কোনটি দুটি বিশেষণযোগে গঠিত দ্বন্দ্ব সমাস?
A
উনিশ-বিশ
B
নাক-কান
C
ছেলে-বুড়ো
D
বাকি-বকেয়া
উত্তরের বিবরণ
যে সমাসে দুটি বা ততোধিক অংশ শব্দের অর্থ সমান গুরুত্বের হয়ে একত্রিত হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়। এই ধরনের সমাসে বিভিন্ন রূপ ও প্রকার থাকে, যেমন দুটি বিশেষণ যোগ, বিপরীতার্থক শব্দযোগ, অঙ্গবাচক শব্দযোগ, এবং সংখ্যাবাচক শব্দযোগ।
-
দুটি বিশেষণ যোগে: দুটি বিশেষণ একত্র হয়ে একটি যৌথ ধারণা প্রকাশ করে।
উদাহরণ: ভালো-মন্দ, কম-বেশি, আসল-নকল, বাকি-বকেয়া। -
বিপরীতার্থক শব্দযোগে: দুটি বিপরীতার্থক শব্দ একত্রিত হয়ে সমন্বিত অর্থ প্রদান করে।
উদাহরণ: আয়-ব্যয়, জমা-খরচ, ছোট-বড়, ছেলে-বুড়ো, লাভ-লোকসান। -
অঙ্গবাচক শব্দযোগে: শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নাম যুক্ত হয়ে একটি যৌথ ধারণা তৈরি করে।
উদাহরণ: হাত-পা, নাক-কান, বুক-পিঠ, মাথা-মুণ্ডু, নাক-মুখ। -
সংখ্যাবাচক শব্দযোগে: দুটি সংখ্যা বা সংখ্যাসূচক শব্দ একত্রিত হয়ে একটি যৌথ সংখ্যা বা মান নির্দেশ করে।
উদাহরণ: সাত-পাঁচ, নয়-ছয়, সাত-সতের, উনিশ-বিশ।

0
Updated: 19 hours ago
'সাতসমুদ্র' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
দ্বিগু সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
দ্বিগু সমাস হলো এমন একটি সমাস যা সংখ্যাবাচক শব্দ এবং বিশেষ্য পদ নিয়ে গঠিত এবং সমষ্টি বা সমাহার নির্দেশ করে। দ্বিগু সমাসে গঠিত সমাসনিষ্পন্ন পদটি সাধারণত বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দ্বিগু সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায়:
-
প্রথম পদটি সংখ্যাবাচক শব্দ হয়।
-
দ্বিতীয় পদটি বিশেষ্য হয়।
-
সমস্তপদটি সমষ্টি বা সমাহার বোঝায়।
-
সমস্তপদটি একটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
সাত সমুদ্রের সমাহার = সাতসমুদ্র
-
আটটি ধাতুর সমাহার = অষ্টধাতু
-
তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল
-
পাঁচ সেরের সমাহার = পঁসুরি
-
শত বর্ষের সমাহার = শতবর্ষ
-
শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী
-
সপ্ত ঋষির সমাহার = সপ্তর্ষি
-
ত্রি (তিন) পদের সমাহার = ত্রিপদী
অন্যান্য উদাহরণ: অষ্টধাতু, চতুর্ভুজ, চতুরঙ্গ, ত্রিমোহিনী, তেরনদী, পঞ্চভূত, সাতসমুদ্র ইত্যাদি

0
Updated: 1 week ago
কোনটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস?
Created: 19 hours ago
A
ঝালমুড়ি
B
সিংহপুরুষ
C
চন্দ্রমুখ
D
বিদ্যাধন
যে কর্মধারয় সমাসে দুটি পদ একত্রিত হওয়ার সময় মধ্যবর্তী পদটি লোপ হয়ে যায় এবং বাক্যের অর্থ সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশিত হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়। এই সমাসে মূল ভাব বা অর্থ রক্ষা হয়, তবে শব্দগঠন আরও সংক্ষিপ্ত ও স্বচ্ছ হয়।
-
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ:
-
হাসি মাখা মুখ = হাসিমুখ
-
ঝাল মিশ্রিত মুড়ি = ঝালমুড়ি
-
প্রাণ যাওয়ার ভয় = প্রাণভয়
-
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ
-
উর্ণ নির্মিত জাল = উর্ণাজাল
-
-
উপমিত কর্মধারয়: সমাসে পদগুলোর মধ্যে তুলনা বা উপমা বোঝানো হয়।
উদাহরণ:-
পুরুষ সিংহের ন্যায় = সিংহপুরুষ
-
মুখ চন্দ্রের ন্যায় = চন্দ্রমুখ
-
-
রূপক কর্মধারয়: সমাসে পদগুলোর মধ্যে রূপক বা প্রতীকী অর্থ বোঝানো হয়।
উদাহরণ: বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন

0
Updated: 19 hours ago
সমাসের রীতি কোন ভাষা থেকে আগত?
Created: 2 months ago
A
আরবি
B
ফারসি
C
সংস্কৃত
D
ইংরেজি
সমাস হল দুটি বা তার অধিক শব্দকে একত্র করে একটি নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া। এই রীতি প্রাচীন সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে এবং বাংলা ভাষাতেও তা অনুসরণ করা হয়।

0
Updated: 2 months ago