'অতি দর্পে হত লঙ্কা' প্রবাদের অর্থ কী?
A
অহঙ্কার পতনের মূল
B
বেশি লোভে ক্ষতি
C
বেশি আড়ম্বরে কাজ কম
D
অযোগ্য লোকের বৃথা আস্ফলন
উত্তরের বিবরণ
‘অতি দর্পে হত লঙ্কা’ হলো একটি প্রবাদমূলক বাগ্ধারা, যা মানুষকে অহঙ্কার বা অতিরিক্ত অহমিকার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে। এ বাগ্ধারার মূল বক্তব্য হলো, অহংকার যদি অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়, তবে তা পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সতর্কতার একটি নীতি হিসেবে প্রযোজ্য।
-
গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা এবং তাদের অর্থ:
-
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট: অতিরিক্ত লোভ মানুষকে ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়।
-
অর্থই অনর্থের মূল: অর্থের জন্য করা লোভী বা স্বার্থপর কাজ প্রায়ই অনৈতিক বা ক্ষতিকর পরিণতি ডেকে আনে।
-
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়: দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকলে কঠিন ও জটিল কাজও সম্ভব।
-
-
ব্যবহারিক দিক: এই বাগ্ধারাগুলো শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, জীবনচর্চা এবং ব্যক্তিগত চরিত্র গঠনে নির্দেশিকা হিসেবে কাজে লাগে।

0
Updated: 18 hours ago
কোনটি নিত্যবৃত্ত অতীতে কালের উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
আমি রোজ সকালে বেড়াই।
B
আমি রোজ বেড়াতে যাব।
C
তারা মাঠে খেলছিল।
D
সাতাশ হতো যদি একশ সাতাশ।
বাংলা ভাষায় নিত্যবৃত্ত অতীত কাল ক্রিয়ার সাধারণ অভ্যস্ততা বা নিয়মিত ঘটনার প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। এটি অতীতের অভ্যাস বা রোজকার কর্মকাণ্ডকে নির্দেশ করে এবং বিশেষ প্রেক্ষাপটে কামনা, কল্পনা বা সম্ভাবনা প্রকাশেও ব্যবহৃত হয়। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
-
নিত্যবৃত্ত অতীত কাল
-
সংজ্ঞা: অতীত কালে যে ক্রিয়া সাধারণ অভ্যস্ততা অর্থে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ:
-
আমরা তখন রোজ সকালে নদী তীরে ভ্রমণ করতাম।
-
আমি রোজ স্কুলে যেতাম।
-
-
-
নিত্যবৃত্ত অতীতের বিশেষ ব্যবহার
-
কামনা প্রকাশে: আজ যদি সুমন আসত, কেমন মজা হতো।
-
অসম্ভব কল্পনায়: সাতাশ হতো যদি একশ সাতাশ।
-
সম্ভাবনা প্রকাশে: তুমি যদি যেতে, তবে ভালোই হতো।
-
-
অন্যান্য কাল সম্পর্কিত উদাহরণ
-
নিত্যবৃত্ত বর্তমান: আমি রোজ সকালে বেড়াই।
-
ভবিষ্যৎ কাল: আমি রোজ বেড়াতে যাব।
-
ঘটমান অতীত কাল: তারা মাঠে খেলছিল।
-
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
বাক্যে এক পদের পর অন্যপদ শোনার ইচ্ছাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
আসক্তি
B
আকাঙ্ক্ষা
C
যোগ্যতা
D
আসত্তি
একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক। যথা - ১. আকাঙ্ক্ষা ২. আসত্তি এবং ৩. যোগ্যতা । বাক্যে এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে। যেমন - চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ..... বললে সম্পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করে না । আরো কিছু শোনার ইচ্ছা হয়। কিন্তু চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে বললে আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি হয়।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি সার্থক বাক্যের গুণ নয়?
Created: 1 month ago
A
আকাঙ্ক্ষা
B
যোগ্যতা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
সার্থক বাক্যের মূল গুণাবলী
একটি আদর্শ বা সার্থক বাক্যের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ থাকা আবশ্যক: আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি এবং যোগ্যতা।
আকাঙ্ক্ষা
আর্থাৎ: বাক্যের অর্থ বোঝার জন্য যে ইচ্ছা বা প্রয়াস অনুভূত হয়, সেটিকেই আকাঙ্ক্ষা বলা হয়।
উদাহরণ:
-
অসম্পূর্ণ বাক্য: কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
-
এখানে বাক্যটি অসম্পূর্ণ; আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি।
-
-
সম্পূর্ণ বাক্য: কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
-
এখানে ‘করে’ পদটি যোগ হওয়ায় বাক্যটি পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করছে।
-
আসত্তি
আর্থাৎ: বাক্যের পদসমূহের সঠিক বিন্যাসের মাধ্যমে অর্থসঙ্গতি বজায় রাখাকে আসত্তি বলে।
উদাহরণ:
-
অসম্পূর্ণ বা ভুল বিন্যাস: নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
-
পদগুলো সঠিকভাবে বসার কারণে অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ পায়নি।
-
-
সম্পূর্ণ বাক্য: হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
-
পদবিন্যাস ঠিক থাকায় অর্থ সঠিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
যোগ্যতা
আর্থাৎ: বাক্যের পদসমূহের মধ্যে বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য ভাব মিল থাকা।
উদাহরণ:
-
অসম্পূর্ণ বা অযথা বাক্য: বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
-
রৌদ্র কখনও প্লাবন সৃষ্টি করতে পারে না; তাই অর্থের যোগ্যতা নেই।
-
-
যুক্তিসঙ্গত বাক্য: বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে।
-
বাস্তবধর্মী ও অর্থপূর্ণ বাক্য।
-
উৎস: ড. হায়াত মামুদ, ভাষা-শিক্ষা

0
Updated: 1 month ago