'কেউকেটা' বাগ্ধারার অর্থ কী?
A
তোষামুদে
B
তুচ্ছ ব্যক্তি
C
গুরুভার
D
আগুন্তুক
উত্তরের বিবরণ
‘কেউকেটা’ বাগ্ধারার অর্থ হলো তুচ্ছ ব্যক্তি।
-
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা ও তাদের অর্থ:
-
ধামাধরা: তোষামুদে
-
হাল ধরা: দায়িত্ব বা নেতৃত্ব গ্রহণ
-
বিষবৃক্ষ: অনিষ্টকারী
-
কেউকেটা: বিশিষ্ট ব্যক্তি
-
জগদ্দল পাথর: গুরুভার
-
গৌরচন্দ্রিকা: ভূমিকা
-

0
Updated: 18 hours ago
'ত্ত' যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণের সমন্বয়ে গঠিত?
Created: 2 weeks ago
A
ক্ + ত
B
ত্ + ক
C
ত্ + ত
D
ও্ + ত
সংযুক্ত বর্ণের শুদ্ধরূপ হলো ত্ + ত = ত্ত। বাংলা ভাষায় একাধিক বর্ণ মিলিত হয়ে যুক্তবর্ণ তৈরি হয় এবং এগুলো শুদ্ধভাবে লিখতে জানা প্রয়োজন।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু যুক্তবর্ণ হলো
-
ক্ + ত = ক্ত
-
ঙ্ + গ = ঙ্গ
-
ভ্ + র = ভ্র
-
ত্ + থ = ত্থ
-
ঙ্ + ক = ঙ্ক
-
হ্ + ম = হ্ম
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
'ঝড়ো কাক' বাগ্ধারার অর্থ-
Created: 1 week ago
A
পোষ্য-ভারাক্রান্ত
B
সমমনা
C
জমকালো কিন্তু বেমানান
D
বিপর্যস্ত অবস্থা
'ঝড়ো কাক' বাগ্ধারার অর্থ হলো বিপর্যস্ত অবস্থা। এর alongside আরও কিছু বাগ্ধারা রয়েছে যেগুলোর ভিন্ন অর্থ রয়েছে।
-
ছা-পোষা: পোষ্য-ভারাক্রান্ত
-
ঝাঁকের কই: সমমনা
-
জবরজং: জমকালো কিন্তু বেমানান
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
'দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রুধারা' - এই উক্তিটি নিচের কোন পারিভাষিক অলংকার দ্বারা শোভিত?
Created: 2 weeks ago
A
অপহৃতি
B
যমক
C
অর্থোন্নতি
D
অভিযোজন
অপহৃতি অলঙ্কার এমন এক বিশেষ রূপ, যেখানে প্রকৃত অর্থাৎ উপমেয়কে নিষেধ বা আড়াল করে অপ্রকৃত অর্থাৎ উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাধারণত এটি দুইভাবে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথমত না, নহে, নয় প্রভৃতি না-সূচক অব্যয় ব্যবহারের মাধ্যমে।
-
দ্বিতীয়ত ব্যাজ, ছল, ছলনা, ছদ্ম প্রভৃতি সত্য গোপনকারী শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে।
প্রথম ক্ষেত্রে উপমান ও উপমেয় আলাদা বাক্যে থাকে, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তারা একই বাক্যে অবস্থান করে।
উদাহরণ:
-
“মেয়ে ত নয়, হলদে পাখির ছা,” – জসীম উদ্দীন
এখানে উপমেয় ‘মেয়ে’, উপমান ‘ছা’। ‘নয়’ অব্যয় ব্যবহার করে উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এটি অপহৃতি অলঙ্কার। -
“তারাই আজি নিঃস্ব দেশে, কাঁদছে হয়ে অন্ন হারা;
দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রু ধারা।” – কাজী নজরুল ইসলাম
এখানে উপমেয় ‘জল’, উপমান ‘অশ্রু’। কবি ‘না’ সূচক অব্যয় ব্যবহার করে উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ফলে এটি অপহৃতি অলঙ্কার। -
“নীর বিন্দু যত
দেখিতে কুসুম-দলে, হে সুধাংশু নিধি,
অভাগীর অশ্রু বিন্দু কহিনু তােমারে।” – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
এখানে উপমেয় ‘নীর বিন্দু’, উপমান ‘অশ্রু বিন্দু’। যদিও সরাসরি ‘না’ অব্যয় নেই, তবে ব্যঞ্জনায় অস্বীকার স্পষ্ট। তাই এটিও অপহৃতি অলঙ্কার। -
“নারী নহ, কাব্য তুমি, তােমা ’পরে কবির প্রসাদ।” – বুদ্ধদেব বসু
এখানে উপমেয় ‘নারী’, উপমান ‘কাব্য’। ‘নহ’ অব্যয় দ্বারা উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এটি অপহৃতি অলঙ্কার।

0
Updated: 2 weeks ago