একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি LAN-এর একাধিক ডিভাইসকে একটি WAN-এর সাথে সংযুক্ত করে এমন ডিভাইস কোনটি?
A
রাউটার
B
ওয়েব সার্ভার
C
ব্রীজ
D
হাব
উত্তরের বিবরণ
রাউটার হলো একটি বুদ্ধিমান নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা একই প্রটোকল ব্যবহার করা দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করার কাজ করে। এটি নেটওয়ার্ক ট্রাফিককে স্মার্টলি রাউটিং করে, যাতে ডেটা দ্রুত ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
-
রাউটার উৎস কম্পিউটার থেকে গন্তব্য কম্পিউটারে ডেটা প্যাকেট (data packets) পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে কম দূরত্বের বা অপ্টিমাল পথ ব্যবহার করে।
-
নেটওয়ার্কে যদি ডেটার লোড বা ব্যস্ততা বেশি থাকে, রাউটার সেই পথ এড়িয়ে অন্য উপযুক্ত রুট বা path নির্বাচন করে ডেটা পাঠাতে পারে।
-
একাধিক LAN সংযুক্ত করতে বা WAN এর সঙ্গে LAN সংযোগ স্থাপন করতে রাউটার ব্যবহার করা হয়।
-
এটি NAT (Network Address Translator) ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের ঠিকানা চিহ্নিত ও মানেজ করে।
0
Updated: 1 month ago
২১) দুটি ভিন্ন প্রোটোকল-ভিত্তিক নেটওয়ার্ককে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করার জন্য কোন নেটওয়ার্ক ডিভাইস ব্যবহার করা হয়?
Created: 2 months ago
A
Hub
B
Switch
C
Router
D
Gateway
নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলোর মধ্যে সুইচ, রাউটার এবং গেটওয়ে অন্যতম। গেটওয়ে এমন একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা ভিন্ন ভিন্ন প্রোটোকল ব্যবহারকারী নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে সক্ষম। এটি ডেটা ফরম্যাট, প্রোটোকল এবং আর্কিটেকচার পরিবর্তন করে এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদান নিশ্চিত করে।
সুইচ একটি ডিভাইস যা নেটওয়ার্কে প্রেরিত ডাটাকে বিভক্ত করে এবং নেটওয়ার্কের সকল সিস্টেমে না পাঠিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। হাবের মতো কাজ করলেও সুইচ প্রেরিত সিগন্যাল শুধুমাত্র টার্গেট কম্পিউটারে প্রেরণ করে। স্টার টপোলজিতে সুইচ কেন্দ্রিয় কানেকটিভ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
রাউটার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ব্যবহৃত হয়। এটি ছোট ছোট নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে একাধিক পথ সৃষ্টি করতে সক্ষম। রাউটার মূলত একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে।
গেটওয়ে ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের পাশাপাশি ভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্কও সংযুক্ত করা যায়। গেটওয়ে এবং রাউটার একসাথে ব্যবহার করে ছোট নেটওয়ার্কগুলোকে সংযুক্ত করে বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গঠন করা সম্ভব হয়। যদিও রাউটার শুধুমাত্র একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে, গেটওয়ে বিভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে সক্ষম।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
IoT (Internet of Things) ডিভাইস সাধারণত কোন প্রোটোকল ব্যবহার করে ডেটা বিনিময় করে?
Created: 1 month ago
A
FTP ও SMTP
B
IP ও TCP
C
HTTP ও HTTPS
D
DNS ও DHCP
সঠিক উত্তর: IoT (Internet of Things) ডিভাইস সাধারণত IP ও TCP প্রোটোকল ব্যবহার করে ডেটা বিনিময় করে।
ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT):
Internet of Things (IoT) হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, যেখানে বিভিন্ন ডিজিটাল এবং শারীরিক ডিভাইস—যেমন সেন্সর, স্মার্টফোন, যানবাহন, মেশিন, ও চিকিৎসা যন্ত্র—ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে তথ্য আদান–প্রদান করতে পারে।
এই সংযুক্তি সম্ভব হয় Internet Protocol (IP) ও Transmission Control Protocol (TCP)-এর মাধ্যমে, যা ডিভাইসগুলোকে নেটওয়ার্কে সনাক্ত করতে ও নির্ভরযোগ্যভাবে ডেটা পাঠাতে সক্ষম করে।
প্রযুক্তিগত কাঠামো:
-
IP (Internet Protocol): ডিভাইসগুলোর জন্য একটি স্বতন্ত্র ঠিকানা (unique address) প্রদান করে, যা তাদের একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হতে সহায়তা করে।
-
TCP (Transmission Control Protocol): ডেটা প্যাকেটগুলোকে সঠিকভাবে প্রেরণ, গ্রহণ ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করে, যাতে সংযোগটি নির্ভরযোগ্য থাকে।
-
এই প্রোটোকলগুলো ইথারনেট, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, ও ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডেটা বিনিময় সম্পন্ন করে, ফলে শারীরিক জগত ও ডিজিটাল জগতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়।
IoT ডিভাইসের ধরণ:
১. ডিজিটাল-প্রথম (Digital-first):
-
যেমন: স্মার্টফোন বা স্মার্টওয়াচ।
-
এই ডিভাইসগুলোতে বিল্ট-ইন কানেক্টিভিটি থাকে এবং সরাসরি ডিভাইস-টু-ডিভাইস (M2M) যোগাযোগ করতে পারে।
২. শারীরিক-প্রথম (Physical-first):
-
যেমন: যানবাহন, শিল্প যন্ত্রপাতি, মেডিকেল ডিভাইস।
-
এসব যন্ত্রে সেন্সর, মাইক্রোচিপ বা কমিউনিকেশন মডিউল যোগ করে তাদের কার্যকারিতা ও ডেটা ট্র্যাকিং ক্ষমতা বাড়ানো হয়।
IoT-এর ব্যবহার ক্ষেত্র:
-
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য মনিটরিং (যেমন স্মার্ট ওয়াচ বা ফিটনেস ব্যান্ড)
-
স্মার্ট ট্রাফিক নেটওয়ার্ক পরিচালনা
-
সংযুক্ত স্টোরেজ ট্যাংক পর্যবেক্ষণ
-
COVID-19 মহামারীর সময় সংযুক্ত থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ ও ভাইরাসের বিস্তার ট্র্যাক করা
-
কৃষি, পরিবহন ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে দক্ষতা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন
ইতিহাস:
-
“Internet of Things” শব্দটি প্রথম প্রবর্তন করেন ব্রিটিশ প্রযুক্তিবিদ কেভিন অ্যাশটন (Kevin Ashton), ১৯৯৯ সালে।
সুরক্ষা ও গোপনীয়তার চ্যালেঞ্জ:
-
IoT নেটওয়ার্কে ক্রমবর্ধমান সংযুক্তির কারণে ডেটা লঙ্ঘন, হ্যাকিং ও অননুমোদিত প্রবেশের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
-
দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে ব্যক্তিগত তথ্য, স্বাস্থ্য ও আর্থিক ডেটা হারানো বা অপব্যবহারের আশঙ্কা থাকে।
সারসংক্ষেপ:
IoT ডিভাইসগুলো সাধারণত IP ও TCP প্রোটোকল ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে, যা তাদের বিশ্বব্যাপী সংযুক্ত ও স্মার্ট নেটওয়ার্কে পরিণত করে।
0
Updated: 1 month ago
মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত টপোলজির নাম কী?
Created: 2 months ago
A
রিং টপোলজি
B
মেশ টপোলজি
C
স্টার টপোলজি
D
কোনোটিই নয়
মোবাইল নেটওয়ার্কের কাঠামো মূলত স্টার টপোলজি-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে কেন্দ্রীয় হাবের সঙ্গে প্রতিটি মোবাইল ডিভাইস সরাসরি সংযুক্ত থাকে।
-
মোবাইল ফোন:
-
মোবাইল ফোনের জনক হলেন মার্টিন কুপার।
-
যুক্তরাষ্ট্রে Motorola DynaTAC (Total Access Communication System) নামে প্রথম হ্যান্ড-মোবাইল সেট চালু করা হয়।
-
১৯৭৯ সালে জাপানের NTTC (Nippon Telegraph and Telephone Corporation) প্রথম বাণিজ্যিকভাবে অটোমেটেড সেলুলার নেটওয়ার্ক চালু করে, যা 1G-এর সূচনা।
-
মোবাইল ফোনের প্রজন্মকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম প্রজন্ম।
-
-
স্টার টপোলজি:
-
একটি কেন্দ্রীয় নোড বা হাব থাকে এবং প্রতিটি ডিভাইস সেই কেন্দ্রীয় নোডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে।
-
মোবাইল নেটওয়ার্কে প্রতিটি বেস স্টেশন বা সেল টাওয়ার কেন্দ্রীয় হাব হিসেবে কাজ করে।
-
বেস স্টেশনের আওতাধীন প্রতিটি মোবাইল ফোন সেই কেন্দ্রীয় হাবের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে।
-
সেলুলার নেটওয়ার্কের মৌলিক কাঠামো স্টার টপোলজির মতো, যেখানে বেস স্টেশন কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে।
-
উৎস:
0
Updated: 2 months ago