গ্যাসের পরমশূন্য তাপমাত্রা নির্ভর করে-
A
বাহ্যিক বলের উপর
B
গ্যাসের ভর ও ঘনত্বের উপর
C
গ্যাসের প্রকৃতি ও চাপের উপর
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
পরমশূন্য তাপমাত্রা হলো সেই তাপমাত্রা, যেখানে গ্যাসের আয়তন সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং অণুসমূহের স্থানান্তর গতি শূন্যে নেমে আসে। এটি গ্যাসের প্রকৃতি বা চাপের উপর নির্ভরশীল নয়। পরমশূন্য তাপমাত্রার বিষয়ক প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
পরমশূন্য তাপমাত্রা হলো -273°C।
-
এই তাপমাত্রায় গ্যাসের স্থানান্তর গতি শূন্য হয়ে যায় এবং অণুসমূহ একেবারে স্তব্দ থাকে।
-
অণুসমূহ একে অপরের অত্যন্ত নিকটে অবস্থান করে, ফলে গ্যাসের আয়তন খুবই কমে যায়।
-
পরমশূন্য তাপমাত্রায় কম্পন গতির জন্য পদার্থে থাকা অবশিষ্ট শক্তিকে শূন্য বিন্দু শক্তি বলা হয়।

0
Updated: 15 hours ago
নিচের কোনটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়?
Created: 1 week ago
A
Ra
B
Th
C
Na
D
Rn
Na (সোডিয়াম) কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়। তেজস্ক্রিয় পদার্থ হলো এমন সব উপাদান যাদের ভারী নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙে গিয়ে বিশেষ ধরনের বিকিরণ বা নিঃসরণ করে। এ প্রক্রিয়াকেই তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তা ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে হেনরি বেকারেল আবিষ্কার করেন।
-
এর SI একক হলো বেকেরেল (Bq), যা আবিষ্কারকের নামানুসারে নির্ধারিত।
-
সাধারণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ হলো রেডন (Rn), রেডিয়াম (Ra), থোরিয়াম (Th), ইউরেনিয়াম (U) ইত্যাদি।
-
উচ্চমাত্রায় তেজস্ক্রিয়তা গাছপালা ধ্বংস করে এবং খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে প্রাণীদেহে প্রবেশ করে ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
জোয়ার-ভাটার তেজকটাল কখন হয়?
Created: 15 hours ago
A
অমাবস্যা তিথিতে
B
অষ্টমী তিথিতে
C
একাদশীতেে
D
যখন চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সাথে সমকোণে অবস্থান করে
পানির উচ্চতা ভিত্তিক শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী জোয়ার-ভাটাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়: তেজ কটাল বা ভরা কটাল এবং মরা কটাল।
তেজ কটাল বা ভরা কটাল (Spring Tide):
-
জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে চন্দ্রের পাশাপাশি সূর্যও ভূমিকা রাখে।
-
অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে।
-
এই সময় সূর্যের আকর্ষণ চন্দ্রের আকর্ষণকে সাহায্য করে, ফলে জোয়ার পানির উচ্চতা সর্বাধিক হয়।
-
মূলত পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার পানি ফুলে উঠে, যাকে ভরা কটাল বা তেজ কটাল বলা হয়।
-
পূর্ণিমার সময় পৃথিবীর যে স্থানে চন্দ্রের কারণে মুখ্য জোয়ার হয়, সেখানে সূর্যের আকর্ষণে গৌণ জোয়ার হয়।
-
চন্দ্রের প্রভাবে যেখানে গৌণ জোয়ার হয়, সেখানে সূর্যের আকর্ষণে মুখ্য জোয়ার সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 15 hours ago
শব্দ সঞ্চালনের জন্য কোনটি প্রয়োজন?
Created: 2 weeks ago
A
আলো
B
মাধ্যম
C
তাপ
D
চাপ
শব্দের সঞ্চালন
-
শব্দ সৃষ্টির উৎস হলো কম্পনশীল বস্তু।
-
কোনো মাধ্যমের কণাগুলোর কম্পনের ফলে যে আন্দোলন তৈরি হয় এবং যা মাধ্যমের মধ্য দিয়ে চলাচল করে, তাকে ঢেউ বলা হয়।
-
উদাহরণ: একটি লম্বা স্প্রিং-এর এক প্রান্তে আঘাত করলে স্প্রিংটি সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে আন্দোলন সঞ্চালন করে; শব্দের ঢেউও এভাবেই সঞ্চালিত হয়।
-
-
শব্দের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতকে শব্দ সঞ্চালন বলা হয়।
-
শব্দ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন, যা হতে পারে কঠিন, তরল বা বায়বীয়।
-
কঠিন মাধ্যমে শব্দের গতি সর্বোচ্চ এবং সঠিকভাবে সঞ্চালিত হয়।
-
তরল মাধ্যমে শব্দ বায়ুর চেয়ে দ্রুত এবং ভালোভাবে সঞ্চালিত হয়।
-
বায়ু মাধ্যমে শব্দ তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে সঞ্চালিত হয়।
-
-
মাধ্যম ছাড়া শব্দ সঞ্চালিত হয় না, অর্থাৎ শূন্য মাধ্যমে শব্দ সঞ্চালিত হয় না।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago