"তবুও থামে না যৌবন বেগ জীবনের উল্লাসে
চলেছে চন্দ্র মঙ্গল গ্রহে স্বর্গে অসীমাকাশে।" - কে লিখেছেন?
A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
হেলাল হাফিজ
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমদ
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ‘জীবন-বন্দনা’-এর এই অংশে কবি জীবনের অদম্য গতি ও যৌবনের অনিঃশেষ উদ্দীপনাকে তুলে ধরেছেন। মানুষের অগ্রযাত্রা যে কখনো থামে না, বরং সে চন্দ্র, মঙ্গল, গ্রহ ও স্বর্গ পর্যন্ত ছুটে চলে—এই ভাবকেই কবি চিত্রিত করেছেন তাঁর কবিতার পংক্তিতে।
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতা সম্পর্কিত তথ্য:
-
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
-
কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলাদেশের রণসংগীত “চল চল চল, উর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল” এই কাব্যগ্রন্থ থেকেই নেওয়া হয়েছে।
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতার ভাব:
-
কবি এখানে মানুষের শ্রম, সাহস ও সৃষ্টিশীল শক্তির বন্দনা করেছেন।
-
তিনি সেই সব মানুষকে স্মরণ করেছেন, যারা কঠিন পরিশ্রমে পৃথিবীকে ফলবান করেছে।
-
মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও অগ্রযাত্রাই ধরণিকে করেছে “কুসুমিতা মনোহরা”।
-
কবির ভাষায়, এই জীবনের চলা যেন উল্কার মতো—অবিরাম, অপ্রতিরোধ্য।
-
শেষে তিনি ঘোষণা করেছেন যে, যৌবনের বেগ থামে না—মানবজীবনের উল্লাস অনন্ত, যা চন্দ্র, মঙ্গল ও স্বর্গ পর্যন্ত ছুটে চলে।
কাজী নজরুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
অগ্নিবীণা
-
বিষের বাঁশি
-
ভাঙার গান
-
সাম্যবাদী
-
সর্বহারা
-
সন্ধ্যা
-
ঝিঙেফুল
-
ফণি-মনসা
-
জিঞ্জিরা
-
প্রলয়শিখা ইত্যাদি

0
Updated: 19 hours ago
কোন কবিতা রচনার কারণে নজরুল ইসলামের কারাদণ্ড হয়েছিল?
Created: 2 months ago
A
বিদ্রোহী
B
আনন্দময়ীর আগমনে
C
কাণ্ডারী হুশিয়ার
D
অগ্রপথিক
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত 'আনন্দময়ীর আগমনে' একটি প্রতিবাদী কবিতা, যা তাকে কারাবরণে বাধ্য করেছিল।
৭৯ লাইনের এই জ্বালাময়ী কবিতাটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদে ভরপুর। ১৯২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে কবিতাটি প্রকাশিত হলে, ব্রিটিশ সরকার এতে বিদ্রোহের গন্ধ পেয়ে নজরুলকে কুমিল্লা থেকে ৮ নভেম্বর গ্রেফতার করে।
কাজী নজরুল ইসলাম: বিদ্রোহ ও সাহিত্যের কবি
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজচিন্তায় ছিলেন এক বিপ্লবী চিন্তার ধারক। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
শৈশবে ‘দুখু মিয়া’ নামে পরিচিত এই কবি বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে খ্যাত হন।
গানে ও কবিতায় সমান পারদর্শী নজরুল আধুনিক বাংলা সংগীত জগতে ‘বুলবুল’ নামে সুপরিচিত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো:
-
অগ্নিবীণা
-
বিষের বাঁশী
-
ছায়ানট
-
সাম্যবাদী
-
সর্বহারা
-
সিন্ধু-হিন্দোল
-
চক্রবাক
-
ফণি-মনসা
-
প্রলয়-শিখা
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'ব্যথার দান' কোন শ্রেণির রচনা?
Created: 1 week ago
A
প্রবন্ধগ্রন্থ
B
গল্পগ্রন্থ
C
কাব্যগ্রন্থ
D
নাটক
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের নাম ‘ব্যথার দান’। এটি প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল মোট ছয়টি গল্প। এ গ্রন্থটি নজরুলের সাহিত্যজীবনের সূচনায় বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
গ্রন্থভুক্ত গল্পগুলো হলো:
-
ব্যথার দান
-
হেনা
-
অতৃপ্ত কামনা
-
বাদল-বরিষণে
-
ঘুমের ঘোরে
-
রাজবন্দীর চিঠি
কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
রিক্তের বেদন
-
শিউলিমালা
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত 'ধূমকেতু' কোন ধরনের পত্রিকা?
Created: 6 days ago
A
মাসিক
B
দৈনিক
C
অর্ধ-সাপ্তাহিক
D
বার্ষিক
'ধূমকেতু' পত্রিকা
-
সম্পাদনা: কাজী নজরুল ইসলাম
-
প্রকাশকাল: ১৯২২, অর্ধ-সপ্তাহিক পত্রিকা (সপ্তাহে দুবার প্রকাশিত)
-
প্রেক্ষাপট: বিশের দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনের ব্যর্থতার পর সশস্ত্র বিপ্লববাদের পুনরাবির্ভাবে ধূমকেতু পত্রিকার তাৎপর্যপূর্ণ অবদান ছিল।
-
বিশেষত্ব: এক অর্থে পত্রিকাটি হয়ে উঠেছিল সশস্ত্র বিপ্লবীদের মুখপত্র।
-
প্রকাশক সংস্থা: ‘কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু’
-
২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ প্রকাশিত হলে, ৮ নভেম্বর ওই সংখ্যা নিষিদ্ধ করা হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পত্রিকার সাফল্য কামনা করে লিখেন:
'আয় চলে আয় রে ধূমকেতু
আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু দুর্দিনের এই দুর্গশিরে
উড়িয়ে দে তাের বিজয়কেতন।'

0
Updated: 6 days ago