চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটার-এর কাজ কোনটি?
A
তথ্য সংরক্ষণ
B
ইমেজ বিশ্লেষণ
C
রোগী পর্যবেক্ষণ
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক চিকিৎসা অনেক বেশি কার্যকর ও নির্ভুল হচ্ছে। আজকের দিনে প্রায় সকল দেশে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করা হচ্ছে, যা রোগ নির্ণয়কে আরও সূক্ষ্ম এবং দ্রুততর করে।
• বর্তমানে EHR (Electronic Health Record) এর মাধ্যমে রোগীর সকল স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য ডিজিটাল ডেটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। রোগী তার EHR ব্যবহার করে যে কোনো স্থান থেকে তার রোগ সংক্রান্ত তথ্য, রিপোর্ট এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র অ্যাক্সেস করতে পারেন।
• CT Scan (Computed Tomography Scan) চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইমেজিং পদ্ধতি। এতে আলোর প্রতিসরণ এবং জ্যামিতিক হিসেবের মাধ্যমে ২-ডি ছবিগুলোকে 3D তে রূপান্তর করা হয়, যার মাধ্যমে কোনো বস্তুর সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
• রোগীর অস্বাভাবিক লক্ষণ পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যেমন ECG (Electrocardiogram) এবং Echocardiogram, যা হার্টের কার্যক্রম এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য নিরীক্ষণ করে।
অর্থাৎ, চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় তথ্য সংরক্ষণ, রোগী পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজ বিশ্লেষণ প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রে, যা চিকিৎসার মান উন্নত করতে সহায়ক।

0
Updated: 9 hours ago
Programme Debugging - এর উদ্দেশ্য কী?
Created: 1 month ago
A
নতুন প্রোগ্রাম তৈরি
B
কোড কপি করা
C
প্রোগ্রামের ভুল-ত্রুটি ঠিক করা
D
প্রোগ্রাম রান করা
Programme Debugging (প্রোগ্রাম ডিবাগিং)
সংজ্ঞা:
Programme Debugging-এর উদ্দেশ্য হলো প্রোগ্রামের ভুল-ত্রুটি শনাক্ত ও সংশোধন করা।
মূল তথ্য:
-
Bug অর্থ: পোকা
-
Debugging অর্থ: পোকা দূর করা
-
কম্পিউটারের প্রোগ্রামে যে ভুল-ত্রুটি থাকে, তা দূর করাকে ডিবাগিং বলা হয়।
-
ইতিহাস: ১৯৪৫ সালে MARK-I কম্পিউটারে একটি মথ পোকা ঢুকে যাওয়ায় এটি অচল হয়ে যায়। তখন থেকেই "Debugging" শব্দের উৎপত্তি।
ডিবাগিং পদ্ধতি:
-
প্রথমে প্রোগ্রামে কোন ধরনের ভুল আছে তা নির্ণয় করা।
-
Syntax Error: সহজে শনাক্ত ও সংশোধন করা যায়।
-
Logical Error: শনাক্ত করা কঠিন।
-
এর জন্য নমুনা ডাটা ব্যবহার করে পরীক্ষা করা হয়।
-
প্রোগ্রামকে কয়েকটি অংশে ভাগ করে প্রতিটি অংশের ফলাফল যাচাই করা হয়।
-
কোথায় ভুল আছে তা নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়।
-

0
Updated: 1 month ago
বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের নাম কী?
Created: 1 week ago
A
Colossus
B
Mark-I
C
UNIVAC
D
IBM 701
বাণিজ্যিকভাবে তৈরি প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার হলো UNIVAC (Universal Automatic Computer), যা ১৯৫১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয়। এটি সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও জটিল গণনার ক্ষেত্রে এটি ছিল একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। এর আগে নির্মিত Colossus ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক উদ্দেশ্যে কোড ভাঙতে ব্যবহৃত কম্পিউটার, যা কখনও বাণিজ্যিকভাবে উন্মুক্ত হয়নি। Mark-I ছিল ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল কম্পিউটার এবং IBM 701 UNIVAC-এর পরে বাজারে আসে। তাই সঠিক উত্তর হলো: UNIVAC।
UNIVAC (Universal Automatic Computer):
-
এটি ছিল বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার।
-
১৯৫১ সালে এর নির্মাণ সম্পন্ন হয় এবং সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ব্যবহার শুরু হয়।
-
প্রথমবারের মতো এতে চুম্বক-ফিতা (magnetic tape) ব্যবহার করা হয়েছিল।
-
একই সঙ্গে পড়া, গণনা ও তথ্য লেখার কাজ করা যেত।
-
ভ্যাকুয়াম টিউব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল।
-
১৯৫২ সালের আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল সঠিকভাবে পূর্বাভাস দিয়ে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
অপশন ব্যাখ্যা:
-
IBM 701: IBM-এর প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার, তবে এটি UNIVAC-এর পরে বাজারে আসে।
-
Mark-I: পৃথিবীর প্রথম ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক নয়।
-
Colossus: ব্রিটিশ কোডব্রেকারদের দ্বারা তৈরি একটি সামরিক কম্পিউটার, যা বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও বাণিজ্যিকভাবে উন্মুক্ত হয়নি।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে কম্পিউটার যুগের যাত্রা আরম্ভ হয়েছিল কত সালে?
Created: 1 week ago
A
১৯৭৯ সালে
B
১৯৬২ সালে
C
১৯৬৪ সালে
D
১৯৭২ সালে1
বাংলাদেশে কম্পিউটার যুগের সূচনা ঘটে ১৯৬৪ সালে, যখন দেশে IBM 1620 মডেলের কম্পিউটার আনা হয়। এটি মূলত বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষামূলক কাজে ব্যবহৃত হতো। এর মাধ্যমে শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ডেটা ব্যবস্থাপনা এবং জটিল গণিত সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই কম্পিউটারই বাংলাদেশে আধুনিক প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করে এবং পরবর্তী সময়ে প্রযুক্তি শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বলা যায়, বাংলাদেশের কম্পিউটার যুগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৪ সালেই।
উত্তর: গ) ১৯৬৪ সালে
-
১৯৬৪ সালে দ্বিতীয় প্রজন্মের IBM 1620 কম্পিউটার দিয়ে বাংলাদেশে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয়।
-
এটি ছিল আইবিএম কোম্পানির একটি মেইনফ্রেইম কম্পিউটার।
-
IBM 1620 সিরিজের এই কম্পিউটার স্থাপন করা হয় তৎকালীন পাকিস্তান পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে, যার বর্তমান নাম বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র।
-
কম্পিউটারটি বর্তমানে ঢাকার আগারগাঁও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
-
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ১৯৬৯ সালের দিকে মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করে।

0
Updated: 1 week ago