ভবানী দাস রচিত 'ময়নামতির গান' কোন যুগের নিদর্শন?
A
প্রাচীন যুগের
B
মধ্য যুগের
C
আধুনিক যুগের
D
অন্ধকার যুগের
উত্তরের বিবরণ
ময়নামতির গান হলো ভবানী দাস রচিত এবং এটি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের নাথ সাহিত্যের একটি নিদর্শন। এই সাহিত্য ধারায় সাধন-নির্দেশিকা এবং গাথাকাহিনি বা আখ্যায়িকা—দুই ধরনের রূপ বিদ্যমান।
-
ময়নামতির গান
-
রচয়িতা: ভবানী দাস
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের নাথ সাহিত্যের অন্তর্গত
-
সাহিত্যটি দুটি ধারায় বিকাশ লাভ করে: সাধন-নির্দেশিকা এবং গাথাকাহিনি/আখ্যায়িকা
-
-
উল্লেখযোগ্য নাথ সাহিত্য
-
গোরাক্ষ বিজয় — রচয়িতা: শেখ ফয়জুল্লাহ
-
গোপীচন্দ্রের সন্যাস — রচয়িতা: শুকুর মাহমুদ
-
মীনচেতন — রচয়িতা: শ্যামাদাস সেন
-
গোর্খবিজয় — রচয়িতা: ভীমসেন রায়
-
-
নাথ গীতিকা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
প্রাপ্ত পুথির ভিত্তিতে ময়নামতী-গোপীচন্দ্রের গান-এর তিনজন কবির সন্ধান পাওয়া যায়: দুর্লভ মল্লিক, ভবানী দাস, এবং শুকুর মাহমুদ
-
দুর্লভ মল্লিকের কাব্যের নাম: গোবিন্দচন্দ্র গীত, সম্পাদনা করেছেন শিবচন্দ্র শীল
-
নলিনীকান্ত ভট্টশালীর সম্পাদনায় ভবানী দাসের ময়নামতীর গান এবং শুকুর মাহমুদের গোপীচাঁদের সন্ন্যাস কাব্যদুটি ঢাকা সাহিত্য পরিষৎ থেকে প্রকাশিত হয়
-

0
Updated: 15 hours ago
বাংলা সাহিত্যে কখন থেকে অনুবাদ কাব্যের সূচনা হয়?
Created: 6 days ago
A
আধুনিক যুগে
B
মধ্যযুগে
C
প্রাচীন যুগে
D
উত্তর-আধুনিক যুগে
বাংলা অনুবাদ কাব্যের সূচনা মধ্যযুগে ঘটে এবং তখন বিভিন্ন উৎস থেকে কাব্যগুলো বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়। প্রধান উৎসগুলো ছিল সংস্কৃত, হিন্দি, আরবি ও ফারসি সাহিত্য। অনুবাদকর্মের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাব্যিক সৃষ্টি বাংলায় পৌঁছায়।
বাংলা অনুবাদ কাব্য প্রধানত তিনটি উৎস থেকে অনূদিত হয়েছে:
-
-
১) সংস্কৃত থেকে
২) হিন্দি সাহিত্য থেকে
৩) আরবি-ফারসি সাহিত্য থেকে
-
-
উল্লেখযোগ্য অনুবাদ সাহিত্য:
-
লায়লী মজনু: পারসি কবি জামির লায়লী মজনু থেকে অনুবাদ করেছেন দৌলত উজির বাহরাম খান।
-
মধুমালতী: হিন্দি কবি মনঝনের মধুমালতী কাব্য থেকে বাংলা অনুবাদ করেন মুহম্মদ কবীর।
-
পদ্মাবতী: হিন্দি কবি মালিক মুহম্মদ জায়সরের পদ্মাবতী কাব্য থেকে বাংলা অনুবাদ করেন আলাওল।
-
মালাধর বসু: ভাগবত কাব্যের প্রথম বাংলা অনুবাদক।
-
মহাভারত: প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
-
মুহম্মদ কবীর হিন্দি কবি মনঝনের মধুমালতী বা সাধনের মৈনাসত কাব্যের অনুসরণে তাঁর বাংলা মধুমালতী রচনা করেন।
-
রামায়ণ: প্রথম বাংলা অনুবাদক ছিলেন কৃত্তিবাস ওঝা।
-

0
Updated: 6 days ago
মধ্যযুগের শেষ কবি কে?
Created: 4 months ago
A
আব্দুল হাকিম
B
বড়ু চণ্ডীদাস
C
আলাওল
D
ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর
অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
- তিনি মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি।
- তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে তিনি অন্নদামঙ্গলকাব্য রচনা করেন।
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ভারতচন্দ্রকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি দেন।
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরকে ‘মধ্যযুগের শেষ বড় কবি’ বলা হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 4 months ago
যুগ সন্ধিক্ষণের কবি হিসেবে পরিচিত কে?
Created: 4 months ago
A
বিহারীলাল চক্রবর্তী
B
ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত
C
ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর
D
আলাওল
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯): কবি, সাংবাদিক। ‘ক্রমবর্ধমান যুগ’ ও ‘আধুনিক যুগের মিলনকারী’ কবি হিসেবে পরিচিত। কারণ তিনি সমকালের সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করলেও তাঁর ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার ছিলো মধ্যযুগীয়। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপই ছিল তাঁর রচনার বিশেষত্ব।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্পাদনা করেন। তিনি ১৮৩১ সালে সংবাদ প্রভাকর (সাপ্তাহিক) পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন। এবং ১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
- তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো কবিয়ালদের লুপ্তপ্রায় জীবনী উদ্ধার করে প্রকাশ করা।
- ঈশ্বরচন্দ্র সংবাদ প্রভাকর ছাড়াও সংবাদ রত্নাবলী, পাষণ্ডপীড়ন ও সংবাদ সাধুরঞ্জন পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া; লাইব্রেরি এশিয়াটিক সোসাইটি। (Slight correction of the source, "লাইব্রেরি এশিয়াটিক সোসাইটি" seems more appropriate than "লাইভ এশিয়াটিক লেকচার")

0
Updated: 4 months ago