গীতিকবিতা
গীতিকবিতা এমন এক ধরনের কবিতা যেখানে কবির হৃদয়ের অন্তর্নিহিত অনুভূতি সুর ও সঙ্গীতের ছন্দে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এখানে ব্যক্তিগত আবেগ, কামনা-বাসনা, আনন্দ ও বেদনার প্রকাশ ঘটে আবেগঘন ভাষায়।
যেসব কবিতায় কবির অন্তরের গভীর অনুভূতি সঙ্গীততাড়িত কণ্ঠে প্রকাশিত হয় এবং যে ভাবাবেগ পূর্ণতা নিয়ে প্রকাশ পায়—তাকেই গীতিকবিতা বলা হয়।
গীতিকবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, গীতিকাব্য হলো বক্তার অন্তর্দাহ ও আবেগের উচ্ছ্বাসপূর্ণ প্রকাশমাত্র, যার উদ্দেশ্য একান্তই হৃদয়ের ভাবের প্রকাশ। যেহেতু এই অনুভূতিগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তাই গীতিকবিতাও সাধারণত ছোট হয়।
তবে গীতিকবিতার ভাববস্তুর ব্যাপ্তি কখনো কখনো বড় হতে পারে, আবার কখনো তা হয় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এ কারণে গীতিকবিতার নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য নির্ধারণ সম্ভব নয়।
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বৈষ্ণব পদাবলির মধ্য দিয়ে গীতিকবিতার রূপ প্রথম স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। যদিও কাব্যধারা প্রাচীন ও মধ্যযুগে শুরু হয়েছিল, গীতিকবিতা আসলে আধুনিক যুগেই সম্পূর্ণতা লাভ করে।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতা হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ধারাগুলোর একটি।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
উৎস