' চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
রফিক আজাদ
B
বিষ্ণু দে
C
অমিয় চক্রবর্তী
D
আবুল মনসুর আহমদ
উত্তরের বিবরণ
• ‘চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া’ কাব্যগ্রন্থ:
- রফিক আজাদের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া’ কম্পমান অভিজ্ঞতাময় লোকপ্রিয় একটি গ্রন্থ।
- ১৯৭৭ সালে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
- এ কাব্যে পরীলক্ষিত হয় রফিক আজাদের সমকালীন চিন্তা, স্বদেশ ও সমাজকে অতিক্রম করে বিশ্ব মানবসভ্যতার বৃহত্তর চেতায় বিস্তৃতি লাভ করেছে।
- কাব্যে বর্ণিত ‘চুনিয়া' মধুপুরগড়ের একটি ছোট্ট গ্রাম। এই গ্রামকেই কবি কল্পনা করেছেন তাঁর স্বপ্নময় অভিযাত্রার স্বর্গীয় স্থান 'আর্কেডিয়া' হিসাবে।
রফিক আজাদ:
- রফিক আজাদ টাঙ্গাইল জেলার জাহিদগঞ্জের গুণীগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- রফিক আজাদের ডাক নাম ছিল- জীবন।
- কর্মজীবনে তিনি সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা ও সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন।
- বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা 'উত্তরাধিকার' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
- তাঁর বিখ্যাত কবিতা 'ভাত দে হারামজাদা'। এটি 'সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে' কাব্যগ্রন্থে সংকলিত।
- তিনি ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর বিখ্যাত কিছু কাব্যগ্রন্থ:
- চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া,
- অসম্ভবের পায়ে,
- কোনো খেদ নেই,
- হৃদয়ের কী বা দোষ,
- সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে,
- প্রিয় শাড়িগুলো,
- অপর অরণ্যে,
- হৃদয়ের কি বা দোষ,
- পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি ইত্যাদি।

0
Updated: 21 hours ago
'ভয়ে গা ছম ছম করছে।' - এখানে দ্বিরুক্ত শব্দ 'ছম ছম' কী অর্থ প্রকাশ করে?
Created: 5 days ago
A
ধ্বনিব্যঞ্জনা
B
বিশেষণ
C
অনুভূতি
D
পৌনঃপুনিকতা
বাংলা ব্যাকরণে অব্যয় পদের কিছু দ্বিরুক্তির উদাহরণ এবং তাদের ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো।
-
ভাবের গভীরতা বোঝাতে: সবাই হায় হায় করতে লাগল।
-
পৌনঃপুনিকতা বোঝাতে: বার বার সে কামান গর্জে উঠল।
-
অনুভূতি বা ভাব প্রকাশে: ভয়ে গা ছম ছম করছে।
-
বিশেষণ বোঝাতে: পিলসুজে বাতি জ্বলে মিটির মিটির।
-
ধ্বনিব্যঞ্জনা প্রকাশে: ঝির ঝির করে বাতাস বইছে।

0
Updated: 5 days ago
'ইউসুফ জুলেখা' কাব্যের রচয়িতা কে?
Created: 21 hours ago
A
দৌলত উজির বাহরাম খান
B
দৌলত কাজী
C
শাহ মুহম্মদ সগীর
D
আলাওল
শাহ মুহম্মদ সগীর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্যযুগের এবং একই সঙ্গে প্রথম মুসলিম কবি হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি বাংলা অনুবাদ সাহিত্যের পথিকৃৎ এবং রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কবি হিসেবে খ্যাত। তাঁর সাহিত্যকর্মে ইসলামি ঐতিহ্য, প্রেম এবং মানবিকতার সমন্বয় ঘটেছে।
তিনি পনের শতকের কবি ছিলেন এবং গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘ইউসুফ-জুলেখা’ রচনা করেন। এটি মূলত পারস্যের বিখ্যাত কবি জামী রচিত ‘ইউসুফ জুলেখা’ কাব্যের বাংলা অনুবাদ, যা বাংলা ভাষায় এই ধারার আদি গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। এই কাব্যের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে ইসলামী কাহিনি ও ভাবধারার সমৃদ্ধ সূচনা ঘটে।

0
Updated: 21 hours ago
রামমোহন রায় রচিত ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বেদান্তসার
B
গোস্বামীর সহিত বিচার
C
বেদান্তগ্রন্থ
D
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
বেদান্তগ্রন্থ
-
‘বেদান্তগ্রন্থ’ (১৮১৫) রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা।
-
বাংলাগদ্যের ইতিহাসে এই গ্রন্থটির ঐতিহাসিক মূল্য অসামান্য।
-
গ্রন্থের উদ্দেশ্য: পৌত্তলিকতা হিন্দু ধর্মের মুখ্য নয়, বরং ব্রহ্মই একমাত্র তত্ত্ব ও উপাস্য।
-
এই গ্রন্থ অবলম্বন করে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রবল বাকবিতর্ক সৃষ্টি হয়।
রাজা রামমোহন রায়
-
বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ, জন্ম: ১৭৭২ সালের ২২শে মে, হুগলী জেলার রাধানগর।
-
১৮৩০ সালে খেতাবসর্বস্ব মুগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন এবং ব্রিটিশ রাজ ও পার্লামেন্টে ওকালতি করার জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান।
-
কলকাতায় ২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় তিনি ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন।
-
শিব প্রসাদ রায় ছদ্মনামে মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
-
তিনি প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ
-
বেদান্তগ্রন্থ
-
বেদান্তসার
-
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
-
গোস্বামীর সহিত বিচার
-
সহমরন বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ প্রভৃতি
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago