'মৈমনসিংহ গীতিকা' এর ভূমিকা কে রচনা করেছেন?
A
চন্দ্রকুমার দে
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
রামরাম বসু
উত্তরের বিবরণ
ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত লোকগানসমূহকে একত্রিত করে মৈমনসিংহ গীতিকা নামে পরিচিতি দেওয়া হয়। এই গীতিকা সংগ্রহ ও প্রকাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মৈমনসিংহ নিবাসী চন্দ্রকুমার দে দীনেশচন্দ্র সেনের নির্দেশে এসব গান সংগ্রহ করেন। ১৯২৩ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৈমনসিংহ গীতিকা প্রকাশিত হয়, যার ভূমিকা রচিত হয়েছে দীনেশচন্দ্র সেনের দ্বারা। মৈমনসিংহ গীতিকা বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনূদিত ও মুদ্রিত হয়েছে।
-
গীতিকা ও রূপকথার সংখ্যা: ১০টি
-
গীতিকা ও রূপকথাসমূহ:
-
মহুয়া
-
মলুয়া
-
চন্দ্রাবতী
-
কমলা
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারামের পালা
-
রূপবতী
-
কঙ্ক ও লীলা
-
কাজলরেখা (রূপকথা)
-
দেওয়ান মদিনা
-

0
Updated: 18 hours ago
'তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 weeks ago
A
শওকত আলী
B
নির্মলেন্দু গুণ
C
আসাদ চৌধুরী
D
শহীদ কাদরী
শহীদ কাদরী
-
স্বাধীন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আধুনিক কবি।
-
জন্ম: ১৯৪২ সালে, কলকাতার পার্কস্ট্রিটে।
-
মৃত্যু পর তাঁর ইচ্ছে অনুসারে ঢাকাতে সমাধিস্থ করা হয়।
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
উত্তরাধিকার
-
তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা
-
কোথাও কোন ক্রন্দন নেই
-
আমার চুম্বনগুলো পৌছে দাও

0
Updated: 2 weeks ago
'বিষাদ-সিন্ধু' কার রচনা?
Created: 3 months ago
A
কায়কোবাদ
B
মীর মশাররফ হোসেন
C
মোজাম্মেল হক
D
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
বিষাদ-সিন্ধু’ (১৮৮৫–১৮৯১) হলো বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস আশ্রিত এক অনন্য উপন্যাস, যা লেখক মীর মশাররফ হোসেনকে অসামান্য খ্যাতির আসনে অধিষ্ঠিত করে। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত এই উপন্যাসে হাসান ও হোসেনের শাহাদাতের করুণ কাহিনি, দামেস্ক শাসক মাবিয়ার পুত্র এজিদের রক্তপিপাসু চরিত্র এবং জয়নাবের রূপে মোহিত হয়ে বহু মানুষের ধ্বংসযজ্ঞ—সবকিছু মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবিক আবেগের এক বিস্ময়কর মহাগাঁথা।
তবে ইতিহাসের প্রতি অন্ধ আনুগত্য নয়, বরং তা থেকে শিল্পসাহিত্যের উপযোগী বেছে নেওয়া কৌশল এই উপন্যাসকে করেছে স্বকীয়। গ্রন্থটি তিনটি পর্বে বিভক্ত:
-
মহরম পর্ব্ব (১৮৮৫)
-
উদ্ধার পর্ব্ব (১৮৮৭)
-
এজিদ-বধ পর্ব্ব (১৮৯১)
এই তিনটি পর্বে রয়েছে মোট ৬৩টি 'প্রবাহ' বা অধ্যায়—যার মধ্যে মহরম পর্বে ২৬টি প্রবাহসহ উপক্রমণিকা, উদ্ধার পর্বে ৩০টি প্রবাহ, এবং এজিদ-বধ পর্বে ৫টি প্রবাহ ও উপসংহার অংশ রয়েছে।
এই উপন্যাসের জনপ্রিয়তার পেছনে মূলত দুটি প্রধান কারণ:
-
ইসলাম ধর্মঘটিত স্পর্শকাতর কাহিনি, যা মুসলিম পাঠকের হৃদয়ে গভীর আবেদন সৃষ্টি করে।
-
সাহিত্যিক গুণ ও শৈলী, যা জ্ঞানপিপাসু ও রসিক পাঠকের কাছে এটিকে একটি শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্মে পরিণত করেছে।
এখানে মাইকেল মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ থেকে অনুপ্রাণিত অ্যান্টি-এস্টাব্লিশমেন্ট চেতনার প্রতিফলনও লক্ষণীয়।
মীর মশাররফ হোসেন: পথিকৃৎ মুসলিম সাহিত্যিক
মীর মশাররফ হোসেন জন্মগ্রহণ করেন ১৩ নভেম্বর ১৮৪৭ সালে, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে। তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক—বাংলা গদ্যসাহিত্যের বঙ্কিমযুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক এবং মুসলিম সমাজে সাহিত্যজাগরণের অন্যতম অগ্রদূত।
ছাত্রজীবনেই ‘সংবাদ প্রভাকর’ ও ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’য় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করে তিনি লেখালেখির সূচনা করেন। তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন ‘গ্রামবার্তা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ।
তিনি ‘গাজী মিয়াঁ’ ছদ্মনামে লেখালেখি করতেন। সম্পাদনা করেছেন দুটি পত্রিকা—‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’।
প্রথম রচনা:
-
‘রত্নবতী’ (১৮৬৯): এটি বাংলা ভাষায় কোনো মুসলিম লেখকের প্রথম গদ্যগ্রন্থ।
🎭 নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমিদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
গো-জীবন
এইভাবে মীর মশাররফ হোসেন তাঁর সাহিত্যসাধনায় যেমন ধর্ম ও ইতিহাসকে সৃজনশীল রূপে প্রকাশ করেছেন, তেমনি বাংলা গদ্যসাহিত্যের উন্নয়নে রেখেছেন অমোচনীয় অবদান।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago
'বায়ু' শব্দের প্রতিশব্দ নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
অনিল
B
পবন
C
অগ্নিসখ
D
কৃশানু
‘বায়ু’ শব্দের প্রতিশব্দ হলো—
-
বাতাস
-
অনিল
-
পবন
-
হাওয়া
-
সমীর
-
সমীরণ
-
বায়
-
বাত
-
মলয়
-
মরুৎ
-
প্রভঞ্জন
-
মারুত
-
অগ্নিসখ
-
বহ্নিসখ
-
জগতায়ু
-
জগৎপ্রাণ
-
জগদ্বল
-
গন্ধবহ
-
গন্ধবাহ
-
শব্দবহ
-
সদাগতি
-
প্রবমান
-
নভঃশ্বাস
-
বাভাস ইত্যাদি
উল্লেখ্য, ‘কৃশানু’ বায়ু শব্দের প্রতিশব্দ নয়।
‘অগ্নি’ শব্দের প্রতিশব্দ হলো—
-
অনল
-
বহ্নি
-
পাবক
-
হুতাশন
-
বৈশ্বানর
-
জ্বলন
-
কৃশানু
-
শিখাবৎ
-
শিখিন
-
বায়ুসখা
-
হুতভুক
-
শুচি
-
পিঙল
-
বিশ্বপা
-
হিমারাতি
-
বায়ুসখ
-
অনিলসখ
-
জগন্নু
-
সর্বভুক ইত্যাদি
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago