লোহিত কণিকা কোথায় উৎপন্ন হয়?
A
অস্থিমজ্জায়
B
লিভারে
C
প্লীহায়
D
হৃৎপিণ্ডে
উত্তরের বিবরণ
রক্ত কণিকা তিন ধরনের হয়, যা রক্তের বিভিন্ন কার্যাবলীর সঙ্গে জড়িত।
ক. লোহিত কণিকা:
-
রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে।
-
এক ঘন মিলিলিটার রক্তে পুরুষদের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ, এবং মহিলাদের জন্য প্রায় ৪৫ লক্ষ লোহিত কণিকা থাকে।
-
এটি অস্থিমজ্জায় উৎপন্ন হয় এবং ১২০ দিন পর প্লীহায় বিনষ্ট হয়।
-
ব্যায়াম করলে লোহিত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং এগুলো দীর্ঘদিন বাঁচে।
-
লোহিত কণিকা হিমোগ্লোবিনের সহায়তায় দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
খ. শ্বেত কণিকা:
-
শরীরে রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
-
এক মিলিলিটার রক্তে প্রায় ৬–৮ হাজার শ্বেত কণিকা থাকে।
-
এরা বর্ণহীন এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত।
-
সাধারণত এরা ১২–১৩ দিন বাঁচে।
-
ব্যায়াম করলে এদের বেঁচে থাকার সময় ও সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
-
শ্বেত কণিকা রক্তে প্রবেশকারী জীবাণুকে ঘিরে ধরে বিনষ্ট করে এবং দেহকে রক্ষা করে, ফলে শরীরের ক্ষমতা ও শক্তিশালীতা বৃদ্ধি পায়।
গ. অণুচক্রিকা:
-
অণুচক্রিকা দেখতে ডিম্বাকার বা ডিস্কের মতো।
-
দেহের বৃহদাকার কোষ ভেঙ্গে অণুচক্রিকা সৃষ্টি হয়।
-
দেহের কোনো স্থানে ক্ষত হলে সেখানে ৩ মিনিটের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

0
Updated: 15 hours ago
১ ক্যালরি কত জুলের সমান?
Created: 1 week ago
A
২.৫ জুল
B
৩.৫ জুল
C
৪.২ জুল
D
৫.১ জুল
তাপ হলো পদার্থের অভ্যন্তরে অণুসমূহের গতির সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধরনের শক্তি, যা আমাদের কাছে গরম ও ঠান্ডার অনুভূতি সৃষ্টি করে। এটি মূলত শক্তির একটি রূপ, তাই শক্তি তথা কাজের এককই তাপের একক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
তাপের SI একক জুল (J)।
-
আগে তাপ পরিমাপের জন্য ক্যালরি ব্যবহার করা হতো, যা মেট্রিক পদ্ধতির একক এবং এখনো পুষ্টি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।
-
১ ক্যালরি (Cal) হলো ১ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১° C বাড়াতে বা কমাতে যত তাপ প্রয়োজন।
-
১ ক্যালরি = ৪.২ জুল, অর্থাৎ ৪.২ জুল যান্ত্রিক শক্তি ১ ক্যালরি তাপের সমতুল্য।
-
তাপ পরিমাপের যন্ত্র হলো ক্যালরিমিটার।
-
তাপের প্রবাহ তাপের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি ঘটে তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে।
-
দুটি বস্তুর তাপের পরিমাণ সমান হলেও তাদের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
তরলের স্ফুটনাঙ্ক কম হলে বাষ্পায়ন কেমন হয়?
Created: 2 weeks ago
A
কম হয়
B
অপরিবর্তিত থাকে
C
ধীরে ধীরে কম হয়
D
বেশি হয়
বাষ্পায়নের নির্ভরশীলতা
-
বর্ষাকালে ভেজা কাপড় ধীরগতিতে শুকায়, কিন্তু শীতকালে ছায়ায়ও দ্রুত শুকায়। এ ঘটনার কারণ হলো পানির বাষ্পায়ন।
-
পানির বাষ্পায়নের হার নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর:
১. বাতাসের প্রবাহ:
-
বাতাসের গতি বেশি হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়।
২. তরলের উপরিভাগের ক্ষেত্রফল:
-
ক্ষেত্রফল যত বড়, বাষ্পায়ন তত বেশি। উদাহরণ: এক গ্লাস পানির তুলনায় একটি বড় থালায় রাখা পানি দ্রুত শুকায়।
৩. তরলের প্রকৃতি:
-
স্ফুটনাঙ্ক কম হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়। উদাহরণ: ইথার বা এলকোহল দ্রুত বাষ্পায়িত হয়।
৪. বাতাসের চাপ:
-
বাতাসের চাপ কম হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়। শূন্যস্থানে বাষ্পায়ন সবচেয়ে দ্রুত ঘটে।
৫. উষ্ণতা:
-
তরল এবং তার চারপাশের বাতাসের উষ্ণতা বেশি হলে বাষ্পায়ন বৃদ্ধি পায়।
৬. বায়ুর শুষ্কতা:
-
বাতাস যত শুষ্ক, তরল তত দ্রুত বাষ্পায়ন করে।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
কোন তত্ত্বটি আলোক তড়িৎ ক্রিয়া (photoelectric effect) ব্যাখ্যা করে?
Created: 1 week ago
A
তরঙ্গ তত্ত্ব
B
তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব
C
কোয়ান্টাম তত্ত্ব
D
কণা তত্ত্ব
কোয়ান্টাম তত্ত্ব ও আলোর তত্ত্বসমূহ
কোয়ান্টাম তত্ত্ব:
-
১৯০০ সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রস্তাব করেন।
-
এই তত্ত্ব অনুযায়ী শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে নয়, বরং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তি গুচ্ছ বা প্যাকেট (Quantum/Photon) আকারে বের হয়।
-
প্রতিটি কম্পাঙ্কের আলোর জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্বনিম্ন মান থাকে।
-
প্লাঙ্কের মতে, কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ গুচ্ছগুচ্ছ প্যাকেট আকারে সংঘটিত হয়।
-
কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন আলোর তড়িৎক্রিয়ার রহস্য ব্যাখ্যা করেন এবং আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়।
তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব (Electromagnetic Theory):
-
গতিশীল তড়িৎ ক্ষেত্র ও চৌম্বক ক্ষেত্রের দ্রুত পর্যাবৃত্ত পরিবর্তনের ফলে শক্তির বিকিরণ ঘটে।
-
এর দৃশ্য তরঙ্গ হলো আলো, যা কোনও মাধ্যম ছাড়াই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
তবে এই তত্ত্ব ফটোতড়িৎ প্রতিক্রিয়া ও কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণের ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ।
কণা তত্ত্ব (Particle Theory):
-
আলোকে কণা (Particle) দ্বারা গঠিত ধরা হয়, যা উৎস থেকে সব দিকে নিঃসৃত হয়ে সরলরেখায় চলে।
-
তবে এই তত্ত্ব আলোর বিচ্ছুরণ, অপবর্তন ও ব্যতিচার ব্যাখ্যা করতে পারে না।
তরঙ্গ তত্ত্ব (Wave Theory):
-
আলোকে তরঙ্গাকারে ধরা হয়, যা ইথার নামের কাল্পনিক মাধ্যমের মাধ্যমে সব দিকে নির্গত হয়।
-
আলোর বর্ণের বিভিন্নতা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পার্থক্যের কারণে।
-
তরঙ্গ তত্ত্ব আলোর অনেক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারে, তবে মাইকেলসন-মর্লির পরীক্ষা ইথারের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিতর্কিত।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago