এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি সমষ্টিকে কী বলে?
A
বর্ণ
B
অক্ষর
C
শব্দ
D
লিপি
উত্তরের বিবরণ
অক্ষর হলো বাগযন্ত্রের ক্ষুদ্রতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা শব্দাংশ। ইংরেজিতে এটিকে syllable বলা হয়।
-
প্রকারভেদ:
-
মুক্তাক্ষর: টানা যায় না, যেমন ক/লা।
-
বদ্ধাক্ষর: টানা যায়, যেমন দিন, রাত।
-
-
উদাহরণ: 'বাংলাদেশ' শব্দে ৩টি অক্ষর রয়েছে: বাং + লা + দেশ।
-
অক্ষর নির্ধারণের নিয়ম: শব্দে যতগুলো কার আছে এবং এক সঙ্গে উচ্চারিত শব্দাবলীর সংখ্যা মিলে অক্ষর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।

0
Updated: 19 hours ago
’দিগন্ত’ কোন নিয়মে ব্যঞ্জনসন্ধি?
Created: 3 weeks ago
A
ব্যঞ্জন + স্বর
B
স্বর + স্বর
C
স্বর + স্বর
D
ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন
’দিগন্ত’ শব্দটি (ব্যঞ্জন + স্বর) নিয়মে গঠিত।
যেমন-
- ক/চ/ট/ত/প + স্বর = গ/জ/ড (ড়)/দ/ব।
- যেমন
- দিক্ + অন্ত = দিগন্ত,
- সৎ + উপায় = সদুপায়
- স্বরধ্বনিগুলো ঘোষবৎ হয়। এখানে ঘোষবৎ স্বরধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী অঘোষ ধ্বনি (ক, চ, ট, ত, প) পরিবর্তিত হয়ে ঘোষধ্বনিতে (গ, জ, ড, দ, ব) পরিণত হয়।
উল্লেখ্য,
- ব্যঞ্জনসন্ধি
- স্বরে-ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে-স্বরে ও ব্যঞ্জনে-ব্যঞ্জনে যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে।
• পরি+ছেদ = পরিচ্ছেদ (স্বর + ব্যঞ্জন) ।
• চলৎ+চিত্র = চলচ্চিত্র (ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন) ।

0
Updated: 3 weeks ago
যোজক কাকে যুক্ত করে?
Created: 6 days ago
A
পদ
B
বর্গ
C
বাক্য
D
সবগুলোই
যোজক হলো সেই শব্দ, যা পদ, বর্গ বা বাক্যকে একত্রিত করে।
যেমন—
-
এবং, ও, আর, তবু, অথবা, সুতরাং, কারণ, তবে ইত্যাদি।
যোজকের প্রকারভেদ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী—
-
সাধারণ যোজক : দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে।
যেমন: করিম ও রহিম এ কাজটি করেছে। -
বিকল্প যোজক : একাধিক শব্দ বা বাক্যের মধ্যে বিকল্প নির্দেশ করে।
যেমন: চা না-হয় কফি খান। -
বিরোধ যোজক : বাক্যের দুটি অংশের মধ্যে সংযোগ ঘটায় এবং প্রথম বাক্যের বক্তব্যের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে।
যেমন: তাকে আসতে বললাম, তবু এলো না। -
কারণ যোজক : বাক্যের দুটি অংশের মধ্যে সংযোগ ঘটায়, যার একটি অন্যটির কারণ নির্দেশ করে।
যেমন: বসার সময় নেই, তাই যেতে হচ্ছে। -
সাপেক্ষ যোজক : একে অপরের পরিপূরক হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: যত পড়ছি, ততই নতুন করে জানছি।

0
Updated: 6 days ago
পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে 'স্মরণ' শব্দের ক্ষেত্রে কোনটি ঘটে?
Created: 1 week ago
A
স-এর উচ্চারণ শ হয়ে যায়
B
ণ-এর উচ্চারণ ন হয়ে যায়
C
ম-ফলার উচ্চারণ ম হয়ে যায়
D
শুরুতে নাসিক্য উচ্চারণ হয় না
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘স্মরণ’ (বিশেষ্য পদ) শব্দের প্রমিত উচ্চারণ হলো শঁরোন্।
-
পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে পরিবর্তন: ঢাকাইয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী ইত্যাদি অঞ্চলে শব্দের শুরুতে “স্ম” ধ্বনিতে ‘স’ প্রায়শই ‘শ’ ধ্বনিতে রূপ নেয়, তাই ‘স্মরণ’ উচ্চারণ হয় শঁরোন।
-
অর্থাৎ, পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে স-এর উচ্চারণ শ হয়ে যায়।
অন্যান্য অপশনগুলোর বিশ্লেষণ:
-
খ) ণ-এর উচ্চারণ ন হয়ে যায়: লিখিত রূপে ‘ণ’ থাকলেও উচ্চারণে এটি দন্ত্য ‘ন’ এর সঙ্গে অভিন্ন। ‘স্মরণ’ শব্দে ণ-এর উচ্চারণে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
-
গ) ম-ফলার উচ্চারণ ম হয়ে যায়: ‘স্মরণ’ শব্দে ম-ফলার কোনো প্রভাব নেই; এটি একটি স্বাধীন ব্যঞ্জনবর্ণ।
-
ঘ) শুরুতে নাসিক্য উচ্চারণ হয় না: শব্দের শুরুতে নাসিক্য ধ্বনি (ঁ) থাকে, এবং পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে এটি সাধারণত বজায় থাকে।

0
Updated: 1 week ago