বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক হলো-
A
সধবার একাদশী
B
পদ্মাবতী
C
শর্মিষ্ঠা
D
কৃষ্ণকুমারী
উত্তরের বিবরণ
কৃষ্ণকুমারী হলো বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক, যা মধুসূদন দত্ত রচনা করেন। নাটকটির কাহিনি উইলিয়াম টডের রাজস্থান গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত এবং এটি ১৮৬০ সালে রচিত হলেও ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয়। প্রায় সাত বছর পর, ১৮৬৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শোভাবাজার থিয়েটার-এ প্রথম অভিনীত হয়।
-
‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক
-
রচয়িতা: মধুসূদন দত্ত
-
রচনা বছর: ১৮৬০
-
প্রকাশের বছর: ১৮৬১
-
প্রথম অভিনয়: ১৮৬৭, শোভাবাজার থিয়েটার
-
কাহিনি উৎস: উইলিয়াম টডের রাজস্থান
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: কৃষ্ণকুমারী, মদনিকা, ভীমসিংহ, জগৎসিংহ, ধনদাস
-
-
অন্য উল্লেখযোগ্য নাটক
-
মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক কমেডি: পদ্মাবতী
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক: শর্মিষ্ঠা
-
একাদশী প্রহসনটির রচয়িতা: দীনবন্ধু মিত্র
-
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
বাংলা কাব্যসাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের স্রষ্টা
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দে প্রথম কাব্যগ্রন্থ: তিলোত্তমাসম্ভব (১৮৬০)
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রথম প্রয়োগ: নাটক পদ্মাবতী
-
বাংলা সাহিত্যে প্রথম চতুর্দশপদী কবিতা রচয়িতা
-
তাকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি
-
-
মধুসূদন দত্তের কাব্যকর্ম
-
তিলোত্তমাসম্ভব
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
-

0
Updated: 15 hours ago
বৈষ্ণব পদাবলিতে 'শৃঙ্গার রস'কে কী নামে ডাকা হয়?
Created: 1 month ago
A
মধুররস
B
সখ্যরস
C
দাস্যরস
D
শান্তরস
বৈষ্ণব পদাবলি
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এ ধারার প্রথম পদকর্তা হিসেবে বাঙালি কবি জয়দেব পরিচিত। তাঁর রচিত ‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্য, যা রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত এবং সংস্কৃত ভাষায় লিখিত, আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন হিসেবে গণ্য হয়।
পরবর্তীতে বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদ রচনা করেন। বাংলা ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদাবলি রচনা করেন চণ্ডীদাস।
বৈষ্ণব পদাবলিতে কৃষ্ণের প্রধান প্রেমিকা শ্রীরাধা নায়িকা হিসেবে চিত্রিত। পদাবলিতে নায়িকার আটটি অবস্থা রয়েছে।
এই কাব্যে মোট পাঁচটি রস বিদ্যমান—
-
শান্তরস
-
দাস্যরস
-
সখ্যরস
-
বাৎসল্যরস
-
মধুররস (মধুররসকে শৃঙ্গার রসও বলা হয়)

0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন -
Created: 1 month ago
A
২৪ মে, ১৮৯৯
B
২০ মার্চ, ১৮৮৯
C
২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৯
D
১৫ ডিসেম্বর, ১৮৯৯
কাজী নজরুল ইসলাম
-
জাতীয় পরিচয়: বাংলাদেশের জাতীয় কবি; অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রধান ব্যক্তিত্ব
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দ, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে, ১৮৯৯), চুরুলিয়া, বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ
-
খ্যাতি:
-
সাহিত্যে: ‘বিদ্রোহী কবি’
-
সঙ্গীতে: ‘বুলবুল’
-
-
বাংলাদেশে আসা ও নাগরিকত্ব:
-
১৯৭২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশে সপরিবারে আনা হয়
-
১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সরকার নাগরিকত্ব প্রদান এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক’ প্রদান
-
-
মৃত্যু: ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র ১৩৮৩), পিজি হাসপাতাল, ঢাকা
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'মাণিকচন্দ্র রাজার গান' এর প্রথম সংগ্রাহক কে?
Created: 3 weeks ago
A
জর্জ গ্রীয়ার্সন
B
চন্দ্রকুমার দে
C
দীনেশ্চন্দ্র সেন
D
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
• নাথগীতিকা:
- স্যার জর্জ গ্রীয়ার্সন ১৮৭৮ সালে রংপুর জেলার মুসলমান কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে 'মাণিকচন্দ্র রাজার গান' প্রকাশ করলে 'নাথগীতিকা' সুধীসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
- এইগুলো এক শ্রেণির ঐতিহাসিক রচনা।
- ইতিহাসের কোন বিস্মৃত যুগে এই গীতিকার নায়ক রাজা গোপীচাঁদ বা গোবিন্দচন্দ্র মায়ের নির্দেশে তরুণ যৌবনে দুই নবপরিণীতা বধূ প্রাসাদে রেখে সন্ন্যাস অবলম্বন করেছিলেন এই কাহিনি কেন্দ্র করেই নাথগীতিকার উদ্ভব।
- নাথসম্প্রদায়ভুক্ত গুরুবাদী যোগিগণ তাঁদের গুরুর অলৌকিক মহিমাকীর্তন প্রসঙ্গে এই গীতিকা দেশবিদেশে প্রচার করেছেন।
- নাথগীতিকার দুটি বিভাগ: প্রথমটি তরুণ রাজপুত্র গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাসের কাহিনি। এ সম্পর্কিত গীতিকা 'গোরক্ষবিজয়', 'মীনচেতন' নামে পরিচিত।
- অপর শ্রেণির গীতিকাগুলো 'মাণিক রাজার গান', 'গোবিন্দচন্দ্রের গীত', 'ময়নামতীর গান', 'গোবিন্দচন্দ্রের গান', 'গোপীচাঁদের সন্ন্যাস', 'গোপীচাঁদের পাঁচালী' ইত্যাদি নামে খ্যাত।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 3 weeks ago