'সংশপ্তক' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
A
আলাউদ্দিন আল আজাদ
B
আবু ইসহাক
C
আল মাহমুদ
D
শহীদুল্লাহ কায়সার
উত্তরের বিবরণ
'সংশপ্তক' উপন্যাসটি শহীদুল্লাহ কায়সারের রচিত একটি মহাকাব্যিক সাহিত্যকর্ম, যা হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবনযাপন এবং অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধকে কেন্দ্র করে রচিত। উপন্যাসের নাম সংশপ্তক মহাভারত থেকে নেওয়া হয়েছে, অর্থ “যে সৈনিকেরা জীবন-মরণ পণ করে যুদ্ধে লড়ে।” বিশ্বযুদ্ধ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক সামাজিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোও এতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
-
মূল বিষয়: হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবন, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ, সমাজের বিভিন্ন সংকট।
-
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল ইত্যাদি।
শহীদুল্লাহ কায়সার:
-
জন্ম: ১৯২৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি, ফেনি।
-
পূর্ণ নাম: আবু নঈম মহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
-
জহির রায়হানের সহোদর।
-
ভ্রমণবৃত্তান্তমূলক গ্রন্থ: পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ।
-
স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ: রাজবন্দীর রোজনমাচা (১৯৬২ সালে প্রকাশিত)।
রচিত উপন্যাসসমূহ:
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
-
কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
রচিত ভ্রমণবৃত্তান্ত:
-
পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ
রচিত স্মৃতিকথা:
-
রাজবন্দীর রোজনমাচা

0
Updated: 19 hours ago
'বটতলার উপন্যাস' গ্রন্থের লেখকের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
দিলারা হাশেম
B
রাজিয়া খান
C
রিজিয়া রহমান
D
সেলিনা হোসেন
রাজিয়া খান
- রাজিয়া খান আমিন মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক ছিলেন।
- অধ্যাপনা করলেও সাহিত্যের অঙ্গনেও তাঁর সমান পদচারণা ছিল।
- সাহিত্যকর্মে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৮ সালে।
- তাঁর সাড়া জাগানো বই ‘বটতলার উপন্যাস’।

উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; 'বটতলার উপন্যাস' এবং বিবিসি নিউজ বাংলা।

0
Updated: 1 month ago
নিম্নোক্ত কোন উপন্যাসে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
দেবেশ রায়ের 'তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত'
B
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'পূর্ব-পশ্চিম'
C
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের 'যাও পাখি'
D
অভিজিৎ সেনের 'রহুচণ্ডালের হাড়'
‘পূর্ব-পশ্চিম’ উপন্যাস
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বিশিষ্ট ও দীর্ঘ উপন্যাস হলো ‘পূর্ব-পশ্চিম’। মূলত এটি ধারাবাহিকভাবে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রথম খণ্ডে উপন্যাসের প্রথম দুটি পর্ব—সূচনাপর্ব ও যৌবন—সংযুক্ত করা হয়েছে।
উপন্যাসের ঘটনা একই সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার প্রেক্ষাপটকে স্পর্শ করে। গল্প শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকের মধ্যভাগে। এ-উপন্যাসে দেখা যায় কিভাবে দু’বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের ধারা ১৯৮০-এর দশকে মিলিত হয়েছে।
ঘটনাপ্রবাহের কিছু প্রধান দিক:
-
একদিকে ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন: নেহরুর মৃত্যু, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, লালবাহাদুর শাস্ত্রীয়ের মৃত্যু, ইন্দিরা গান্ধীর অভ্যুত্থান, অর্থনৈতিক মন্দা, তরুণ সমাজে বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও উগ্র রাজনীতি।
-
অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট: ভাষা-আন্দোলনের পরবর্তী সময়, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা-সংগ্রাম, মুক্তিকালীন হতাশা, মুজিব হত্যা।
উপন্যাসে কোনো একক চরিত্রকে মূল চরিত্র বলা কঠিন। দুই বাংলার দুটি পরিবারকে কেন্দ্র করে বহু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের গল্প বর্ণিত হয়েছে। অনেক চরিত্র শুধু বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, কেউ কেউ ইউরোপ বা আমেরিকাতেও গমন করেছে।
উৎস: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, পূর্ব-পশ্চিম

0
Updated: 1 month ago
বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে কী বলা হয়?
Created: 6 days ago
A
কারক
B
পদ
C
অক্ষর
D
প্রত্যয়
বাংলা ভাষার ব্যাকরণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে বোঝা জরুরি। নিচে সেগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
-
পদ হলো বিভক্তিযুক্ত শব্দ। অর্থাৎ, কোনো শব্দে বিভক্তি যুক্ত হলেই তা পদ হিসেবে গণ্য হয়।
-
বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দেই বিভক্তি থাকে।
-
যেসব শব্দে বিভক্তি প্রকাশ পায় না, সেখানে শূন্য বিভক্তি বিদ্যমান থাকে। তাই বাক্যের প্রতিটি শব্দই পদ।
-
পদ প্রধানত দুই ধরনের হয়— সব্যয় পদ ও অব্যয় পদ।
-
কারক হলো ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক।
-
কারক সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যোগ হয়।
-
অক্ষর (ইংরেজি নাম: syllable) হলো অল্প প্রয়াসে একবারে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। তাই একে শব্দাংশও বলা হয়।
-
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
উৎস:

0
Updated: 6 days ago