চর্যাপদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ রচিয়তা কে?
A
কাহ্নপা
B
ভুসুকুপা
C
শবরপা
D
সরহপা
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ রচয়িতা হলো ভুসুকুপা।
-
ভুসুকুপা
-
চর্যাগীতি রচনার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী।
-
তিনি সৌরাষ্ট্রের ক্ষত্রিয় রাজপুত্র ছিলেন বলে মনে করা হয়।
-
তাঁর রচিত ৮টি পদ চর্যাপদ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত।
-
নানা কিংবদন্তি অনুযায়ী ভুসুকুপা নামটি ছন্দ নাম; প্রকৃত নাম শান্তিদেব।
-
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, শান্তিদেব ভুসুকু সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জীবিত ছিলেন; জীবৎকালের শেষ সীমা ৮০০ সাল।
-
ধর্মপালের রাজত্বকালে (৭৭০-৮০৬ সাল) ভুসুকুপা জীবিত ছিলেন।
-
-
চর্যাপদের অন্যান্য প্রধান রচয়িতা
-
সর্বাধিক পদ রচনা করেছেন কাহ্নপা (মোট ১৩টি পদ)।
-
শবরপা ২৮ ও ৫০ এই দুটি পদ রচনা করেছেন।
-
তৃতীয় সর্বোচ্চ পদ রচনা করেছেন সরহপা (৪টি)।
-
চতুর্থ সর্বোচ্চ পদ রচনা করেছেন কুক্কুরীপা (৩টি)।
-

0
Updated: 15 hours ago
'সন্ধ্যাভাষা' কোন সাহিত্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত?
Created: 1 month ago
A
চর্যাপদ
B
পদাবলি
C
মঙ্গলকাব্য
D
রোমান্সকাব্য
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন, যা “চর্যাগীতি” বা “চর্যাগীতিকোষ” নামেও পরিচিত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যসংকলন বা গানের সংকলন।
-
চর্যাপদের মূল বিষয়বস্তু বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী সাধনা ও ভজনের তত্ত্ব।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কখনও স্পষ্ট এবং কখনও অস্পষ্ট; তাই একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলাও হয়।
-
প্রাচীন ছন্দে রচিত চর্যাপদের পদগুলোর আধুনিক বিশ্লেষণে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ধরা হয়েছে।
চর্যাপদ বিষয়ে গবেষণা
-
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বৈজ্ঞানিকভাবে চর্যাপদের ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
এছাড়াও ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুকুমার সেন, ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করেছেন।
-
১৯৪৬ সালে ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের সহজিয়ান প্রসঙ্গে অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচর্য, বৈদ্ধ সহজান এবং চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 1 month ago
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
Created: 1 week ago
A
১৯১৬ সালে
B
১৯০৭ সালে
C
১৯০৯ সালে
D
১৯০১ সালে
সঠিক উত্তর হলো খ) ১৯০৭ সালে। চর্যাপদকে বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়। এর আবিষ্কার ও পরিচয় সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো।
-
আবিষ্কার:
• ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
• ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগ্চী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন। -
চর্যাপদের পরিচয়:
• চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বা কবিতা/গানের সংকলন।
• এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
• চর্যাগুলো রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
• চর্যাপদে বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা ও দার্শনিক চিন্তাধারা প্রকাশ পেয়েছে।
• চর্যাপদের ভাষায় বাংলা, অর্ধমাগধী, প্রাকৃত, সংস্কৃত ও দেশজ শব্দের সংমিশ্রণ রয়েছে। -
অনুবাদ:
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
• এই অনুবাদের মাধ্যমে চর্যাপদ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য জানা সম্ভব হয়।

0
Updated: 1 week ago
চর্যাপদে কোন ধর্মের কথা বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ইসলাম ধর্ম
B
বৌদ্ধ ধর্ম
C
হিন্দু ধর্ম
D
খ্রিষ্টান ধর্ম
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলি রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
এতে মূলত বৌদ্ধধর্মের উপদেশ তুলে ধরা হয়েছে।
-
আধুনিক ছন্দ বিশ্লেষণে চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-র মতে চর্যাপদ রচনা হয়েছে খ্রিষ্টাব্দ ৬৫০ সালে, আর সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর মতে খ্রিষ্টাব্দ ৯৫০–১২০০ সালের মধ্যে।
-
চর্যাপদের সংখ্যা সম্পর্কেও মতভেদ রয়েছে—ড. শহীদুল্লাহর মতে ৫০টি, আর সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে ৫১টি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (মাহবুবুল আলম), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago