চলিত রীতির শব্দ নয় কোনটি?
A
করবার
B
করার
C
করিবার
D
করে
উত্তরের বিবরণ
‘করিবার’ শব্দটি হলো সাধুরীতির শব্দ। এছাড়া আরও কিছু সাধুরীতির শব্দ হলো- তাঁহারা, পাইয়াছিলেন, আসিয়া ইত্যাদি।
সাধু ও চলিত রীতির বৈশিষ্ট ক) বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। খ) এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল। গ) সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার অনুপযোগী। ঘ) এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
চলিত রীতির বৈশিষ্ট ক) চলিত রীতি পরিবর্তনশীল। একশ বছর আগে যে চলিত রীতি সে যুগের শিষ্ট ও ভদ্রজনের কথিত ভাষা বা মুখের বুলি হিসেবে প্রচলিত ছিল, কালের প্রবাহে বর্তমানে তা অনেকটা পরিবর্তিত রূপ লাভ করেছে। খ) এ রীতি তদ্ভব শব্দবহুল। গ) চলিত রীতি সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য এবং বক্তৃতা, আলাপ-আলোচনা ও নাট্যসংলাপের জন্য বেশি উপযোগী । ঘ) সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে। বহু বিশেষ্য ও বিশেষণের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটে।

0
Updated: 23 hours ago
চলিত রীতির শব্দ কোনটি?
Created: 17 hours ago
A
শুষ্ক
B
শুকনা
C
তুলা
D
তুলো
বাংলা ভাষায় কিছু শব্দ আছে যেগুলো সাহিত্যিক রূপে কম ব্যবহৃত হয়, কিন্তু কথ্য ও চলতি রীতিতে বেশি ব্যবহৃত হয়।
-
শুষ্ক = সাহিত্যিক শব্দ
-
শুকনা = প্রচলিত/কথ্য শব্দ
-
তুলা = সংস্কৃতঘেঁষা, সাহিত্যিক শব্দ
-
তুলো = চলতি রীতি/কথ্য শব্দ
অতএব, সঠিক উত্তর "তুলো"।

0
Updated: 17 hours ago
কোন ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট?
Created: 2 weeks ago
A
কথ্য ভাষা
B
লেখ্য ভাষা
C
সাধু ভাষা
D
চলিত ভাষা
সাধু ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। সাধু ভাষা হলো বাংলা লেখ্য গদ্যের অপেক্ষাকৃত প্রাচীন রূপ। এর নবীন ও বর্তমানে বহুল প্রচলিত রূপটি হলো চলিত। সাধু ভাষা অনেকটা ধ্রুপদী বৈশিষ্ট্যের এবং চলিত ভাষা অপেক্ষা স্বল্প প্রাঞ্জল।
"সাধু" শব্দের এক অর্থ শিষ্ট, মার্জিত বা ভদ্ররীতি সঙ্গত। রাজা রামমোহন রায় তাঁর "বেদান্ত গ্রন্থ" রচনাটিতে শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।

0
Updated: 2 weeks ago
ভাষার কোন রীতি তৎসম শব্দবহুল?
Created: 2 months ago
A
সাধুরীতি
B
চলিতরীতি
C
কথ্যরীতি
D
লেখ্যরীতি
ভাষার সাধুরীতি সাধারণত তৎসম শব্দবহুল হয়। এটি বাংলা ভাষার একটি প্রাচীন রূপ, যা সংস্কৃত ভাষার প্রভাবমুক্ত না হয়ে অনেক তৎসম শব্দ ধারণ করেছে। সাধুরীতিতে শব্দের গঠন, বাক্যরীতি ও শৈলী অত্যন্ত মার্জিত এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকে, এবং এই রীতিতে প্রাচীন ব্যাকরণের বিধিগুলি মেনে লেখা হয়।
এতে অনেক তৎসম শব্দ যেমন—আত্মজ্ঞান, উপদেশ, কর্তব্য, ভবিষ্যৎ, প্রত্যাশা ইত্যাদি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 2 months ago