‘উপভাষা’ কোন সমাসের উদাহরণ?
A
তৎপুরুষ সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
অব্যয়ীভাব সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
উত্তরের বিবরণ
‘উপভাষা’ অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ। পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়ের অর্থের প্রাধান্য থাকে তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
সাদৃশ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হলো: ভাষার সদৃশ =উপভাষা, বনের সদৃশ =উপবন, শহরের সদৃশ= উপশহর, গ্রহের তুল্য /সদৃশ= উপগ্রহ।

0
Updated: 20 hours ago
'লাঠালাঠি' শব্দটির সমাস -
Created: 3 months ago
A
দ্বন্দ্ব
B
বহুব্রীহি
C
কর্মধারায়
D
তৎপুরুষ
বহুব্রীহি সমাস হলো এমন একটি সমাস, যেখানে সমাসবদ্ধ পদ দুটির অর্থ সরাসরি বোঝানো হয় না; বরং এই সমাস অন্য কিছুর বা অন্য ব্যক্তির নির্দেশ করে। অর্থাৎ, সমাসের মিশ্র অর্থ নয়, বরং এতে ইঙ্গিত থাকে এক বহিরাগত বিষয়ের প্রতি।
🔸 সংজ্ঞা:
যে সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্মিলিত অর্থ অন্য কিছুর ইঙ্গিত দেয়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
📘 উদাহরণ:
-
চতুরানন = চারটি মুখ যাঁর — বোঝানো হয়েছে ব্রহ্মাকে।
-
ত্রিনয়ন = তিনটি চোখ যাঁর — বোঝানো হয়েছে শিবকে।
এখানে ‘চতুরানন’ বা ‘ত্রিনয়ন’ বললে মুখ বা চোখ বোঝায় না, বরং বোঝানো হয় এমন এক ব্যক্তিকে যার সেই বৈশিষ্ট্য আছে।
🔁 ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস কী?
ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হলো এক বিশেষ ধরণের বহুব্রীহি, যেখানে সমাসটি গঠিত হয় দুটি একরকম বিশেষ্য শব্দ দিয়ে, যা মিলে একজাতীয় কাজ বা পারস্পরিক আচরণ প্রকাশ করে।
🔸 সংজ্ঞা:
যে বহুব্রীহি সমাসে দুটি একরূপ বিশেষ্য শব্দ একত্র হয়ে একে অপরের প্রতি সংঘটিত কাজ বোঝায়, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস বলে।
📘 উদাহরণ:
সমাস | বিশ্লেষণ | অর্থ |
---|---|---|
লাঠালাঠি | লাঠি + লাঠি | লাঠি দিয়ে একে অপরকে মারা (যুদ্ধ) |
কানাকানি | কান + কান | কানে কানে ফিসফিস করে কথা বলা |
কোলাকুলি | কোল + কোল | একে অপরকে জড়িয়ে ধরা (আলিঙ্গন) |
এই ধরণের শব্দে একই বস্তু বা অঙ্গের পুনরাবৃত্তি থাকে এবং তা পারস্পরিক কোনো কার্যক্রম নির্দেশ করে।
উৎস:
ভাষা-শিক্ষা – ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 3 months ago
'অষ্টধাতু' — কোন ধরনের সমাস?
Created: 6 days ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বিগু সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
দ্বিগু সমাস হলো সমাহার বা মিলনের অর্থ প্রকাশকারী এমন সমাস যেখানে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং বিশেষ্য পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন বিশেষ্য গঠন করে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি সর্বদা বিশেষ্য পদ হিসেবে কাজ করে।
দ্বিগু সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায় হলো:
-
প্রথম পদটি সংখ্যাবাচক শব্দ হয়।
-
পরবর্তী পদটি বিশেষ্য পদ হয়।
-
সমাসনিষ্পন্ন সমস্ত পদ সমষ্টি বা সমাহার বোঝায়।
-
সমাসিত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
সাত সমুদ্রের সমাহার = সাতসমুদ্র (এখানে "সাত" সংখ্যাবাচক এবং "সমুদ্র" বিশেষ্য; মিলিত হয়ে সাতটি সমুদ্রের সমষ্টি বোঝাচ্ছে)
অন্যান্য উদাহরণ:
-
আটটি ধাতুর সমাহার = অষ্টধাতু
-
তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল
-
পাঁচ সেরের সমাহার = পঁসুরি
-
শত বর্ষের সমাহার = শতবর্ষ
-
শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী
-
সপ্ত ঋষির সমাহার = সপ্তর্ষি
-
ত্রি (তিন) পদের সমাহার = ত্রিপদী
এছাড়া আরও কিছু দ্বিগু সমাসের উদাহরণ: অষ্টধাতু, চতুর্ভুজ, চতুরঙ্গ, ত্রিমোহিনী, তেরনদী, পঞ্চভূত, সাতসমুদ্র।

0
Updated: 6 days ago
'নবান্ন' শব্দটি কোন প্রক্রিয়ায় গঠিত?
Created: 2 months ago
A
সমাস
B
সন্ধি
C
প্রত্যয়
D
উপসর্গ
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান,
• নবান্ন (বিশেষ্য পদ),
অর্থ:
- নতুন অন্ন।
- দুধ গুড় নারকেল কলা প্রভৃতির সঙ্গে নতুন আতপ চাল খাওয়ার উৎসববিশেস-হৈমন্তী ধান কাটার পর অগ্রহায়ণ মাসে (বিশেষ করে হিন্দু সমাজে) অনুষ্ঠিত একটি উৎসব।
• নবান্ন = নব যে অন্ন; কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ।
অন্যদিকে
• নবান্ন শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো: নব + অন্ন = নবান্ন।
- নবান্ন হলো স্বরসন্ধির উদাহরণ।
উল্লেখ্য,
• মনে রাখা প্রয়ােজন যে, সন্ধির সাহায্যে শব্দ গঠনের প্রচলিত ধারণা যথাযথ নয়। সন্ধি মূলত একটি ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যা শব্দস্তরে প্রযুক্ত হয়। তবে সন্ধির মাধ্যনে নতুন শব্দ গঠন হয় না।
[ সুতরাং ‘নবান্ন’ শব্দের গঠন অনুসারে, সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর হবে সমাস।]

0
Updated: 2 months ago