A
বিশেষণের অতিশায়ন
B
রূপবাচক বিশেষণ
C
উপাদান বাচক বিশেষণ
D
বিধেয় বিশেষণ
উত্তরের বিবরণ
বিশেষণের অতিশয়ন
যখন একটি বিশেষণ পদ একাধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা বা পরিমাণের পার্থক্য তুলে ধরে এবং তন্মধ্যে একটি বিশেষ্যের উৎকর্ষতা বা নিকৃষ্টতা বোঝায়, তখন তাকে বিশেষণের অতিশয়ন বলা হয়।
বাংলা ভাষায় অতিশয়নের প্রয়োগ
দুটি বস্তুর মধ্যে তুলনামূলক অতিশয়ন:
বাংলায় যখন দুটি বস্তুর মধ্যে গুণ বা অবস্থা তুলনা করা হয়, তখন চাইতে, চেয়ে, হইতে, হতে, অপেক্ষা, থেকে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়। এই ক্ষেত্রে তুলনার প্রথম উপাদানটি সাধারণত ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত থাকে এবং বিশেষণের গঠনে কোনো পরিবর্তন হয় না।
উদাহরণ:
-
ঘোড়ার দাম গরুর থেকে বেশি।
-
সিংহ বাঘের চেয়ে বলবান।
বহুবচনের মধ্যে অতিশয়ন:
একাধিকের মধ্যে যখন একটি বিশেষ্যের গুণ বা দোষ সবচেয়ে বেশি বা কম বোঝাতে হয়, তখন সবচেয়ে, সবচাইতে, সর্বাধিক, সর্বাপেক্ষা প্রভৃতি শব্দ বিশেষণের আগে বসে। এখানে বিশেষণের রূপ অপরিবর্তিত থাকে।
উদাহরণ:
-
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে করিম সবচেয়ে বুদ্ধিমান।
-
ভাইদের মাঝে বিমলই সবচাইতে বিচক্ষণ।
-
পশুর মধ্যে সিংহ সর্বাপেক্ষা বলবান।
দুটি বস্তুর মধ্যে অতিশয়নে জোর বোঝাতে:
কখনো তুলনায় জোর দিতে হলে, মূল বিশেষণের আগে অধিক, বেশি, অনেক, অল্প, কম, অধিকতর ইত্যাদি শব্দ যোগ করা হয়।
উদাহরণ:
-
গোলাপের চাইতে পদ্মফুল অনেক সুন্দর।
-
দুধ ঘিয়ের থেকে বেশি উপকারী।
-
পাতিলেবু কমলার চাইতে অল্প ছোট।
ষষ্ঠী বিভক্তি দ্বারাই অতিশয়নের কাজ:
কখনো কখনো কোনো অতিরিক্ত তুলনামূলক শব্দ না ব্যবহার করেও ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দ নিজেই তুলনার কাজ করে ফেলে।
উদাহরণ:
-
এ মাটি সোনার বাড়া। (অর্থাৎ সোনার তুলনায় বেশি মূল্যবান)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 2 weeks ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশ
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য
উপসর্গ হলো সেই অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থসহ শব্দ তৈরি করে, আর প্রত্যয় হলো অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের পরে যোগ হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে।
উপসর্গ
-
উপসর্গ হলো এমন ছোট ছোট অর্থহীন অংশ যা শব্দের শুরুতে বসে এবং নতুন অর্থবহ শব্দ তৈরি করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ‘অজানা’ শব্দে ‘অ’, ‘অভিযোগ’ শব্দে ‘অভি’, ‘বেতার’ শব্দে ‘বে’ অংশগুলো উপসর্গ।
-
উপসর্গ নিজে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে না, কিন্তু এটি নতুন শব্দে অর্থের দ্যোতনা বা বৈচিত্র্য আনে। তাই বলা হয়, “উপসর্গের নিজস্ব অর্থ নেই, তবে অর্থ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
-
বাংলায় প্রায় পঞ্চাশের বেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার গতিপথ অনুযায়ী, উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ,
৩. বিদেশি উপসর্গ।
প্রত্যয়
-
প্রত্যয় হলো শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হওয়া অর্থহীন অংশ যা নতুন শব্দ গঠনে সহায়তা করে।
-
যেমন: ‘বাঘ’ + ‘আ’ = ‘বাঘা’, ‘দিন’ + ‘ইক’ = ‘দৈনিক’।
-
প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার—
১. কৃৎ প্রত্যয়:
ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় এমন শব্দাংশ যা ক্রিয়ারূপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ‘চল’ + ‘ন্ত’ = ‘চলন্ত’, ‘কৃ’ + ‘তব্য’ = ‘কর্তব্য’।
বাংলায় কৃৎ প্রত্যয়ের দুটি রূপ পাওয়া যায়—বাংলা কৃৎ প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিত প্রত্যয়:
শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে।
যেমন: ‘চোর’ + ‘আ’ = ‘চোরা’, ‘কেষ্ট’ + ‘আ’ = ‘কেষ্টা’, ‘ডিঙি’ + ‘আ’ = ‘ডিঙা’, ‘হাত’ + ‘আ’ = ‘হাতা’।সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 2 weeks ago
‘পোস্টাল কোড’ কী নির্দেশ করে?
Created: 2 days ago
A
প্রাপকের এলাকা
B
ডাকবিভাগের নাম
C
পোস্ট অফিসের নাম
D
প্রেরকের এলাকা
‘পোস্টাল কোড’ একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা বা অক্ষরের কোড, যা ডাক বিভাগ ব্যবহার করে প্রাপকের এলাকা বা নির্দিষ্ট স্থানের সনাক্তকরণের জন্য। এটি ডাক পরিষেবাকে দ্রুত এবং সঠিকভাবে চিঠি বা পার্সেল পৌঁছাতে সাহায্য করে।

0
Updated: 2 days ago
'প্রাতরাশ'-এর সন্ধি-
Created: 2 weeks ago
A
প্রাত + রাশ
B
প্রাতঃ + রাশ
C
প্রাতঃ + আশ
D
প্রাত + আশ
• বিসর্গসন্ধির নিয়ম:
অন্তঃ, পুনঃ, প্রান্তঃ ইত্যাদির পর স্বরধ্বনি থাকলে সন্ধির ফলে বিসর্গ র হয়ে পরবর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমন:
- অন্তঃ + অঙ্গ = অন্তরঙ্গ,
- প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ,
- অন্তঃ + আত্মা = অন্তরাত্মা,
- অন্তঃ + ইত = অন্তরিত,
- অন্তঃ + ইন্দ্রিয় = অন্তরিন্দ্রিয়,
- অন্তঃ + ঈক্ষ = অন্তরীক্ষ,
- অন্তঃ+ ঈপ = অন্তরীপ,
- পুনঃ + উত্থান = পুনরুত্থান,
- পুনঃ+ উক্তি = পুনরুক্তি,
- পুনঃ + অধিকার = পুনরধিকার।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 weeks ago