতিবাদ জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
-
১৯৫০ সালের ১১ মার্চ, আব্দুল মতিনকে আহ্বায়ক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
-
সেপ্টেম্বর মাসে গণপরিষদ কর্তৃক গঠিত মূলনীতি কমিটির সুপারিশে বলা হয়, “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।”
-
১৯৫১ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান আততায়ীর হাতে নিহত হন।
-
তাঁর স্থলে প্রধানমন্ত্রী হেনা খাজা নাজিমুদ্দিন হন।
-
১৯৫২ সালে ঢাকায় খাজা নাজিমুদ্দিনের এক উক্তিকে কেন্দ্র করে ভাষা আন্দোলন নতুন মাত্রা ও সর্বাত্মক রূপ লাভ করে।

0
Updated: 1 week ago
প্রথম ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ কবে গঠিত হয়েছিল?
Created: 5 days ago
A
১৯৪৮ সালের মার্চ
B
১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর
C
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি
D
১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ছিল ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠন, যা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিকে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক রূপ দেয়।
-
১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তমদ্দুন মজলিশের উদ্যোগে প্রথম ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়।
-
এই পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নূরুল হক ভূইয়া।
-
পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ শিক্ষার্থী ও বুদ্ধিজীবীদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো আবারও ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়।
-
নতুন কমিটির আহ্বানে ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে ধর্মঘট পালন করা হয়, যা ভাষা আন্দোলনের গতি আরও ত্বরান্বিত করে।

0
Updated: 5 days ago