নক্ষত্র থেকে পৃথিবীর দূরত্ব কোন এককে মাপা হয়?
A
কিলোমিটার
B
আলোক বর্ষ
C
মাইল
D
অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট
উত্তরের বিবরণ
নক্ষত্র ও দূরত্বের একক সম্পর্কিত তথ্য অনুযায়ী, কোনো নক্ষত্র থেকে পৃথিবীর দূরত্ব অত্যন্ত বিশাল হওয়ায় এটি আলোক বর্ষ (Light Year) এককে মাপা হয়। অন্যদিকে, সূর্য এবং পৃথিবীর গড় দূরত্ব মাপার জন্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট (AU) ব্যবহার করা হয়।
নক্ষত্র (Stars):
-
যেসব জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো থাকে, তাদের নক্ষত্র বলা হয়।
-
মহাকাশে অসংখ্য নক্ষত্র রয়েছে; খালি চোখে আমরা মাত্র কয়েক হাজার নক্ষত্র দেখতে পারি। শক্তিশালী দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে আরও অনেক নক্ষত্র দেখা যায়।
-
নক্ষত্র হলো জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড, যা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস নিয়ে গঠিত। এরা প্রায় ৬০০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জ্বলছে।
-
সূর্যের প্রখর আলোর কারণে দিনের বেলায় অন্যান্য নক্ষত্র দেখা যায় না।
-
পৃথিবী থেকে দেখা গেলে নক্ষত্রগুলো যেন একই সমতলে অবস্থান করছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এরা বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থান করছে।
দূরত্ব মাপের প্রাসঙ্গিক তথ্য:
-
পৃথিবী ও নক্ষত্রদের মধ্যে এবং নক্ষত্রদের পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব এত বড় যে কিলোমিটার দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। তাই এটি আলোক বর্ষে মাপা হয়।
-
আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এই বেগে এক বছরে আলো যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে এক আলোক বর্ষ বলা হয়।
-
সূর্য পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র; সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড সময় লাগে।
-
সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র হলো প্রক্সিমা সেন্টারি (Proxima Centauri) এবং পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪.২ আলোক বর্ষ।

0
Updated: 15 hours ago
নদীর পানির ক্ষেত্রে কোনটি সত্য?
Created: 3 weeks ago
A
COD > BOD
B
COD < BOD
C
COD = BOD
D
উপরের কোনটিই নয়
প্রাণ রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা (Biological/Biochemical Oxygen Demand - BOD)
-
পানিতে উপস্থিত জীবাণু বা অনুজীব যখন জৈব ও অজৈব পদার্থকে ভাঙে বা বিয়োজিত করে, তখন তাদের জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেনের দরকার হয়।
-
এই প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের পরিমাণকেই প্রাণ রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা (BOD) বলা হয়।
-
পানির বিশুদ্ধতা বা মান যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো BOD।
রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা (Chemical Oxygen Demand - COD)
-
পানিতে কিছু দূষক পদার্থ থাকে যেগুলো জীবাণু দিয়ে ভাঙা সম্ভব হয় না (non-biodegradable পদার্থ)।
-
এগুলিকে ভাঙতে শক্তিশালী জারক পদার্থ যেমন পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট (K₂Cr₂O₇) ব্যবহার করা হয়।
-
এ ধরনের জারক পদার্থ দূষককে অক্সিজেন যোগ করে ভেঙে দেয়।
-
পানিতে থাকা বিয়োজনযোগ্য ও অযোগ্য সব ধরনের পদার্থকে ভাঙার জন্য যত অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, সেটাই COD নামে পরিচিত।
COD ও BOD এর মানের পার্থক্য
-
সাধারণত কোনো নমুনায় COD এর মান BOD এর চেয়ে বেশি হয়।
-
কারণ, COD পরীক্ষায় শুধু বিয়োজনযোগ্য পদার্থ নয়, বিয়োজন অযোগ্য পদার্থও ভেঙে যায়।
-
ফলে COD যত বেশি হয়, পানির দূষণের মাত্রাও তত বেশি বোঝায়।
উৎস: পরিবেশ রসায়ন, রসায়ন ২য় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago
এক্স-রের কোন বৈশিষ্ট্য সঠিক?
Created: 1 week ago
A
এক্স-রে সরল পথে গমন করে
B
এক্স-রে আলোর চেয়ে বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ধারণ করে
C
এক্স-রে বিক্ষিপ্ত হয় তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা
D
এক্স-রে গ্যাসের মধ্য দিয়ে গমনকালে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না
এক্স-রে (X-Rays) হলো এমন এক ধরনের তড়িৎচুম্বকীয় রশ্মি যা ১৮৯৫ সালে জার্মান বিজ্ঞানী প্রফেসর উইলিয়াম রঞ্জন আবিষ্কার করেন। পরে একে রঞ্জন রশ্মি নামেও ডাকা হয়। এক্স-রে তখন সৃষ্টি হয় যখন উচ্চগতির ইলেকট্রন কোনো ধাতব প্রতিবন্ধকের (Target) সাথে সংঘর্ষে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং তার গতিশক্তি এক্স-রেতে রূপান্তরিত হয়।
এক্স-রের বৈশিষ্ট্য:
-
এক্স-রে সরল পথে চলে।
-
এক্স-রে অদৃশ্য, সাধারণ আলো রেটিনায় পড়লে দেখা যায় কিন্তু এক্স-রে দেখার অনুভূতি জাগায় না।
-
এটি তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
এক্স-রের তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে অনেক ছোট।
-
এক্স-রে আলোর সমবেগে (≈ 3×10⁸ m/s) চলে।
-
আলোর মতো এক্স-রে প্রতিফলন, প্রতিসরণ, অপবর্তন ও পোলারাইজেশন করতে পারে।
-
এক্স-রে আলোর তড়িৎক্রিয়া প্রদর্শন করে।
-
এক্স-রে ফটোগ্রাফিক প্লেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
এক্স-রে তড়িৎ ক্ষেত্র বা চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না, অর্থাৎ কোনো চার্জ নেই।
-
এক্স-রে গ্যাসকে আয়নিত করতে সক্ষম।
-
এক্স-রে প্রতিপ্রভা (fluorescence) সৃষ্টি করতে পারে।
-
এক্স-রের ভেদন ক্ষমতা অত্যধিক।
-
এক্স-রে জীবন্ত কোষকে ধ্বংস করতে পারে।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
কর্পূর কোন ধরনের পদার্থ?
Created: 1 week ago
A
অদাহ্য পদার্থ
B
উদ্বায়ী পদার্থ
C
অদ্রব্য পদার্থ
D
তড়িৎ পরিবাহী পদার্থ
পদার্থের অবস্থা বলতে বোঝায় কোনো পদার্থ তার রাসায়নিক গঠন অপরিবর্তিত রেখে ভিন্ন ভিন্ন আকার বা অবস্থায় প্রকাশিত হতে পারে। পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে এই অবস্থার পরিবর্তন সম্পর্কিত।
-
পদার্থের ভৌত অবস্থার মধ্যে রয়েছে ঘনত্ব, স্থায়িত্ব, স্ফুটনাঙ্ক, দ্রাব্যতা, চৌম্বক ধর্ম, আলোতে প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
-
পদার্থ সাধারণত কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় অবস্থায় পাওয়া যায়।
-
তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটলে পদার্থের ভৌত অবস্থার পরিবর্তন হয়।
-
যেমন, কঠিন বরফকে তাপ দিলে তরল পানি হয় এবং পানিকে আরও তাপ দিলে গ্যাসীয় বাষ্পে পরিণত হয়। বিপরীতে, জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা করলে তরল পানি এবং পানি ঠাণ্ডা করলে কঠিন বরফে পরিণত হয়।
-
কিছু বিশেষ পদার্থ যেমন কর্পূর, আয়োডিন, নিশাদল ইত্যাদি কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। আবার শীতল হলে গ্যাসীয় অবস্থা থেকে সরাসরি কঠিন অবস্থায় ফিরে আসে।
-
এসব পদার্থকে উদ্বায়ী পদার্থ বলা হয়।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago