নিম্নলিখিত বাক্যটি পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তর করুন:
সোহেল বলল, "আমি এখানে থাকব"।
A
সোহেল বলল, "আমি সেখানে থাকব।"
B
সোহেল বলল যে, সে সেখানে থাকবে।
C
সোহেল জানাল যে আমি এখানে থাকব।
D
সোহেল বলল, "সে এখানে থাকবে।
উত্তরের বিবরণ
প্রত্যক্ষ উক্তি “বলল সোহেল, ‘আমি এখানে থাকব’” পরিবর্তিত হয়ে পরোক্ষ উক্তি হয় “সোহেল বলল যে, সে সেখানে থাকবে”। প্রত্যক্ষ থেকে পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তরের সময় কয়েকটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হয়, যা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।
-
পুরুষ পরিবর্তন: প্রথম পুরুষ “আমি” পরিণত হয় তৃতীয় পুরুষে, অর্থাৎ “সে”।
-
স্থান পরিবর্তন: নিকট নির্দেশক শব্দ “এখানে” পরিবর্তিত হয়ে হয় “সেখানে”, যা দূর নির্দেশ করে।
-
বাক্য গঠন পরিবর্তন: উদ্ধৃতি চিহ্ন বাদ দিয়ে সংযোজক অব্যয় “যে” যুক্ত করা হয়, যাতে বাক্যটি পরোক্ষ রূপে যুক্ত হয়।
-
ক্রিয়ার রূপ পরিবর্তন: মূল ক্রিয়া “থাকব” পরিবর্তিত হয়ে হয় “থাকবে”, কারণ এটি তৃতীয় পুরুষ অনুযায়ী রূপান্তরিত হয়।
ভুল বিকল্পগুলোর কারণ:
-
ক) এখনও প্রত্যক্ষ উক্তি রয়ে গেছে, কারণ উদ্ধৃতি চিহ্ন বাদ দেওয়া হয়নি এবং পুরুষ পরিবর্তন হয়নি।
-
গ) পুরুষ ও স্থান কোনোটিই পরিবর্তিত হয়নি; “আমি এখানে” অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
-
ঘ) উদ্ধৃতি চিহ্ন বজায় থাকায় এটি এখনও প্রত্যক্ষ উক্তি হিসেবে রয়ে গেছে।

0
Updated: 19 hours ago
'ত্ত' যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণের সমন্বয়ে গঠিত?
Created: 2 weeks ago
A
ক্ + ত
B
ত্ + ক
C
ত্ + ত
D
ও্ + ত
সংযুক্ত বর্ণের শুদ্ধরূপ হলো ত্ + ত = ত্ত। বাংলা ভাষায় একাধিক বর্ণ মিলিত হয়ে যুক্তবর্ণ তৈরি হয় এবং এগুলো শুদ্ধভাবে লিখতে জানা প্রয়োজন।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু যুক্তবর্ণ হলো
-
ক্ + ত = ক্ত
-
ঙ্ + গ = ঙ্গ
-
ভ্ + র = ভ্র
-
ত্ + থ = ত্থ
-
ঙ্ + ক = ঙ্ক
-
হ্ + ম = হ্ম
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলা ভাষায় মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি?
Created: 1 month ago
A
৭টি
B
৮টি
C
১০টি
D
৯টি
বাংলা বর্ণমালার ৫০টি বর্ণের মধ্যে মাত্রাহিন বর্ণ ১০টি। এগুলো হলোঃ এ, ঐ, ও, ঔ, ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ। অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮টি। এগুলো হলোঃ ঋ, খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ এবং পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২ টি।

0
Updated: 1 month ago
’শনিবারের চিঠি’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
নীরদ চন্দ্র চৌধুরী
C
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
রামানন্দ চট্টপাধ্যায়
‘শনিবারের চিঠি’ ছিল একটি ব্যঙ্গাত্মক ধাঁচের সাহিত্যিক পত্রিকা, যা প্রথমে সাপ্তাহিক পরে মাসিক আকারে প্রকাশিত হয়। হাস্য-বিদ্রূপের মাধ্যমে সমসাময়িক সাহিত্যচর্চাকে সমালোচনা করাই এর মূল উদ্দেশ্য ছিল।
-
পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে।
-
১৯৩০-৪০ এর দশকে এটি কলকাতাকেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
-
এই পত্রিকার সঙ্গে কল্লোল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব ছিল আক্রমণাত্মক, তবে তৎকালীন সাহিত্যে এটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল।
-
পত্রিকার প্রাণপুরুষ ছিলেন সজনীকান্ত দাস। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রকাশনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন যোগানন্দ দাস।
-
নীরদ চন্দ্র চৌধুরী-ও একসময় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত অধিকাংশ রচনা বেনামে প্রকাশিত হয়েছিল।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago