বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ কোনটি?
A
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
B
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
C
বাংলা সাহিত্যের কথা
D
বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা
উত্তরের বিবরণ
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থটি ১৮৯৬ সালে দীনেশচন্দ্র সেন রচিত, যা বাংলা সাহিত্যের ধারাবাহিক ও তথ্যবহুল প্রথম ঐতিহাসিক ইতিহাসগ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
এই বইয়ে বঙ্গভাষা ও বঙ্গলিপির উৎপত্তি, সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষার সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক, প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের বিবরণ এবং মধ্যযুগের ধর্মীয় সম্প্রদায় ও তাদের সাহিত্য সংক্রান্ত আলোচনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করেছে কারণ এখানে সাহিত্য ও সমাজের গভীর আন্তঃসম্পর্ককে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়েছে।
দীনেশচন্দ্র সেন
দীনেশচন্দ্র সেন ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার বগজুড়ি গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি পল্লী অঞ্চলে ভ্রমণ করে প্রাচীন বাংলা পুঁথি ও লোককথা সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সংগ্রহীত পুঁথি থেকে উপকরণ নিয়ে তিনি ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ রচনা করেন, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম সুশৃঙ্খল ও বিশদ ইতিহাসগ্রন্থ।
তার আরও একটি বিশিষ্ট গবেষণামূলক রচনা হলো ‘বঙ্গসাহিত্য পরিচয়’ (১৯১৪)।
তিনি ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা’ (১৯২৩) ও ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ (১৯২৬) সম্পাদনা করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিও অর্জন করেন।
দীনেশচন্দ্র সেনের মৃত্যু হয় ১৯৩৯ সালের ২০ নভেম্বর বেহালায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago
মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
Created: 2 months ago
A
বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
B
আধুনিক বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
C
ধ্বনিবিজ্ঞানের কথা
D
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব
মুহম্মদ আবদুল হাই ও তাঁর ধ্বনিবিজ্ঞান সংক্রান্ত গ্রন্থ
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব:
-
গ্রন্থের পরিচিতি: মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
বিষয়বস্তু: বইটি বাংলা ভাষার ধ্বনি, তার গঠন, উচ্চারণ এবং ব্যবহার সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করে।
-
গবেষণার গুরুত্ব: এটি বাংলার ভাষাতত্ত্বের মৌলিক বিষয় নিয়ে উচ্চমানের গবেষণাগ্রন্থ, যা পাঠকের জন্যও সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে লেখা।
-
বিশ্বখ্যাতি: গ্রন্থটির কারণে মুহম্মদ আবদুল হাই ধ্বনিবিজ্ঞানী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
লেখার ধরন: বইটির ভাষা এবং রচনাশৈলী বিজ্ঞানমুখী হলেও রসপূর্ণ, ফলে তত্ত্বকথা স্বভাবতই পাঠকের কাছে সহজবোধ্য হয়।
মুহম্মদ আবদুল হাই:
-
তিনি একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী।
-
জন্ম: ২৬ নভেম্বর ১৯১৯, মুর্শিদাবাদ, রাণীনগর থানার মরিচা গ্রাম।
-
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সাহিত্য ও সংস্কৃতি
-
তোষামোদ ও রাজনীতির ভাষা
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'অলৌকিক ইস্টিমার' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
হুমায়ুন আজাদ
B
হেলাল হাফিজ
C
আসাদ চৌধুরী
D
রফিক আজাদ
অলৌকিক ইস্টিমার
-
অলৌকিক ইস্টিমার হলো হুমায়ুন আজাদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
এটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে।
-
এই গ্রন্থে কবি একদিকে যৌনতার অনুষঙ্গ ব্যবহার করেছেন, আবার অন্যদিকে স্লোগানধর্মী কবিতাও লিখেছেন।
হুমায়ুন আজাদ
-
তিনি ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী।
-
তাঁর জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল, বিক্রমপুরের রাড়িখাল গ্রামে।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে (অলৌকিক ইস্টিমার)।
-
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন ১৯৮৩ সালে – জ্বলো চিতাবাঘ।
তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
অলৌকিক ইস্টিমার (প্রথম)
-
কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু
-
জ্বলো চিতাবাঘ
-
সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে
-
যতোই গভীরে যায় মধু, যতোই ওপরে যাই নীল
-
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে
-
পেরোনোর কিছু নেই ইত্যাদি।
তাঁর উপন্যাসসমূহ
-
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল (প্রথম প্রকাশিত)
-
সবকিছু ভেঙে পড়ে
-
মানুষ হিসেবে আমার অপরাধসমূহ
-
রাজনীতিবিদগণ
-
পাক সার জমিন সাদ বাদ
-
একটি খুনের স্বপ্ন ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'শূন্যপুরাণ' কোন ধর্মীয় তত্ত্বের গ্রন্থ?
Created: 1 month ago
A
হিন্দু ধর্মীয়
B
খ্রিষ্ট ধর্মীয়
C
বৌদ্ধ ধর্মীয়
D
জৈন ধর্মীয়
শূন্যপুরাণ
-
লেখক: রামাই পণ্ডিত
-
এটি বৌদ্ধ ধর্মীয় তত্ত্বের উপর রচিত একটি গ্রন্থ এবং অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন।
-
ধরন: ধর্মপূজাপদ্ধতি; গদ্য ও পদ্যের মিশ্রণে রচিত চম্পুকাব্য।
-
গ্রন্থটি মোট ৫১টি অধ্যায় সম্বলিত, যার প্রথম ৫টি অধ্যায় সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ক।
-
রচনার সময়কাল: ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
-
গ্রন্থটি নামহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল; নাগেন্দ্রনাথ বসু তিনটি পুথির পাঠ সংগ্রহ করে ১৩১৪ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘শূন্যপুরাণ’ নামে প্রকাশ করেন।
0
Updated: 1 month ago