'বঙ্গবাণী' কত শতকে রচিত সাহিত্য?
A
ষোল শতকে
B
সতের শতকে
C
আঠার শতকে
D
উনিশ শতকে
উত্তরের বিবরণ
‘বঙ্গবাণী’ কবিতাটি মধ্যযুগের প্রখ্যাত মুসলিম কবি আবদুল হাকিম রচিত ‘নূরনামা’ কাব্য থেকে সংকলিত। এটি সপ্তদশ শতকে (সতেরো শতকে) রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ কবিতা, যেখানে কবি বাংলা ভাষা ও বাঙালিত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও গর্ব প্রকাশ করেছেন। সেই সময়ে যখন অনেক শিক্ষিত মানুষ বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করতেন, তখন আবদুল হাকিম তাঁর কবিতার মাধ্যমে সাহসিকতার সঙ্গে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানান।
তিনি লিখেছিলেন—
“যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী,
সে সব কাহার জন্ম নির্নয় ন জানি।”
এই পঙ্ক্তিতে কবি তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন তাঁদের, যারা বঙ্গে জন্ম নিয়েও নিজস্ব ভাষাকে ঘৃণা করে। এই বক্তব্য বাংলা ভাষার প্রতি এক অনন্য ভালোবাসা ও আত্মপরিচয়ের প্রকাশ।
আবদুল হাকিম ছিলেন সপ্তদশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট মুসলিম কবি, যিনি ১৬২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শুধু ধর্মীয় বা অনুবাদ সাহিত্যেই নয়, সমাজচেতনা ও ভাষাসচেতনতার প্রতিও গভীরভাবে নিবেদিত ছিলেন। তাঁর রচনায় ধর্ম, প্রেম, নীতি ও মানবতার সুষমা মিলিত হয়েছে।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যসমূহ
-
ইউসুফ জোলেখা
-
নূরনামা
-
দুররে মজলিশ
-
লালমোতি সয়ফুলমুলুক
-
হানি-ফার লড়াই

0
Updated: 21 hours ago
'বিষাদ সিন্ধু' একটি-
Created: 1 month ago
A
গবেষণা গ্রন্থ
B
ধর্মবিষয়ক প্রবন্ধ
C
ইতিহাস আশ্রয়ী উপন্যাস
D
আত্মজীবনী
বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাস
-
লেখক ও খ্যাতি: মীর মশাররফ হোসেনের খ্যাতি প্রধানত বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাসের জন্য।
-
প্রকাশকাল: ১৮৮৫–১৮৯১।
-
ধরণ ও বিষয়: ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস; ইমাম হাসান ও হোসেনের করুণ মৃত্যুকাহিনি, দামেস্কের অধিপতি মাবিয়ার একমাত্র পুত্র এজিদের কারবালা যুদ্ধের বর্ণনা মূল বিষয়।
-
ঐতিহাসিক সত্যতা: মূল ঘটনাগুলো ইতিহাসভিত্তিক হলেও, লেখক ইতিহাসের অন্ধ অনুসরণ করেননি।
-
রচনা: উপন্যাসটি তিনটি পর্বে বিভক্ত:
-
মহরম পর্ব (উপক্রমণিকা + ২৬টি অধ্যায়)
-
উদ্ধার পর্ব (৩০টি অধ্যায়)
-
এজিদ-বধ পর্ব (৫টি অধ্যায় + উপসংহার)
-
-
জনপ্রিয়তার কারণ:
-
ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত স্পর্শকাতর কাহিনির কারণে সাধারণ মুসলিম পাঠকের কাছে জনপ্রিয়।
-
জাদুকরী ভাষা ও রচনাশৈলীর কারণে সাহিত্যরসিকের কাছে প্রিয়।
-
জয়নাবের রূপসুন্দর্য ও এজিদের রূপতৃষ্ণার পরিণতি নিয়ে বর্ণিত বিপর্যয় কাহিনি উপন্যাসটিকে সর্বজনীন করে তুলেছে।
-
-
সাহিত্যিক প্রভাব: অ্যান্টি-এস্টাব্লিশমেন্ট চেতনা মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদবধ কাব্য থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'সাবিত্রী ও কিরণময়ী' - কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 week ago
A
বড়দিদি
B
চরিত্রহীন
C
দেবদাস
D
শ্রীকান্ত
‘চরিত্রহীন’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে। এটি মূলত প্রথা বহির্ভূত প্রেম ও নারী-পুরুষের জটিল সম্পর্ককে কেন্দ্র করে রচিত। সেই কারণেই উপন্যাসটির নামকরণ হয়েছে ‘চরিত্রহীন।’ গল্পটিতে মোট চারটি নারী চরিত্র রয়েছে, যার মধ্যে দুটি প্রধান চরিত্র হলো সাবিত্রী ও কিরণময়ী।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ—
-
দেনা-পাওনা
-
বড়দিদি
-
বিরাজবৌ
-
পণ্ডিতমশাই
-
পরিণীতা
-
চন্দ্রনাথ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
গৃহদাহ
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
-
শেষের পরিচয় ইত্যাদি
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
কোনটি মধ্যম পুরুষ?
Created: 1 week ago
A
আপনি
B
তারা
C
আমরা
D
সে
পুরুষ তিন প্রকারে বিভক্ত: উত্তম, মধ্যম ও নাম পুরুষ। প্রতিটি পুরুষ সর্বনাম ব্যবহারের ধরন দ্বারা চিহ্নিত হয়।
-
উত্তম পুরুষ: ক্রিয়ার কর্তা নিজেকে বুঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহার করে, তাকে উত্তম পুরুষ বলে।
-
উদাহরণ: আমি, আমরা
-
-
মধ্যম পুরুষ: বক্তা যার সঙ্গে কথা বলছে, তাকে বুঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহার করে, তাকে মধ্যম পুরুষ বলে।
-
উদাহরণ: তুমি, তোমরা, আপনি, তোরা
-
-
নাম পুরুষ: বক্তা যার সম্পর্কে কিছু বলছে, তাকে বুঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহার করে, তাকে নাম পুরুষ বলে।
-
উদাহরণ: সে, তারা, ওরা, করিম, এটা
-
উৎস:

0
Updated: 1 week ago