ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রোটোকল কী?
A
HTTP
B
FTP
C
DNS
D
TCP/IP
উত্তরের বিবরণ
TCP/IP প্রোটোকল হলো ইন্টারনেট সংযোগের জন্য সবচেয়ে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রোটোকল, যা কম্পিউটারের মধ্যে ডাটা আদান-প্রদানের মূল মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
এটি নিশ্চিত করে যে ইন্টারনেটের যেকোনো কম্পিউটার অন্য কোনো কম্পিউটারের সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত হতে পারে এবং তথ্য সঠিকভাবে প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়।
-
TCP/IP প্রোটোকল ইন্টারনেটে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।
-
ইন্টারনেটের সকল কম্পিউটার ডাটা এবং কমান্ড আদান-প্রদানের জন্য TCP/IP ব্যবহার করে।
-
ইন্টারনেটে যেকোনো কম্পিউটার সহজেই অন্য কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে।
-
একটি কম্পিউটার প্রথমে লোকাল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়, তারপর ইন্টারনেট ব্যাকবোনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
-
ইন্টারনেটের প্রতিটি কম্পিউটারের একটি IP Address থাকে, এবং প্রায় সকলের একটি ঠিকানা থাকে, যা ডোমেইন নেম সিস্টেম (DNS) ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়।

0
Updated: 10 hours ago
ROM ভিত্তিক প্রোগ্রামের নাম কি?
Created: 1 month ago
A
malware
B
firmware
C
virus
D
lip - lop
ROM (রিড ওনলি মেমরি)
-
ROM এর পূর্ণরূপ হলো Read Only Memory।
-
ROM-এ থাকা তথ্য পরিবর্তন করা যায় না।
-
ROM-ভিত্তিক প্রোগ্রামকে Firmware বলা হয়।
-
সাধারণত, কম্পিউটার তৈরি হওয়ার সময় যে সকল প্রোগ্রাম স্থায়ীভাবে মেমরিতে রাখা হয়, সেগুলো ফার্মওয়্যার।
-
এই প্রোগ্রামগুলো কম্পিউটারের পর্দায় দেখা যায়, কিন্তু ব্যবহারকারী এগুলোতে কোনো পরিবর্তন করতে পারে না।
-
উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার চালু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু তথ্য মনিটরে প্রদর্শিত হয়; এগুলোই ROM-ভিত্তিক ফার্মওয়্যারের আউটপুট।
উৎস: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি-১, ৯ম-১০ম শ্রেণি (ভোকেশনাল, ২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি একই সাথে ইনপুট ও আউটপুট হিসেবে কাজ করে?
Created: 3 weeks ago
A
Mouse
B
Microphone
C
Touch Screen
D
Printer
ইনপুট, আউটপুট ও ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
টাচস্ক্রিন
টাচস্ক্রিন এমন একটি ডিভাইস যা একই সাথে ইনপুট এবং আউটপুট—দুটোর কাজই করে।
ইনপুট ডিভাইস
যে হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রের মাধ্যমে কম্পিউটার বাইরের পরিবেশ বা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, সেগুলোকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়।
উদাহরণ:
Keyboard, Mouse, Trackball, Joystick, Barcode Reader, Point-of-sale, OMR, OCR, Scanner, Digitizer, Light pen, Graphics Pad, Digital Camera ইত্যাদি।
আউটপুট ডিভাইস
কম্পিউটার প্রক্রিয়াজাত ফলাফল ব্যবহারকারীর সামনে উপস্থাপন করার জন্য যে হার্ডওয়্যার ব্যবহৃত হয় তাকে আউটপুট ডিভাইস বলে।
উদাহরণ:
Monitor, Printer, Plotter, Speaker, Multimedia Projector, Image Setter, Film Recorder, Headphone ইত্যাদি।
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
কিছু ডিভাইস আছে যেগুলো ইনপুট ও আউটপুট—দুটো কাজই করতে সক্ষম।
উদাহরণ:
Pendrive, Modem, Touchscreen ইত্যাদি।
উৎস: মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago
Quantum Computing এর জনক কাকে মনে করা হয়?
Created: 6 days ago
A
David Deutsch
B
Richard Feynman
C
Paul Benloff
D
Alexei Kitaev
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞান ও গাণিতিক সমস্যা সমাধানে এক বিপ্লবী ক্ষেত্র। এর ভিত্তি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নীতি যেমন superposition ও entanglement এর উপর স্থাপিত।
এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদান রাখা প্রধান বিজ্ঞানীদের মধ্যে ডেভিড ডয়েচ, রিচার্ড ফেইনম্যান, পিটার শোর, ও লাভ গ্রোভার উল্লেখযোগ্য। এখানে তাদের অবদান ও প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো:
-
ডেভিড ডয়েচ (David Deutsch):
-
ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের জনক হিসেবে পরিচিত।
-
১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম Quantum Turing Machine এবং universal quantum computer এর তাত্ত্বিক মডেল প্রস্তাব করেন।
-
তার কাজ প্রমাণ করে যে কোয়ান্টাম কম্পিউটার ক্লাসিক্যাল কম্পিউটারের অসম্ভব সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে।
-
গণমাধ্যম ও রেফারেন্স গ্রন্থে তাকে প্রায়ই “Father of Quantum Computing” বলা হয়।
-
-
রিচার্ড ফেইনম্যান (Richard Feynman):
-
আমেরিকান তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।
-
১৯৮১ সালে তিনি Simulating Physics with Computers এ কোয়ান্টাম সিস্টেমকে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমে সিমুলেট করার ধারণা দেন।
-
ফেইনম্যান নোবেল পুরস্কার পান ১৯৬৫ সালে Quantum Electrodynamics (QED) তে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য।
-
তাকে অনেক লেখায় কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের পথপ্রদর্শক বলা হয়, তবে “জনক” হিসেবে ডয়েচকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
-
পিটার শোর (Peter Shor):
-
আমেরিকান গণিতবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
-
তার Shor’s Algorithm বড় সংখ্যার দ্রুত ফ্যাক্টরাইজেশন করতে সক্ষম।
-
এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং ক্রিপ্টোগ্রাফিতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে।
-
-
লাভ গ্রোভার (Lov Grover):
-
আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
-
তার Grover’s Algorithm ডাটাবেস অনুসন্ধানকে দ্রুততর করতে ব্যবহৃত হয়।
-
কোয়ান্টাম অ্যালগরিদমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
-
কোয়ান্টাম কম্পিউটার:
-
কোয়ান্টাম বিট বা Qubit ব্যবহার করে কাজ করে, যা একই সাথে 0 এবং 1 হতে পারে (superposition)।
-
এর মাধ্যমে একাধিক গাণিতিক সমস্যা একই সময়ে সমাধান করা সম্ভব।
-
ডয়েচ (১৯৮৫) কোয়ান্টাম লজিক গেটের ধারণা দেন।
-
শোর (১৯৯৪) কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম উদ্ভাবন করেন যা বড় সংখ্যাকে অল্প সময়ে ফ্যাক্টরাইজ করতে পারে।
-
-
কোয়ান্টাম কম্পিউটারের প্রধান পদ্ধতি:
-
NMR (Nuclear Magnetic Resonance): নিউক্লিয়াস স্পিন ব্যবহার করে।
-
Ion Trap: আয়নকে ট্র্যাপ করে লেজার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
-
Quantum Dots: ক্ষুদ্র অর্ধপরিবাহী অঞ্চলে ইলেকট্রনের স্পিন ব্যবহার করা হয়।
-
-
প্রধান কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম:
-
Shor’s Algorithm: বড় সংখ্যা ফ্যাক্টরাইজেশন করতে সক্ষম, যা আধুনিক ক্রিপ্টোগ্রাফিকে প্রভাবিত করে।
-
Grover’s Algorithm: দ্রুত ডাটাবেস অনুসন্ধান করতে সাহায্য করে।
-
-
ঐতিহাসিক তুলনা:
-
Richard Feynman প্রথমে ধারণা দেন।
-
David Deutsch প্রথম পূর্ণাঙ্গ universal quantum computer মডেল প্রস্তাব করেন।
-
Paul Benioff প্রথম কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল মডেলে কম্পিউটার বর্ণনা করেন।
-
Alexei Kitaev টপোলজিক্যাল কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কিটায়েভ অ্যালগরিদমের জন্য বিখ্যাত।
-

0
Updated: 6 days ago