'লালসালু' উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
A
১৯৪০ সালে
B
১৯৪১ সালে
C
১৯৫৮ সালে
D
১৯৪৮ সালে
উত্তরের বিবরণ
'লালসালু' উপন্যাসটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর রচিত একটি কালজয়ী সাহিত্যকর্ম, যা ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ধর্ম, সমাজচেতনা ও নারী জাগরণের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থকারীদের স্বরূপ উন্মোচন করে। উপন্যাসটি ইংরেজিতে Tree Without Roots (১৯৬৭) নামে অনূদিত হয়েছে।
-
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য: বহুমাত্রিক ও কালোত্তীর্ণ।
-
মূল বিষয়: ধর্ম, ব্যক্তি স্বার্থ, নারী জাগরণ ও সমাজচেতনা।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: মজিদ, জমিল, আমেন, খালেক ব্যাপার, রহিম, আক্কা, তাহেরের বাপ, হাসুনির মা ইত্যাদি।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ:
-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার।
-
জন্ম: ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট, চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর এলাকা।
-
প্রথম উপন্যাস: লালসালু।
উপন্যাসসমূহ:
-
কাঁদো নদী কাঁদো
-
লালসালু
-
চাঁদের অমাবস্যা
নাটকসমূহ:
-
বহিপীর
-
তরঙ্গভঙ্গ
-
সুড়ঙ্গ
-
উজানে মৃত্যু

0
Updated: 19 hours ago
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'কৃষ্ণকান্তের উইল' উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম-
Created: 4 months ago
A
নগেন্দ্রনাথ ও কুন্দনন্দিনী
B
মধুসূদন ও কুমুদিনী
C
গোবিন্দলাল ও রোহিনী
D
সুরেশ ও অচেলা
কৃষ্ণকান্তের উইল
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং সমকালীন সময়ে বিতর্কিত একটি উপন্যাস হলো কৃষ্ণকান্তের উইল। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন বিধবা নারী রোহিনী। তাঁকে ঘিরেই লেখক নিজে শিল্পবোধ ও নৈতিক আদর্শের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।
এই গ্রন্থটি ঔপন্যাসিকের জীবদ্দশাতেই চারবার মুদ্রিত হয়।
উপন্যাসটির প্রধান চরিত্রসমূহ:
-
রোহিনী
-
গোবিন্দলাল
-
ভ্রমর
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৩৮ সালের ২৭ জুন, চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
উপাধি: বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে পরিচিত।
-
বিখ্যাত ত্রয়ী উপন্যাস:
-
আনন্দমঠ
-
দেবী চৌধুরানী
-
সীতারাম
-
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: সাম্য
তাঁর রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 4 months ago
'কাশবনের কন্যা' কোন জাতীয় রচনা?
Created: 2 months ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
কাব্য
D
ছোটগল্প
কাশবনের কন্যা
‘কাশবনের কন্যা’ উপন্যাসটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম। গ্রামীণ সমাজ ও জীবনের আবহকে ঘিরে লেখা এই উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালে। এতে লেখক বরিশালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গ্রামবাংলার সহজ-সরল মানুষদের জীবন ও সংস্কৃতিকে গভীর দরদের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন। দারিদ্র্য এবং কষ্টের বাস্তবতা থাকা সত্ত্বেও উপন্যাসে গ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে এক বিশ্বাসভিত্তিক শান্তির আশ্রয়স্থল হিসেবে—যেখানে রয়েছে মানবিক সম্পর্কের গভীরতা এবং আত্মিক সুখের অন্বেষণ।
উপন্যাসটিতে বিশেষভাবে চিত্রায়িত হয়েছে বরিশাল অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, লোকজ সংস্কৃতি এবং গ্রামীণ দিগন্ত। এতে মুখ্য চরিত্র হিসেবে উঠে এসেছে: সিকদার, হোসেন, জোবেদা ও মেহেরজান প্রমুখ।
• শামসুদ্দীন আবুল কালাম
বাংলা কথাসাহিত্যের এক উজ্জ্বল নাম শামসুদ্দীন আবুল কালাম। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালের আগস্ট মাসে, বরিশালের নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে। শিক্ষা জীবন শুরু করেন বরিশাল জেলা স্কুলে, যেখানে থেকে তিনি ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
এরপর ১৯৪৩ সালে ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মগুলো হলো:
গল্পগ্রন্থ
-
অনেক দিনের আশা
-
ঢেউ
-
পথ জানা নাই
-
দুই হৃদয়ের তীর
-
শাহের বানু
উপন্যাস
-
আলমনগরের উপকথা
-
কাশবনের কন্যা
-
কাঞ্চনমালা
-
জায়মঙ্গল
-
কাঞ্চনগ্রাম
-
পুঁই ডালিমের কাব্য
তথ্যসূত্র: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞেসা’ — ড. সৌমিত্র শেখর, ‘বাংলাপিডিয়া’।

0
Updated: 2 months ago
'গঙ্গা' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 1 week ago
A
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
B
সমরেশ বসু
C
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সমরেশ বসুর রচিত "গঙ্গা" উপন্যাসটি ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা, যেখানে মূল বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে জেলেজীবন, বিশেষত অবিভক্ত ২৪ পরগনা জেলার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জীবনসংগ্রাম। লেখক চরিত্র চিত্রণের চেয়ে জেলেদের জীবনযাপন, সংগ্রাম ও বাস্তবতাকেই প্রধানভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
প্রকাশকাল: ১৯৫৭
-
বিষয়বস্তু: জল, জাল ও জেলেদের জীবনসংগ্রাম; বিশেষত অবিভক্ত ২৪ পরগনার মাছমারা সম্প্রদায়
-
চরিত্রগুলো অতটা ব্যক্তিগতভাবে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেনি, বরং সামগ্রিকভাবে জেলেজীবনের কাহিনিই মুখ্য হয়ে উঠেছে।
-
লেখকের মূল লক্ষ্য ছিল জেলেদের জীবনচিত্র উপস্থাপন করা, চরিত্রায়ণ এখানে গৌণ।
উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহ:
-
নিবারণ (কেন্দ্রীয় চরিত্র)
-
সাইদার নিবারণ, পাঁচু (নিবারণের ছোট ভাই), বিলাস (নিবারণের ছেলে)
-
বশীর, সয়ারাম, পাচী (ছায়া), রসিক, দুলাল
-
অমর্তের বউ, দামিনী, হিমি, হিমির সখী আতর
-
মহাজন ব্রজেন ঠাকুর প্রমুখ
-
আপাতভাবে নায়ক-নায়িকা বিলাস ও হিমি হলেও, উপন্যাসের সমস্ত চরিত্রের আবর্তন নিবারণকে কেন্দ্র করেই, তাই নিবারণকে কেন্দ্রীয় চরিত্র ধরা হয়।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago