মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘জাহান্নম হইতে বিদায়’ রচনা করেছেন শওকত ওসমান। উপন্যাসটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত এবং যুদ্ধকালীন সময়ের ভয়াবহতা, মধ্যবিত্তের পলায়ন, ও পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরতা তুলে ধরে।
• জাহান্নম হইতে বিদায়:
-
শওকত ওসমানের ‘জাহান্নম হইতে বিদায়’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রচিত ও প্রকাশিত একটি উপন্যাস।
-
১৯৭১ সালে লেখক কলকাতায় অবস্থানকালীন সময় এই গ্রন্থ রচনা করেন এবং এটি প্রকাশিত হয় কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স থেকে।
-
প্রকাশের পর উপন্যাসটি পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি পাঠক এবং স্বাধীনতাকামী শরণার্থী বাঙালিদের মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আশাবাদ সৃষ্টি করে।
-
প্রচলিত ধারার উপন্যাসের মতো কোনো একক নায়ক এখানে নেই; বরং নায়ক হলো সময় বা যুদ্ধকাল।
-
পাকিস্তানিদের বর্বরতায় যখন সোনার বাংলা পরিণত হয় শ্মশানে, তখন উপন্যাসে উঠে আসে সেই প্রতিবাদী সুর—“সোনায় মোড়ানো বাংলাকে আমার শ্মশান বানালো কে? ইয়াহিয়া, তোমার আসামির মতো জবাব দিতে হবে।”
-
উপন্যাসের চরিত্র গাজী রহমানের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে লেখক তুলে ধরেছেন পাক সেনাদের নিষ্ঠুরতা ও যুদ্ধকালীন বাস্তবতা।
-
এখানে যুদ্ধকালে পলায়নপর মধ্যবিত্ত শ্রেণির চিত্রও গভীরভাবে অঙ্কিত হয়েছে।
• উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
গাজী রহমান
-
এডভোকেট রেজা আলী
-
বামপন্থী নেতা কিরণ রায়
• শওকত ওসমান:
-
তিনি ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক।
-
১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে তাঁর জন্ম।
-
তাঁর প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান, আর সাহিত্যিক নাম শওকত ওসমান।
-
‘জাহান্নম হইতে বিদায়’ তাঁর রচিত অন্যতম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
• তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
-
জননী
-
জাহান্নম হইতে বিদায়
-
দুই সৈনিক
-
সমাগম
-
চৌরসন্ধি
-
রাজা উপাখ্যান
-
নেকড়ে অরণ্য
-
পতঙ্গ পিঞ্জর
-
রাজসাক্ষী
-
জলাংগী
-
পুরাতন খঞ্জর
• তাঁর রচিত প্রবন্ধ:
-
সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই
-
মুসলিম মানসের রূপান্তর
• তাঁর রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ:
-
ওটেন সাহেবের বাংলো
-
তারা দুই জন
-
ক্ষুদে সোশালিস্ট