'ছিঁচকাঁদুনে' বাগ্ধারাটি কোন অর্থ নির্দেশ করে?
A
দুর্বল
B
বিপর্যস্ত
C
ব্যক্তিত্বহীন
D
সামান্যতে কেঁদে ফেলে
উত্তরের বিবরণ
‘ছিঁচকাঁদুনে’ বাগ্ধারাটি এমন ব্যক্তিকে বোঝায়, যে সামান্য কারণেই কেঁদে ফেলে। এটি সাধারণত অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ বা কান্নাকাটি স্বভাবের মানুষকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
অর্থ: সামান্য কারণে কান্না করে এমন ব্যক্তি
বাক্য: এম.এ. পাশ করেও মেয়েটার ছিঁচকাঁদুনে স্বভাব গেল না
অন্যদিকে, কয়েকটি বাগ্ধারার অর্থ নিচে দেওয়া হল—
উনপাঁজুরে: দুর্বল ও ব্যক্তিত্বহীন ব্যক্তি
ঝড়ো কাক: বিপর্যস্ত বা অগোছালো অবস্থা
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা ও তাদের অর্থ—
কড়ি কপালে, লগন চাঁদা: ভাগ্যবান বা সৌভাগ্যবান ব্যক্তি
কপাল ফেরা: সৌভাগ্যের পরিবর্তন বা উন্নতি হওয়া
ক-অক্ষর গোমাংশ: একেবারে মূর্খ বা অশিক্ষিত ব্যক্তি
কেউকেটা: তুচ্ছ বা অখ্যাত ব্যক্তি
আটাশে ছেলে: দুর্বল বা কাচা ধরনের ছেলে
আক্কেল সেলামি: নির্বুদ্ধিতার জন্য শাস্তি বা মূর্খতার ফল

0
Updated: 19 hours ago
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
সাম্যবাদ
B
স্থিরপ্রতিজ্ঞ
C
সস্ত্রীক
D
সবিনয়
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
যে সমাসে কর্মধারয় পদ থেকে মধ্যপদটি লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
পল (মাংস) + অন্ন → পলান্ন
-
সিংহ + আসন → সিংহাসন
-
প্রীতি + উপহার → প্রীতিউপহার
-
মৌ + মাছি → মৌমাছি
-
সাহিত্য + সভা → সাহিত্যসভা
-
ঘর + জামাই → ঘরজামাই
-
স্মৃতি + সৌধ → স্মৃতিসৌধ
বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর অর্থ সরাসরি বোঝা না গিয়ে অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
আয়ত লোচন যার → আয়তলোচনা (স্ত্রী)
-
মহান আত্মা যার → মহাত্মা
-
স্বচ্ছ সলিল যার → নীলবসনা
-
স্থির প্রতিজ্ঞা যার → স্থিরপ্রতিজ্ঞ
-
ধীর বুদ্ধি যার → ধীরবুদ্ধি
-
সহার্থক বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে সহার্থক পদ (অর্থ-সহ অর্থজ্ঞাপক) সঙ্গে বিশেষ্য পদ যুক্ত হয়, তাকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলে।
-
উদাহরণ:
-
স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান → সস্ত্রীক
-
বিনয়ের সঙ্গে বর্তমান → সবিনয়
-
অন্যান্য: সফল, সবান্ধব, সকরুণ, সহিত, সবল, সহদয়, সক্রিয়, সবিরাম, সগোত্র, সচকিত
-
উৎস:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago
'ঋ' এর উচ্চারণস্থান কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
ওষ্ঠ্য
B
দন্ত্য
C
মূর্ধা
D
কণ্ঠ্য
বাংলা স্বরবর্ণ ঋ [রি]
-
অবস্থান: বাংলা ভাষার সপ্তম স্বরবর্ণ।
-
উচ্চারণস্থান: মূর্ধা।
উচ্চারণের নিয়ম:
-
স্বাধীন ব্যবহারে: শব্দের শুরুতে কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে ব্যবহৃত হলে উচ্চারণ হয় 'রি'।
-
উদাহরণ: ঋণ, ঋষি
-
-
যদি অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়: তখন ঋ-এর উচ্চারণ হয় র-ফলা।
-
উদাহরণ:
-
হৃদয় → হ্রিদয়
-
আদৃত → আদ্রিত
-
-
উচ্চারণস্থানের ভিত্তিতে ব্যঞ্জনবর্ণের বিভাজন:
বাকপ্রত্যঙ্গের সেই অংশ যেখানে বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ব্যঞ্জনধ্বনি সৃষ্টি হয়, সেটিই উচ্চারণস্থান। এর উপর ভিত্তি করে ব্যঞ্জনধ্বনিকে ভাগ করা হয়:
-
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
দন্ত্য ব্যঞ্জন
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন
-
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
-
তালব্য ব্যঞ্জন
-
কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন
উৎস:
-
অভিগম্য অভিধান
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 3 weeks ago
‘পুত্র’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
তপন
B
তনয়
C
আত্মজা
D
শোভন
পুত্র শব্দের প্রতিশব্দ হলো তনয়।
পুত্র এর অন্যান্য প্রতিশব্দ:
-
ছেলে
-
আত্মজ
-
নন্দন
-
দুলাল
-
সুত
-
তনয়
-
খোকা
-
কুমার
অন্যান্য শব্দ ও তাদের প্রতিশব্দ:
-
কন্যা = আত্মজা
-
সূর্য = তপন
-
সুন্দর = শোভন
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago