A
মধুসূদন দত্ত
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
তারাচরণ শিকদার
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যে মৌলিক নাটকের সূচনা ঘটে ১৮৫২ খ্রিষ্টাব্দে, যখন তারাচরণ শিকদার রচনা করেন ‘ভদ্রার্জুন’ নামক একটি প্রহসনধর্মী নাটক। এই নাটকের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় মৌলিক নাট্যচর্চার পথপ্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি।
একই বছরে, ১৮৫২ সালে, বাংলা সাহিত্যে প্রথম ট্রাজেডি নাটক ‘কীর্তিবিলাস’ প্রকাশিত হয়, যার রচয়িতা ছিলেন যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত। এটি ছিল বাংলা নাটকে শোকাত্মক আবহ সৃষ্টির প্রাথমিক প্রয়াস।
এর প্রায় এক দশক পর, ১৮৬১ সালে, মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখনীতে জন্ম নেয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’, যা সাহিত্যিক ও নাট্যপ্রেমী মহলে গভীর প্রভাব ফেলে।
তথ্যসূত্র: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ড. মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 1 week ago
'নীল দর্পণ' নাটক কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৪ সালে
D
১৮৬৬ সালে
• নীল-দর্পণ:
- 'নীল-দর্পণ' (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্র রচিত শ্রেষ্ঠ নাটক এবং শ্রেষ্ঠ রচনাও।
- এটি ১৮৬০ সালে প্রকাশিত হয়।
- তৎকালীন নীলচাষ ও নীলকর সাহেবদের প্রজাপীড়ন এবং শাসকশ্রেণীর পক্ষপাতমূলক আচরণ নাটকটির বিষয়বস্তু।
- নাটকটি তৎকালীন সমাজে বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং কৃষকদের নীলবিদ্রোহে ইন্ধন জোগায়।
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত' A Native' ছদ্মনামে নাটকটির ইংরেজি অনুবাদ করেন ও নাম দেন 'Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror' (1861) এবং পাদ্রি জেমস লং তা প্রকাশ করে আদালত কর্তৃক অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন।
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নীল-দর্পণকে 'Uncle Tom`s Cabin-এর সঙ্গে তুলনা করেন।
- ১৮৬০ সালে 'কস্যচিৎ পথিকস্য' ছদ্মনামে নাটকটি প্রথম ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর এটি দিয়েই শুরু হয় সাধারণ রঙ্গালয়ের অভিনয়।
• তাঁর রচিত অন্যান্য নাটক:
- নবীন তপস্বিনী,
- লীলাবতী,
- কমলে কামিনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
কোন নাটকটি সেলিম আল দীনের?
Created: 1 week ago
A
মুনতাসীর ফ্যান্টাসী
B
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
C
কবর
D
বহুব্রীহি
স্বৈরশাসনকে ব্যঙ্গ করে সেলিম আল দীন রচনা করেন ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’ নাটকটি।
- হাস্যরসের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন সেনা ও স্বৈরশাসকেরা দেশের প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সঙ্গে শুভবোধ ও সংস্কৃতিকেও ধ্বংস করে৷
অন্যদিকে,
- ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ সৈয়দ শামসুল হক রচিত মুক্তযুদ্ধবিষয়ক কাব্যনাট্য।
- 'কবর' নাটকের রচয়িতা- অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী। এটি ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম নাটক।
------------------------
• সেলিম আল দীন:
- বাংলা ভাষার আধুনিককাল পর্বের অন্যতম নাট্যকার হলেন সেলিম আল দীন।
- তাঁর প্রকৃত নাম মইনুদ্দিন আহমেদ।
- তিনি ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
• তাঁর রচিত নাটকগুলো হলো:
- সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য,
- বাসন,
- কেরামতমঙ্গল,
- কীর্তন খোলা,
- হাতহদাই,
- শকুন্তলা,
- মুনতাসীর ফ্যান্টাসি,
- জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন,
- চাকা,
- যৈবতী কন্যার মন,
- হরগজ, নিমজ্জন,
- একটি মারমা রূপকথা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির পটভূমিতে রচতি 'কবর' নাটকের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কবির চৌধুরী
B
মুনীর চৌধুরী
C
সৈদয় শামসুল হক
D
মুনতাসীর মামুন
• ‘কবর’ নাটক:
- ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক 'কবর'।
- নাটকটি লেখক জেলে থাকা অবস্থায় রচনা করেন এবং ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা নাটকটি প্রথম অভিনীত হয়।
- নাটকটি ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
- এটি একুশের পটভূমিতে রচিত প্রথম বাংলা নাটক।
• ‘কবর’ নাটকের কাহিনি সংক্ষেপ:
- মার্কিন নাট্যকার Irwin Shaw রচিত 'Bury The Dead' (১৯৩৬) নাটকের অনুসরণে এদেশীয় ঘটনা কেন্দ্র করে 'কবর' নাটক লেখা হয়েছে।
- 'কবর' নাটকে মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে শহরে কারফিউ দিয়ে লাশ গুম করতে গভীর রাতে কবরস্থানে নিয়ে যায়। পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ এবং নেতা (নাটকে তার নাম নেই) যৌথভাবে এ দায়িত্ব নেয়। কিন্তু লাশগুলো ছিন্নভিন্ন দেখে তারা ধর্মীয় প্রথা অনুসারে কবরস্থ না করে একত্রে মাটিচাপা দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বাধা দেয় গোর-খোদক। কবরস্থানে আশ্রয় নেয়া আরেক স্বজনহারা পাগল মুর্দা ফকিরও প্রতিবাদ জানায়।
বলে: এ লাশগুলো আন্দোলনকারীর। এরা এভাবে কবরে যাবে না। লাশগুলোও তখন উঠে দাঁড়ায় এবং বলে: আমরা কবরে যাবো না। এসব দেখে মদ্যপ ইন্সপেক্টর ও নেতা ভয় পেয়ে যায়।
---------------------
• মুনীর চৌধুরী:
- মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
- ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে তাঁর জন্ম।
- মুনীর চৌধুরী শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক:
- রক্তাক্ত প্রান্তর,
- চিঠি,
- কবর,
- দণ্ডকারণ্য।
অনুবাদ নাটক:
- কেউ কিছু বলতে পারে না,
- রূপার কৌটা ও
- মুখরা রমণী বশীকরণ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago