'ইউসুফ জুলেখা' কাব্যের রচয়িতা কে?
A
দৌলত উজির বাহরাম খান
B
দৌলত কাজী
C
শাহ মুহম্মদ সগীর
D
আলাওল
উত্তরের বিবরণ
শাহ মুহম্মদ সগীর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্যযুগের এবং একই সঙ্গে প্রথম মুসলিম কবি হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি বাংলা অনুবাদ সাহিত্যের পথিকৃৎ এবং রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কবি হিসেবে খ্যাত। তাঁর সাহিত্যকর্মে ইসলামি ঐতিহ্য, প্রেম এবং মানবিকতার সমন্বয় ঘটেছে।
তিনি পনের শতকের কবি ছিলেন এবং গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘ইউসুফ-জুলেখা’ রচনা করেন। এটি মূলত পারস্যের বিখ্যাত কবি জামী রচিত ‘ইউসুফ জুলেখা’ কাব্যের বাংলা অনুবাদ, যা বাংলা ভাষায় এই ধারার আদি গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। এই কাব্যের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে ইসলামী কাহিনি ও ভাবধারার সমৃদ্ধ সূচনা ঘটে।

0
Updated: 21 hours ago
'সাবিত্রী ও কিরণময়ী' - চরিত্র দুটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত কোন উপন্যাসের?
Created: 1 month ago
A
বড়দিদি
B
শেষের পরিচয়
C
চরিত্রহীন
D
শ্রীকান্ত
‘চরিত্রহীন’ উপন্যাস
-
‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত এবং প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে।
-
এটি রচিত হয়েছে প্রথা বহির্ভূত প্রেম ও নারী-পুরুষ সম্পর্ক নিয়ে, তাই উপন্যাসের নামকরণ করা হয়েছে ‘চরিত্রহীন’।
-
গল্পে মোট চারটি নারী চরিত্র রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান দুটি চরিত্র: সাবিত্রী ও কিরণময়ী।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাসসমূহ
-
দেনা-পাওনা
-
বড়দিদি
-
বিরাজবৌ
-
পণ্ডিতমশাই
-
পরিণীতা
-
চন্দ্রনাথ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
গৃহদাহ
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
-
শেষের পরিচয় প্রভৃতি
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) শরৎ রচনাবলী

0
Updated: 1 month ago
বৈষ্ণব পদাবলিতে 'শৃঙ্গার রস'কে কী নামে ডাকা হয়?
Created: 6 days ago
A
শান্তরস
B
দাস্যরস
C
সখ্যরস
D
মধুররস
বৈষ্ণব পদাবলি হলো মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, যা মূলত কৃষ্ণভক্তি ও রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা নিয়ে রচিত। এটি বাংলা সাহিত্যের বৈষ্ণব ধর্মীয় কাব্যধারার প্রধান নিদর্শন।
-
বাঙালি কবি জয়দেবকে বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম পদকর্তা বলা হয়।
-
‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্যটি রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত এবং এটি আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন, তবে এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত, বাংলা নয়।
-
পরবর্তীতে বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদ রচনা করেন।
-
বাংলা ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদাবলি রচনা করেন চণ্ডীদাস।
-
বৈষ্ণব পদাবলিতে কৃষ্ণের প্রধান প্রেমিকা হিসেবে শ্রীরাধাকে নায়িকা বলা হয় এবং নায়িকার ৮টি অবস্থা বর্ণিত।
-
এই কাব্যে পাঁচটি রস ব্যবহৃত হয়েছে:
১. শান্তরস
২. দাস্যরস
৩. সখ্যরস
৪. বাৎসল্যরস
৫. মধুররস (যাকে শৃঙ্গার রসও বলা হয়)

0
Updated: 6 days ago
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত কোন গ্রন্থটি বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারের অভিযোগে বাজেয়াপ্ত করা হয়?
Created: 1 week ago
A
স্পেন বিজয় কাব্য
B
তারাবাঈ
C
অনল প্রবাহ
D
স্বজাতি প্রেম
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত ‘অনল প্রবাহ’ মুসলিম জাগরণমূলক একটি কাব্য, যা ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয়। কাব্যটি মুসলমানদের দুরবস্থা ও অধঃপতন তুলে ধরে এবং ইংরেজদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও রোষ প্রকাশ করেছে। কাব্যটির মূল বার্তা হলো: “যা চলে গেছে তার জন্য শোক বৃথা, বরং জাতির হৃতগৌরব উদ্ধারের প্রচেষ্টা মুখ্য।”
-
প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল নয়টি:
-
অনল-প্রবাহ
-
তুর্যধ্বনি
-
মূর্ছনা
-
বীর-পূজা
-
অভিভাষণ: ছাত্রগণের প্রতি
-
মরক্কো-সঙ্কটে
-
আমীর-আগমনে
-
দীপনা
-
আমীর-অভ্যর্থনা
-
-
১৩১৫ বঙ্গাব্দে (১৯০৮) প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণ ছিল পরিবর্তিত ও বর্ধিত।
-
বর্ধিত সংস্করণের কারণে তৎকালীন বাংলার সরকার বইটি বাজেয়াপ্ত করে এবং সিরাজীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তিনি ফরাসি অধিকৃত চন্দননগরে ৮ মাস আত্মগোপন করেন এবং পরে আত্মসমর্পণ করলে বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারের অভিযোগে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড লাভ করেন।
সিরাজীর অন্যান্য সাহিত্যকর্ম:
-
উপন্যাস: রায়নন্দিনী, তারাবাঈ, ফিরোজা বেগম
-
প্রবন্ধ: স্বজাতি প্রেম, তুর্কি নারী জীবন, স্পেনীয় মুসলান সভ্যতা
-
কাব্যগ্রন্থ: অনল প্রবাহ, উচ্ছ্বাস, উদ্বোধন, স্পেন বিজয় কাব্য
-
ভ্রমণকাহিনি: তুরস্ক ভ্রমণ
উৎস:

0
Updated: 1 week ago